সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দিন যায়, সময় বাড়ে, কাজ আর শেষ হয় না!

ইসমাম পারভেজ কনক



 

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে নির্মাণাধীন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পটি। নির্মাণ কাজের দীর্ঘসূত্রিতায় ইতোমধ্যে নির্ধারিত প্রারম্ভিক প্রকল্প ব্যয় তিনগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্মাণ পদ্ধতির ত্রুটির কারণে ছাদ ধসে শ্রমিকের মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে দফায় দফায় সময় বৃদ্ধির অনুমোদন চেয়ে একনেক সভায় উপস্থাপিত উন্নয়ন প্রস্তাবনায় সংক্ষুব্ধ একনেক সভাপতি খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২০১১ সালে মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ম্যাটস) ভবনে অস্থায়ীভাবে যাত্রা শুরু হয় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের। ২০১৩ সালে শহরের শহরতলীর লাহেনী এলাকায় ২০ একর জায়গার ওপর ২৭৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে নির্মাণ শুরু হয় স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলে আজও শেষ হয়নি কাজ।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতি, সংশ্লিষ্ট গণপূর্ত, স্বাস্থ্য ও সংস্থাপন বিভাগের অব্যবস্থাপনা ও অস্বচ্ছতার সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে নির্মাণাধীন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ প্রকল্পটি।

সরেজমিন অনুসন্ধানে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রীতার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। কারণগুলো হলো- ২০০৮ সালের ডিপিপি দিয়ে ২০১৩ সালে কাজ শুরু, দুই প্রকৌশলীর দায়িত্বহীনতা, ছোট ছোট প্যাকেজে কাজ ভাগ করা, ছাদ ধসে পড়া, অনিয়মে কাজ বন্ধ থাকা ও প্রকল্প পরিচালকের অদক্ষতা।

গণপূর্ত অফিস, সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের কথায় উঠে এসেছে এসব তথ্য। শেষ পর্যন্ত ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রকল্পের ষষ্ঠবারের সংশোধন আটকে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশ দিয়েছেন তদন্তের।

Kustia

সূত্র জানায়, পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পৃথকভাবে গঠিত একাধিক টিম অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে। তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম।

গণপূর্তের যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মানিক লাল দাস কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রকল্পের সুপারভাইজার।

তিনি বলেন, ২০১২ সালের প্রকল্প, আর আমি আছি মাত্র দুই বছর। আমার সময়ে প্রকল্প রিভিশন হয়নি, সময় বা অর্থও বৃদ্ধি পায়নি।

কেন বারবার রিভিশন দরকার হচ্ছে, সময় ও অর্থ বাড়াচ্ছে বলে জানতে চাইলে মানিক লাল দাস বলেন, এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার স্থানীয় প্রকৌশলীরা ভালো বলতে পারবেন।

এই মানিক লাল দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজের সঙ্গে থাকলেও তিনি সাইট পরিদর্শনে আসেন না ঠিকমতো। এর আগে অবহেলায় যে ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে তাতে অন্যরা শাস্তি পেলেও তিনি থেকে যান ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ঠিকাদারদের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে।

Kustia

এছাড়া অন্য ঠিকাদারদের যেখানে কাজের মেয়াদ শেষ, সেখানে ঠিকাদার জহুরুল ইসলামের মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছেন ২০২২ সাল পর্যন্ত। অথচ ঠিকাদার জহুরুলের প্যাকেজের কাজেই ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি হাসপাতাল ভবনের বারান্দার ছাদ ধসে পড়ে। এরপর প্রকল্পের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী, এসডি, এসওসহ ৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়। দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনাও কাজে ধীরগতি আনে।

পরে ঠিকাদার জহুরুলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হলেও তিনি পার পেয়ে যান আদালতে রিট করে। তবে নিজে কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন মানিক লাল দাস। বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

তিনি বলেন, প্রকল্পের বাজেট-পরিকল্পনা পাস করা এবং টেন্ডার করার দায়িত্ব আমার। সব ডিপিপি হেড অফিস থেকে করা হয়েছে। এর আগে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) দুই বার দেখেছে, তারা বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।

তবে এই প্রকল্পের শুরু থেকেই সমস্যা আছে। ২০০৮ এর শিডিউল অনুযায়ী, প্রকল্প পাস হয় ২০১২ সালে। প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ২৭৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০১৩ সালে শিডিউল পরিবর্তন হয়েছে। তখন টেন্ডার করা যাচ্ছিল না। কারণ শিডিউল পরিবর্তন করায় উপকরণের মূল্য বেড়ে যায়।

২০১৪তে আবার শিডিউল পরিবর্তন হয়। দুই দফায় ব্যয় বেড়ে যায়। মানিক লালের দাবি, এসব ঘটনায় কোনো কর্মকর্তা এককভাবে দায়ী নন। প্রকল্পের রিভিশন পাস হয়েছে ২০১৮ সালে।

তিনি মনে করেন এই রিভিশন প্রথমেই অর্থাৎ ২০১২ সালেই পাস করা উচিত ছিল। তখনকার যেসব কর্মকর্তা বিশেষ করে কুষ্টিয়া গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন তার গাফিলতির কারণেই প্রকল্প এত সংকটে পড়েছে। ২০১৩ সালে কাজ শুরুর পর ডিপিপির দর নিয়ে ফাইল চালাচালিতে সময় চলে যায়। কাজের শুরুতেই সব উপকরণের বাজার দর বেড়ে যায়। তাই নকশা অনুযায়ী প্রতিটি ভবন শেষ না হতেই বরাদ্দকৃত অর্থ ফুরিয়ে যায়। বাজেটের মধ্যে কাজ পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ার শঙ্কাও দেখা দেয়।

ছয়তলা ভবনের জন্য যে বাজেট দেয়া হয়েছিল, তা দিয়ে নির্মাণ করা হয় চারতলা ভবন। ২০০৮ সালের রেট দিয়ে ২০১৩ সালে কাজ শুরু করায় এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে বিষয়টি গোপন রাখেন তখনকার কয়েকজন প্রকৌশলী। আইএমইডির নজরে আনার কথা থাকলেও তা না করে কাজ চালিয়ে যান ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা।

কাজের মূল্যায়ন করতে পরিদর্শনে এসে আইএমইডির টিমের সদস্যরা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রতিবেদন দেন। তদন্তে কেটে যায় দুই বছর। অর্থ ছাড়ও বন্ধ হয়ে যায়।

তখন এ প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন ডা. ইফতেখার মাহমুদ। তিনি একইসঙ্গে অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি প্রকল্প পরিচালনায় দক্ষ না হওয়ায় গণপূর্ত বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। ২০১২ সালে যখন টেন্ডার আহ্বান করা হয়, তখন কুষ্টিয়া গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন শাহিন মিয়া।

গণপূর্ত অফিস থেকে জানা গেছে, তিনি সে সময় একসঙ্গে ছয়টি ভবনের টেন্ডার করেন। টেন্ডার শেষে কাজ শুরুর আগেই বিল দেন ঠিকাদারদের। বিল পেয়ে কাজ শুরু করতে গড়িমসি করেন ঠিকাদাররা।

অভিযোগ আছে, তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন মিয়া ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৫ কোটি টাকার বেশি কমিশন নিয়ে ঢাকায় পোস্টিং বাগিয়ে নিয়ে চলে যান।

Kustia

এরপর যোগ দেন মোহাম্মদ শহিদ কবির। তিনিও কমিশন বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। ঠিকাদারদের নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে হাতিয়ে নেন কোটি টাকা।

তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী শাহিন মিয়া বলেন, তারা যথাযথ নিয়ম মেনে টেন্ডার করেছিলেন। কোনো অনিয়ম হয়েছে বলে তার জানা নেই।

এই দুই প্রকৌশলী ডিপিপি ক্রয় পরিকল্পনায় ব্যত্যয় ঘটিয়ে লিমিটেড (এলটিএম) টেন্ডার করেন। ক্রয় পরিকল্পনায় ছিল প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান বা ওপেন (ওটিম) টেন্ডার। এলটিএম টেন্ডার করায় সরকারের খরচ বৃদ্ধি পায়। আর ছোট ছোট প্যাকেজ করার কারণে দেশের নামিদামি ঠিকাদাররা এ কাজে আগ্রহ দেখান না। এ কারণে যেসব ঠিকাদার কাজ করছেন, তাদের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অন্য ঠিকাদাররা।

২০১৮ সালে নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি অর্থছাড় করা হয়। ২০১৯ সালে নতুন করে দায়িত্ব দেয়া হয় তরুণ প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামকে। এ কর্মকর্তা যোগ দেয়ার পর দ্রুত কাজ শেষ করার পদক্ষেপ নেন। একই সঙ্গে প্রতিটি কাজের মান যাচাই করে বিল দেয়ার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন।

তার সময় পুরো চত্বরের বালু ভরাটের কাজ, প্রাচীর নির্মাণ, একাডেমিক ভবন, ছাত্র-ছাত্রী হোস্টেল, চিসিৎসক ও নার্স ডরমেটরি ও মূল হাসপাতাল ভবনের কাজও প্রায় শেষের দিকে।

গত ১৪ জানুয়ারি লাহিনী এলাকায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে গিয়ে কাজ চলমান অবস্থায় দেখা যায়। তবে এত বড় প্রকল্পে যে সংখ্যক শ্রমিক কাজ করার কথা তা দেখা যায়নি। ৬টি প্যাকেজে ২০/২৫ জন করে কাজ করতে দেখা যায়।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ভবনের পিডি আমিনুল ইসলাম বলেন, নতুন করে জমি অধিগ্রহণ ও আরও কিছু ভবন নির্মাণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আর আগের যেসব কাজ চলমান, তা শেষের পথে। নতুন বছরেই নতুন ক্যাম্পাসে ছোট ছোট করে হলেও সব কার্যক্রম শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি।

২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ধরে সংশোধিত প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৭৪২ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২০ সালের ১২ মার্চ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভায় ৬৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়, মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু একনেকের বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে তা প্রধানমন্ত্রী বাতিল করে তদন্তের নির্দেশ দেন।

কাজের দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে ক্ষুদ্ধ স্থানীয়রাও। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সরোয়ার জাহান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আশ্বাসের বাণী শুনে কেটে গেছে ৯টি বছর। এখন আমাদের নবম ব্যাচ চলছে। ইতোমধ্যে ৪টি ব্যাচ এখান থেকে বেরিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবায় যোগদান করেছেন। জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকম চিকিৎসা শাস্ত্রে শিক্ষাদান করতে শিক্ষক এবং শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীরা নানাবিধ সমস্যার মধ্যে আছে।

মন্তব্যসমূহ

★★★গত ৭ দিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় পোস্টগুলি★★★

দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে হাইকোর্টে রিট

ইসমাম পারভেজ কনক   মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে গ্রাহকদের স্বার্থে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারনেটের গতিসম্পন্ন সেবা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য, সাংবাদিক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিট করেন। এতে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকা

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ টি দোকান,ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা

ইসমাম পারভেজ কনক কুমারখালী জিলাপি তলা আজিজ মার্কেটে (২৫) নভেম্বর দুপুর ১:৪০ সময় আগুনে পুড়ে ১০ টি  দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বেচাকেনা করতে যখন ব্যাস্ত। সেই সময় দোকানে আগুন দেখে প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করেন দোকানদারিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কুমারখালী ইউনিট ও খোকসা ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকানদার শরিফুল বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার  মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হচ্ছে। ।এতথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস দলের লিডার লুৎফর রহমান । তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, এতে ১০ টি দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বন্ধ হচ্ছে বহু জিমেইল অ্যাকাউন্ট!

ইসমাম পারভেজ কনক প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল-এর মেইলিং সার্ভিস জিমেইল তাদের সেবা ব্যবহারকারীদের বহু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন নিয়মের কারণে আগামী জুন মাস থেকে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আগামী জুন থেকে গুগল ফটোজে বিনামূল্যে ছবি রাখার সুবিধাও তুলে নেয়া হবে। নতুন নীতি অনুযায়ী ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো ইনঅ্যাকটিভ রয়েছে, সেগুলো পুরোপুরি ডিলিট করে দেওয়া হবে। তবে এ নিয়ম কার্যকরের আগেই প্রত্যেক অ্যাকাউন্টধারীকে ই-মেইল মারফত সতর্কবার্তা পাঠানো হবে গুগলের পক্ষ থেকে। গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যবহারকারীরা আর বিনামূল্যে গুগল ফটোজ ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, ডকুমেন্টস, শিটস, স্লাইডস, ড্রইংস, ফর্মস এবং জ্যামবোর্ড ফাইলস ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করেননি, তাদের সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হবে। অবশ্য, ইনঅ্যাক্টিভ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের বিশ্বাসযোগ্য কন্টাক্টসদের কাছে তাদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছে দেওয়ার

কুষ্টিয়ায় টিসিবি'র পণ্য দিতে করোনা ছড়ায় না,মাস্কেরও প্রয়োজন পরে না!

ইসমাম পারভেজ কনক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা থেকে আজ সকালে হরিপুর বোয়ালদাহ মোড়ের চিত্র। নেই কোন মাক্স নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। মূলত করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ তার প্রথম দিন।কিন্ত পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই যে কি উদ্দেশ্যে এই লকডাউন। হয়তো তারা ভাবছে সরকারি ভাবে কোন কার্যক্রম করলে সেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াবেনা।এলাকাবাসী মনে করছে করোনা সংক্রমণ রোধে টিসিবি'র পণ্য বিক্রয়কারীদের অনেক সচেতনতার সাথে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিৎ বলে মনে করেন তারা।

কুষ্টিয়ায় আজ ১১টি মোবাইল কোর্টে ৫১টি মামলায় ৫৪জনকে ৭৮,৪৫০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায়

