ইসমাম পারভেজ কনক
অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে।
ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ।
পরীক্ষা শুরু: ২৭ ফেব্রুয়ারি।
পরীক্ষা শেষ: ৭ মার্চ৷
এরা আন্দোলন করলো এদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
অর্থাৎ যারা আন্দোলন করে অধিকার আদায় করতে পারবে,তাদের অধিকার দেয়া হবে।আর যারা পারবে না।তাদের ভাগাড়ে ফেলানো হবে।
কিন্তু একটা বিষয় ভাবতেছি,সরকারী কলেজের সবাই কি ঘুমায়ে আছেন?আপনারা কি কেউ আন্দোলন করতে পারেন না?
২০১৯ সালের শেষ হওয়ার পরীক্ষা শুরু হল ২০২০ সালে।সেইটা ভাইরাসের কারণে ৫ টা হবার পর বন্ধ হল?১ বছর পর আগের থেকেও বেশী শীতের মধ্যে সকালে পরীক্ষা নেয়া হল।এখন প্রশ্ন এত শীতে সেই ভাইরাসের মধ্যেয় যদি পরীক্ষা দিবেন,তাহলে ১ বছর আগে কেন দিলেন না?আগে পরীক্ষা শুরু হত দুপুরে।আর ১ বছর পর পরীক্ষা দিলেন সকালে প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের মধ্যে কষ্ট করে।সেইটা দেয়ার পর আর এখন ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে আরও ১ বছরে নিয়ে যাচ্ছে।আপনাদের সাথে পড়া অনেকেয় অনার্স সম্পূর্ণ করে ফেলেছে।আর আপনারা ২ বছর পিছিয়ে গেছেন।আর রেজাল্ট পেতে ৩ বছর পিছিয়ে যাবেন।এখনও আপনাদের কি হুশ হল না?সরকার কি আপনাদের ৩ বছর বয়স ফিরিয়ে দিতে পারবে?৩ বছরে আপনার দুঃখ কষ্ট আর অযথা যে খঁরচ করে সময় ব্যয় করে হতাশায় আছেন।সেইটা ঠিক করার ক্ষমতা কি আছে?সবার সাথে যেভাবে নাটক আর ছলনা করতেছে।এই সব দেখেও সবাই চুপ করে সব সহ্য করতেছেন কীভাবে?সবাই মুখ বুঝে অযথা কেন সহ্য করতেছেন,এইটা কোন ভাবেয় বুঝতেছি না।আপনারা সবাই কি কাপুরুষ নাকি?ঘরে বসে থাকা ছাড়া কি কিছুই পারেন না?কুষ্টিয়াতে কি রাস্তা ঘাট নাই?কোন সাহসী ছাত্র-ছাত্রী নাই?আন্দোলন করার কি ক্ষমতা নাই?সবাই কি পঙ্গু হয়ে গেছেন নাকি?সবাই ৪ বছরের অনার্স কোর্স ৭ বছরে করতেছেন কেন?যেখানে বাংলাদেশের সকল কাজ হচ্ছে।কোন সমস্যা নাই?এই ভাইরাসের মধ্যে শীতের মধ্যে টিকা না আসার আগেও পরীক্ষা দিলেন।আর এখন টিকা এসে গেছে।কোন সমস্যা নাই?তারপরেও পরীক্ষা স্থগিত করতেছে।সবাই সেইটা মুখ বুঝে মেনে নিচ্ছেন কীভাবে?কোন ভাবেয় আপনাদের চুপ করে থাকা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।
আপনারা সবাই কেন আন্দোলন করতেছেন না?আপনারা কেন সব মুখ বুঝে মেনে নিচ্ছেন?বাংলাদেশে সব চুপচাপ মেনে নেওয়া কেউ কোন ধরনের অধিকার পায় না?আপনারা ৭ বছর পর অনার্স পাশ করে জীবনে কি করবেন?যেখানে একই সাথে পড়া আপনাদের বন্ধুরা চাকরী করবে।আর আপনারা তাদের থেকেও ভাল ছাত্র-ছাত্রী হলেও সরকারের সকল পদক্ষেপ মেনে নিয়ে সারাজীবন অন্ধকারেয় থেকে যাবেন।আন্দোলন করুন সবাই।কঠোর আন্দোলন করুন।আপনাদের সকল অধিকার ছিনিয়ে নিন।একজোঠ হন।জীবনে সফলতার জন্য কঠোর আন্দোলন করার প্রয়োজন আছে।আন্দোলন করে যে সফলতা পাওয়া যায়।সেইটার প্রমাণ ঢাকার ৭ কলেজের শীক্ষার্থীরা।তাদের রুটিন প্রকাশ।তাদের পরীক্ষা হবে।কোন সমস্যা নাই?কিন্তু আপনারা আন্দোলন করেন নাই।তাই আপনাদের পরীক্ষা হবে না।হাস্যকর কাহিনী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন