সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যে কারণে গোপন যৌনাচারে আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা

ইসমাম পারভেজ কনক




কিশোর-কিশোরীর গোপন যৌনাচারের কারণ হিসেবে তিনটি প্রধান দিক সামনে আনছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হলো: ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি এবং সন্তানকে অভিভাবকের সময় না দেয়া। যৌনতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবেও কিশোর-কিশোরীরা জটিলতায় পড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

রাজধানীর ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী অনন্যা (ছদ্মনাম)। মায়ের সঙ্গে সামান্য বিষয়ে কথা কাটাকাটির জেরে গভীর রাতে নিজের বাসা ছেড়ে চলে যান পছন্দের কিশোরের বাসায়। অনন্যাকেও পরিবারটি খুব সহজেই গ্রহণ করে।


ওই রাতেই শারীরিক সম্পর্কে জড়ান দুই কিশোর-কিশোরী। তবে এরপর তৈরি হয় অনুতাপ। সকালে কেঁদে কেটে মায়ের কাছে ফেরেন তিনি। এরপর দুই পরিবার মিলে বিষয়টিকে সহজ করার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। তিন মাসেও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি অনন্যা। অপরাধ মানসিকতা নিয়ে এই কিশোরী এখন নিয়মিত যাচ্ছেন কাউন্সিলরের কাছে।

রাজধানীর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ১৬ বছরের আরেক কিশোরীর সন্ধান মিলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয় এক যুবকের সঙ্গে।

মেয়েটির বাবা-মা দুজনই চাকরিজীবী। করোনায় স্কুলও বন্ধ থাকার সুযোগে এই সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। ফেসবুক মেসেঞ্জারে একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ওই যুবককে নিয়মিত পাঠাতে শুরু করেন মেয়েটি।

এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে ধানমন্ডির একটি বাসায় যান মেয়েটি। সেখানে ওই যুবকসহ তিনজন জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে তার সঙ্গে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে দুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয় মেয়েটিকে।

মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, এরপর থেকে মানসিক ট্রমায় ভুগছেন ওই কিশোরী। একপর্যায়ে মেয়েটিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেন বাবা-মা। সেখানে মনোবিজ্ঞানীদের শরণাপন্ন হন মেয়েটি, তবে ভাষাগত জটিলতায় খুব একটা ফল মেলেনি। তাই এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকেই অনলাইনে দেশের চিকিৎসকদের মাধ্যমে চলছে চিকিৎসা।

যৌনতা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কাজ করছে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌনাচার এবং এর মাধ্যমে তৈরি হওয়া সমস্যার মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে।

কমিউনিটিভিত্তিক মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান লাইফস্প্রিং যৌনতাকেন্দ্রিক হতাশা ও মানসিক সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের কাউন্সিলিংসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের গত তিন বছরের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা গেছে, সেবাগ্রহীতাদের ৩০ শতাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক, যাদের বেশিরভাগই কিশোরী। মেয়েদের ২০ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত।

সরকারি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকেও পাওয়া যাচ্ছে একই ধরনের তথ্য।

কিশোর-কিশোরীর গোপন যৌনাচারের কারণ হিসেবে তিনটি প্রধান দিক সামনে আনছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হলো: ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফির সহজলভ্যতা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি এবং সন্তানকে অভিভাবকের সময় না দেয়া।

যৌনতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাবেও কিশোর-কিশোরীরা নানান জটিলতায় পড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, জটিলতার শিকার কিশোর-কিশোরী বেশিরভাগ সময়েই সংকটের কথা অভিভাবকদের জানাতে পারছেন না। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে মনোচিকিৎসকের সাহায্য চাইছেন।

লাইফস্প্রিং এর কনসালট্যান্ট সাইকিয়াট্রিস্ট ডা. মুনমুন জাহান বলেন, ‘অনেক কিশোর-কিশোরী আমাকে মেসেঞ্জারে নক দিচ্ছে। বলছে, ম্যাম আপনি কেন আমার মেসেজের উত্তর দিচ্ছেন না? আমার গোপন সমস্যা আছে। কিন্তু আমি আমার পাবিবারকে বলতে পারছি না।’

সেবাপ্রার্থী অনেকের বয়স ১১ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে বলে জানান ডা. মুনমুন। তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ বাবা-মা তাদের সন্তানদের এসব সমস্যায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না।’

দেশের কিশোর-কিশোরীর মধ্যে পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি লাগামহীনভাবে বাড়ছে বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হতে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

ঝুঁকিপূর্ণ যৌনাচারের জন্য সঠিক যৌন শিক্ষার অভাবকে দায়ী করছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘যৌন শিক্ষার অভাবে বিকৃত যৌনাচারের দিকে ঝুঁকছে শিশুরা। পারিবার বলেন বা সমাজ বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক যৌন শিক্ষার অনেক অভাব রয়েছে আমাদের দেশে।’

সুস্থ বিনোদনের অভাব ও শিথিল পারিবারিক বন্ধনকেও এসব অসঙ্গতির জন্য দায়ী করছেন এই অধ্যাপক।

‘আগের চেয়ে পারিবারিক বন্ধন অনেকটা কমে গেছে। শিশুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে মানসম্মত সময় কাটাতে পারে না। এছাড়া অশ্লীলতা ও পর্নোগ্রাফি সহজলভ্যতার কারণে বিকৃত যৌনাচার বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিশুদের জন্য একটি শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাঠ্যবইতে যদি যৌন শিক্ষা থাকত, তাহলে এই বিকৃত যৌনাচার বাড়ত না। সামাজের এই দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সমাজকে বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে।

‘অভিভাবকরা এখন শিশুদের জিপিএ ফাইভ নিয়ে ব্যস্ত। এগুলো থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এজন্য সবাইকে সম্মলিতভাবে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কলাবাগানের ঘটনার প্রসঙ্গ টানেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হক।

তিনি বলেন, ‘তারা (দিহান ও মেয়েটি) কিন্তু সুযোগ খুঁজছিল, যখন বাসা ফাঁকা পেয়েছে তখনই মেয়েটাকে ডেকে এনে জোর করে যৌনাচারে লিপ্ত হয়েছে। এমন কর্মকাণ্ড বাড়ার কারণ হলো- পরিবারগুলো যে প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সন্তানদের বড় করার চেষ্টা করছে, সেই প্রক্রিয়ার মধ্যেই একটা ত্রুটি রয়ে যাচ্ছে। পরিবারগুলো সন্তানদের নিজ দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ভিত্তিতে গড়ে তুলতে পারছে না, তারা বিদেশি সংস্কৃতি নিয়ে বড় হচ্ছে।

‘মূল্যবোধের অভাবেই অন্য জেন্ডারের সঙ্গে সংবেদনশীল আচরণ করতে পারছে না। কলাবাগানের ঘটনাটি যে দেশে প্রথম ঘটনা, এটা বলা যাবে না। অথচ আমরা কোনো শিক্ষা নিতে পারিনি বা কোনো বার্তা দিতে পারিনি।’

এক্ষেত্রে পরিবার বা রাষ্ট্রকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করছেন তৌহিদুল হক। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ওপরও জোর দিচ্ছেন তিনি।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

★★★গত ৭ দিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় পোস্টগুলি★★★

ভাস্কর্য নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে এইটা আরো জোড়ালো হওয়া উঁচিত কারণঃ

ইসমাম পারভেজ কনক করোনা কালীন সময়ে দেশের সবাই অভাবগ্রস্থ।কিন্তু ভাস্কর্য করতে অনেক টাকা খঁরচ করা হচ্ছে।আর এই ভাস্কর্য নির্মাণের পিছনে রয়েছে দূর্নিতীবাজ আওয়ামিলীগের কিছু নেতারা।যারা বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভোগ করে আসছে।এখন ভাস্কর্য নির্মাণের মিথ্যা নাটক করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।শত শত প্রমাণ দেয়া যাবে,ভাস্কর্য নির্মাণ করতে খঁরচ হয় ২০ হাজার টাকা।কিন্তু খঁরচ ধরা হচ্ছে।৩ লাখ টাকা।ভাস্কর্য মূর্তি তৈরী করতে খঁরচ হয় ২৫ লক্ষ টাকা।কিন্তু খঁরচ ধরা হচ্ছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা।এইটা পৃথিবীর সব থেকে বড় ভাস্কর্যের কথা বললাম।যেইটা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।এই ভাস্কর্য নির্মাণ অবশ্যয় বন্ধ করা উঁচিত।কারণ ভাস্কর্য নির্মাণের নামে কিছু দূর্নিতীবাজ মানুষ আমাদের কঠোর শ্রমের টাকা ভোগ করতেছে।আর আমরা কঠোর পরিশ্রম করে,অভাবে অনটনে দিন যাবন করছি।আমি চাই ভাস্কর্য নির্মাণ করা বন্ধ হোক।যাতে দূর্নিতীবাজ লোকজন বঙ্গবন্ধুর নামে আর সম্পদ ভোগ করতে না পারে।আমাদের দেশের কৃষকের ঘাম ঝড়ানো টাকায় ভাস্কর্য নির্মাণের নামে এসি রুমে বসে থাকা দূর্নিতীবাজ লোকজন শান্তিতে সব সম্পদ,টাকা ভোগ করবে।এইটা ...

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ টি দোকান,ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা

ইসমাম পারভেজ কনক কুমারখালী জিলাপি তলা আজিজ মার্কেটে (২৫) নভেম্বর দুপুর ১:৪০ সময় আগুনে পুড়ে ১০ টি  দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বেচাকেনা করতে যখন ব্যাস্ত। সেই সময় দোকানে আগুন দেখে প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করেন দোকানদারিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কুমারখালী ইউনিট ও খোকসা ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকানদার শরিফুল বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার  মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হচ্ছে। ।এতথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস দলের লিডার লুৎফর রহমান । তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, এতে ১০ টি দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা...

ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্ভোধন

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ২৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. তারিখে   কুষ্টিয়া জেলার মান্যবর  জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন মহোদয়  মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন করেন।  এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় উপজেলা প্রশাসন, মিরপুরের আয়োজনে  মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।  এরপর তিনি মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন এবং চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে মুজিববর্ষে ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ,করোনা, মাদক, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধসহ  সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মিরপুর, কুষ্টিয়ার ব্যবস্থাপনায় কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে  বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। পরিদর্শনের সময় মিরপুর  উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মিরপুর উপজেলা;  মেয়র, মিরপুর পৌরসভা  ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান উপস্থিত ছি...

অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে!

ইসমাম পারভেজ কনক   অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে।  ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার রুটিন  প্রকাশ। পরীক্ষা শুরু: ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ: ৭ মার্চ৷   এরা আন্দোলন করলো এদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যারা আন্দোলন করে অধিকার আদায় করতে পারবে,তাদের অধিকার দেয়া হবে।আর যারা পারবে না।তাদের ভাগাড়ে ফেলানো হবে। কিন্তু একটা বিষয় ভাবতেছি,সরকারী কলেজের সবাই কি ঘুমায়ে আছেন?আপনারা কি কেউ আন্দোলন করতে পারেন না? ২০১৯ সালের শেষ হওয়ার পরীক্ষা শুরু হল ২০২০ সালে।সেইটা ভাইরাসের কারণে ৫ টা হবার পর বন্ধ হল?১ বছর পর আগের থেকেও বেশী শীতের মধ্যে সকালে পরীক্ষা নেয়া হল।এখন প্রশ্ন এত শীতে সেই ভাইরাসের মধ্যেয় যদি পরীক্ষা দিবেন,তাহলে ১ বছর আগে কেন দিলেন না?আগে পরীক্ষা শুরু হত দুপুরে।আর ১ বছর পর পরীক্ষা দিলেন সকালে প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের মধ্যে কষ্ট করে।সেইটা দেয়ার পর আর এখন ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে আরও ১ বছরে নিয়ে যাচ্ছে।আপনাদের সাথে পড়া অনেকেয় অনার্স সম্পূর্ণ করে ফেলেছে।আর আপনারা ২ বছর পিছিয়ে গেছেন।আর রেজাল্ট পেতে ৩ বছর পিছিয়ে যাবেন।এখনও...

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা :ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি অব্যাহত

ইসমাম পারভেজ কনক   গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে যুক্তি-তর্কের ওপর শুনানি করা হয়। আগামীকাল বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আবারও এ শুনানি শুরু হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মৃধা, মিজানুর রহমান খান শাহীন ও মোহাম্মদ শাফায়াত জামিল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও মো. আহসান। এছাড়া পলাতক আসামির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী অমূল্য কুমার সরকার। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হয়ে অব্যাহতভাবে চলছে। কয়েক কার্যদিবসে শুনানি শেষ করা হতে পারে। এর মধ্যে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করবেন। আমরাও র...

এইমাত্র কুষ্টিয়াতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

ইসমাম পারভেজ কনক   আজ ১২/০১/২০২০ খ্রিঃ তারিখে কুষ্টিয়া পৌরসভা সাধারন নির্বাচন-২০২১ এ পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী কতৃক ধর্মীয় সভার আয়োজন করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থণা করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ ওর আওতায় ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে৷ জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ সবুজ হাসান এর ভ্রাম্যমান আদালতে উক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়৷  নির্বাচনী আচরণবিধিমালা প্রতিপালনে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রথম নারী ট্রেন চালক সালমা খাতুন

ইসমাম পারভেজ কনক ট্রেনের মূল চালককে বলা হয় লোকো মাস্টার বা সংক্ষেপে এলএম। বর্তমানে সহকারী চালক হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশে কর্মরত আছেন ১৯ জন নারী, তবে লোকো মাস্টার বা প্রধান চালক হিসেবে সালমাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নারী ট্রেনচালক। হাজারো মানুষের কথা চিন্তা করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে, ১৯৮৩ সালের ১ জুন তার জন্ম। কৃষক বাবা বেলায়েত হোসেন ও গৃহিণী মা তাহেরা খাতুনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সালমা চতুর্থ। ২০০৪ সালে এইচ এস সি পাস করার পর সালমা খাতুন সহকারী লোকো মাস্টার হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদান করেন। চাকুরীর পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যান তিনি। মতিঝিল টি এন টি কলেজ থেকে বি এস সি, মডার্ণ টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন থেকে বি এড এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে কাজী নজরুল সরকারী কলেজ থেকে এম এ সম্পন্ন করেন। দুই কন্যার জননী সালমার স্বামী ঢাকা জেলা দায়রা জজ কোর্টের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। নারী ট্রেন চালকদের নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। তবে সালমা খাতুনের ভাষ্যে, "কাজের ক্ষেত্রে পুরুষ যা পারে নারীরাও তাই পারে। দেশের প্রধা...

অল্প সুদে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

ইসমাম পারভেজ কনক   ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ আসছে বলে জানিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। এক্ষেত্রে অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) করোনাকালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ভূমিকা শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন। প্রণোদনা প্যাকেজটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবারই (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান সিনিয়র সচিব। আসাদুল ইসলাম বলেন, একটি প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিতে যাচ্ছি। এটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবো। অক্টোবর মাসে এটা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল সেটার ডিসবার্সমেন্টটা ভালো ছিল না। অনেক চাপ প্রয়োগ করেছি, ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটা অনীহাও ছিল। আর একটা পরিস্থিতি তারা ফেস করেছে, সেটা হলো তাদের কাছে (ক্ষুদ্র উদ্য...

প্রতি সপ্তাহের চাকরীর খবর

ইসমাম পারভেজ কনক প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চাকরির খবর পত্রিকা শুক্রবার সকালে এখানে প্রকাশ করা হয়।প্রতি সপ্তাহের পত্রিকা পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।সাপ্তাহিক চাকরীর খবর ছাড়াও আমরা যে কোন চাকরীর সার্কুলারই প্রকাশিত করে থাকি। পত্রিকাটি পরিষ্কারভাবে পড়ার জন্য ছবির উপর ক্লিক করুন,জুম করুন এবং ডাউনলোড করুন।

পি কে হালদারের সহযোগী গ্রেপ্তার

ইসমাম পারভেজ কনক   বিদেশে পলাতক রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। আজ বুধবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করে। ওই মামলার তদন্তে অবন্তিকা বড়ালের সম্পৃক্ততা পায় দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, পি কে হালদারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর বান্ধবীদের অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে। পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠানে অর্থ রেখে অনেকে হয়রানি ও ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। ভুক্তভোগীরা তাঁর (খুরশীদ আলম খান) চেম্বারে গিয়ে দেখা করে কথা বলেছেন। পি কে হালদারের অনেক বান্ধবী থাকা ও তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার তথ্য মূলত ভুক্তভোগীরা জা...