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৫/০৪/২০২১ তারিখে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত কর্মসুচি বাস্তবায়নের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট আইনসহ তফসিলভূক্ত অন্যান্য আইনে  কুষ্টিয়া জেলা শহর ও  উপজেলাসমূহে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়৷ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। আজ কুষ্টিয়া জেলায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টের তথ্যাদি নিম্নরুপঃ    *মোবাইল কোর্ট অভিযানঃ ১১ টি  *মামলার সংখ্যাঃ  ৫১ টি  *অর্থদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তির সংখ্যাঃ  ৫৪ জন *আদায়কৃত জরিমানার পরিমানঃ ৭৮,৪৫০/- টাকা  *আইন ও ধারাঃ  সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন, ২০১৮ এর ২৫(২) ধারা / দন্ডবিধি,১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারা/ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারা৷    জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷  #

১৩০ কোটি ভুয়া একাউন্ট বন্ধ করেছে ফেইসবুক!

ইসমাম পারভেজ কনক বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে যুক্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে আশঙ্কাজনকভাবে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুয়া (ফেক) অ্যাকাউন্টও। সাধারণত এ ধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে অনেকে। তাই এসব ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে বেশ তৎপর রয়েছে ফেসবুক, টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আজ সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মাত্র তিন মাসে ১৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটিতে গুজব বা যেকোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে ৩৫ হাজারেরও বেশি কর্মী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। এক ব্লগপোস্টে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে কোভিড-১৯ রোগ ও ভ্যাকসিন সম্পর্কিত এক কোটি ২০ লাখের বেশি ভুয়া তথ্য সম্বলিত পোস্টও সরিয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ

কুষ্টিয়ায় ৫০ টাকার তরমুজ ৫৫ টাকা কেজি বিক্রির দায়ে ১১,০০০ টাকা অর্থদন্ড ও আদায়

ইসমাম পারভেজ কনক জনসাধারনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ২৬/০৪/২০২২ তারিখে  কুষ্টিয়া জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য ও ফলের বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম  এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে  ক্রয়কৃত পণ্যের মূল রশিদ সংরক্ষণ না করা এবং তরমুজের মূল্য বেশি রাখার দায়ে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর  ১৯ ধারায় ৪ টি মামলায় ৪ টি প্রতিষ্ঠান কে মোট ১১,০০০/ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়েছে একই সাথে রমজান মাসকে উপলক্ষ্য করে অন্যায্যভাবে দাম বৃদ্ধি না করতে তরমুজ ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে৷  জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রিজু তামান্না ও জনাব মোঃ বনি আমিন এঁর ভ্রাম্যমাণ আদালতে উক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়।  ইফতার সামগ্রী ও মৌসুমী ফলের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মাহবুব উল আলম হানিফের করোনা মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. শুক্রবার বাদ জুমআ কালেক্টরেট জামে মসজিদ, কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাহবুব উল আলম হানিফ মহোদয়সহ সকল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় সকলকে  মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।

মুনিয়ার সুরতহাল রিপোর্টে যেসব বর্ণনা দিয়েছে পুলিশ!!

ইসমাম পারভেজ কনক বর্তমানে দেশে চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর গুলশানে অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার। মুনিয়া ‘আত্মহত্যা’ করেছে, নাকি তাকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছে তদন্তকারীরা। ফ্ল্যাটে মুনিয়াকে যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো, সে বিষয়ে বর্ণনা দিয়ে কিছু সুপারিশ করেছে পুলিশ। . এই তরুণীকে ‘ধর্ষণ’ কিংবা ‘বিষ প্রয়োগ’ করা হয়েছিল কি না? তা খতিয়ে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের কাছে সুপারিশ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজধানীর গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান। মুনিয়ার মৃত্যুর পর আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেনের লেখা একটি সুরতহাল  রিপোর্ট হাতে এসেছে।  . তাতে তিনি লিখেছেন, ‘হত্যার আগে ভিকটিম ধর্ষিত হয়েছে কি না তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিংবা তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না তাও তদন্তের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।’  . সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মুনিয়ার বয়স ২৩ বছর। গায়ের রং ফর্সা। লম্বা অনুমান ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। মাথার চুল লম্বা অনুমান ১২ ইঞ্চি। চুলের রং বাদামি। মুখমণ্

স্বাধীনভাবে মনেরভাব প্রকাশ করা অন্যায়

ইসমাম পারভেজ কনক হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এএসআই গোলাম রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। তিনি কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যাহারের আগের দিন শনিবার (০৩ এপ্রিল) তিনি পুলিশের পোশাক পরে ফেসবুক লাইভে আসেন। পরে তার লাইভটি ভাইরাল হয়ে যায়। রোববার (০৪ এপ্রিল)এএসআই গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।  ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রশংসা করে এএসআই গোলাম রাব্বানী বলেন, মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। বেশির ভাগ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন, সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি