সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আজ ৬০ পৌরসভায় ভোট, বেড়েছে শঙ্কা

ইসমাম পারভেজ কনক

দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের সরঞ্জাম যাচ্ছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। ছবিটি শুক্রবার থেকে তোলা।

আজ দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ৬০ পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এরই মধ্যে ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোট উপলক্ষে অনেক পৌরসভায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।এদিকে প্রচারের শেষ মুহূর্তের কিছু ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়েছে, জানান দিয়েছে শঙ্কার কথাও। গত বৃহস্পতিবার রাতে অর্থাৎ নির্বাচনি প্রচারের শেষ সময়েও রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া নরসিংদীর মনহরদী, পাবনার ঈশ্বরদীসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচারে বাধা, হামলা, সংঘর্ষের ঘটনা উত্তাপ বাড়িয়েছে নির্বাচনের।শুধু তাই নয়, দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর প্রতিপক্ষ আরেক কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনা ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা তৈরি করেছে।

এ ব্যাপারে শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার রোকনুজ্জামান  বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ভোটে প্রভাব ফেলতে পারবে না। পৌরসভার ১৫টি ভোটকেন্দ্রে ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হবে। আর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মারা যাওয়ায় পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট স্থগিত করা হয়েছে।’

এদিকে ইসির নির্বাচনী পরিচালনা শাখা বলছে, ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। আর এজন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে ভোটের মাঠের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছে বিএনপি।

ইসির একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছে, প্রথম ধাপের ২৩টি পৌরসভায় মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় ধাপে সংঘাত-সহিংসতা বেড়েছে। এর রেশ ভোটগ্রহণের সময়েও থাকতে পারে। তবে এ ব্যাপারে ইসি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বেশ সতর্ক।




এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোটের জন্য তারা নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শুক্রবার বলেছেন, ‘অতীতের ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশনকে সরকার নির্বাচনের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে। এটা সরকারের দায়িত্ব। শনিবার অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সরকার কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না।’

অপরদিকে ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শুক্রবার বলেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য, এখন পর্যন্ত পৌরসভার নির্বাচন যতগুলো দেখলাম, বেশিরভাগ নির্বাচনে দেখলাম সরকার একইভাবে— ২০১৮ সালে নির্বাচনে জোর করে আগের রাতেই রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গেছে, একই কায়দায় তারা পৌরসভাগুলোতে ভোট ডাকাতি করে নিয়ে যাচ্ছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, ‘আমরা সতর্ক। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে যা যা করার সবই করবে ইসি। আমরা শুনেছি, কোথাও কোথাও সংঘর্ষসহ হতাহত ও নিহতের ঘটনা ঘটেছে। সেসব বিষয় মাথায় রেখে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও আনসার, মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে আরো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি।’

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে বেশি উত্তাপ দেখা যাচ্ছে। এ নির্বাচন নিয়ে আমরা বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সব রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোথাও ভোট কারচুপির কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে আমরা সেখানে ভোট বন্ধ করে দেব। এ ছাড়া কেউ পরিস্থিতি বাজে করার চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তবে আমরা আশা করছি, কোনো ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ করতে পারব।’



৬০ পৌরসভার মধ্যে ৩১টি পৌরসভায় ব্যালটে এবং ২৯টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ৩২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে প্রচার শেষ করেছে প্রার্থী ও সমর্থকরা। নির্বাচনি এলাকায় মোটরসাইকেল, ট্রাক ও পিকআপ চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। তবে জরুরি প্রয়োজনের গাড়ি এবং হাইওয়ে এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।

ইসি জানিয়েছে, ৬০টি পৌরসভার ৫৬টিতে মেয়র পদে ভোট হবে। নারায়ণগঞ্জের তারাব, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙ্গুরা ও পিরোজপুর সদর- এ চার পৌরসভায় ভোটের আগেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছেন। তবে ৬০টি পৌরসভার সবকটিতেই কাউন্সিলর পদে ভোটগ্রহণ হবে।


দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনে আটটি রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব প্রতীক নিয়ে অংশ নিচ্ছে। তবে ভোটের আগেই তিন পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভায় মেয়র পদপ্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় সেখানে ভোট স্থগিত করে ইসি। এ ছাড়া পাবনার সুজানগরে ১৬ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা থাকলেও রিটের কারণে প্রথমে ভোট স্থগিত করা হয়। পরে সেখানে নতুন করে ভোটের দিন দেওয়া হয় ৩০ জানুয়ারি। অপরদিকে প্রথম ধাপে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেই পৌরসভায় বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীর মৃত্যুবরণ করায় তখন ভোট স্থগিত করা হয়। সেই ভোট অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপে অর্থাৎ শনিবার। গত ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি।

এই ধাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি-জাপা, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি এনপিপির প্রার্থী অংশ নিচ্ছে। এর আগে প্রথম ধাপে পাঁচটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেছিল। এ ধাপে আটটি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট মেয়র পদপ্রার্থী ২২১ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে দুই হাজার ৩৩২ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর সংখ্যা ৭২৪ জন।


এবারের পৌরসভায় দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এই ধাপে ছয়টি পৌরসভায় প্রার্থী দিতে পারেনি।

ইসি সূত্র আরো জানিয়েছে, সবগুলো পৌরসভায় পুলিশের একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স মাঠে রয়েছে। এ ছাড়া প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে র‍্যাবের টিম টহল দিচ্ছেন। এক লাখের বেশি ভোটার বিশিষ্ট পৌরসভায় চার প্লাটুন বিজিবি, ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ভোটার পর্যন্ত তিন প্লাটুন এবং ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ভোটার বিশিষ্ট পৌরসভায় দুই প্লাটুন এবং ১০ হাজারের কম ভোটারের পৌরসভায় এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১৭টি পৌরসভায় এ সংখ্যার চেয়ে আর বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পৌরসভাগুলো হচ্ছে- দিনাজপুর, মোহনগঞ্জ, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, কিশোরগঞ্জ, কুলিয়ারচর, সাভার, বসুরহাট, গুরুদাসপুর, খাগড়াছড়ি, মোংলা পোর্ট, মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ছাতক, শেরপুর, সারিয়াকান্দি ও সান্তাহার।


প্রতিটি পৌরসভায় সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের ১১ জন সদস্য ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৩ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন। বগুড়ার তিনটি পৌরসভায় এ সংখ্যার অতিরিক্ত হিসেবে দুজন করে বাড়তি পুলিশ দেওয়া হয়েছে। ৬০টি পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ৮০টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ৪০ হাজার ২৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ লাখ আট হাজার ৪৩১ জন এবং নারী ভোটার ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩১ জন।

দেশে মোট ৩২৯টি পৌরসভা রয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের ২৩টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় ধাপের ৬৪ পৌরসভায় ভোট হবে ৩০ জানুয়ারি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে ৫৮টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে মেয়র পদে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।



দ্বিতীয় ধাপের ৬০টি পৌরসভা

গাজীপুরের শ্রীপুর (ইভিএম), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ (ব্যালট), সিরাজগঞ্জের কাজীপুর (ইভিএম), বেলকুচি (ব্যালট), উল্লাপাড়া (ব্যালট), সদর (ব্যালট) ও রায়গঞ্জ (ব্যালট), নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ (ব্যালট), কুষ্টিয়া সদর (ব্যালট), কুমারখালী (ইভিএম), ভেড়ামারা (ব্যালট) ও মিরপুর (ব্যালট), মৌলভীবাজারের কুলাউড়া (ব্যালট) ও কমলগঞ্জ (ব্যালট), নারায়ণগঞ্জের তারাবো (ইভিএম), শরীয়তপুর সদর (ইভিএম), কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী (ব্যালট), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ (ব্যালট) ও সদর (ব্যালট), দিনাজপুর সদর (ব্যালট), বিরামপুর (ব্যালট) ও বীরগঞ্জ (ইভিএম), নওগাঁর নজিপুর (ইভিএম), পাবনার ভাঙ্গুড়া (ব্যালট), ফরিদপুর (ইভিএম), সাথিয়া (ব্যালট) ও ঈশ্বরদী (ব্যালট), রাজশাহীর আড়ানী (ইভিএম), ভবানীগঞ্জ (ব্যালট) ও কাকনহাট (ইভিএম), সুনামগঞ্জ সদর (ব্যালট), ছাতক (ব্যালট) ও জগন্নাথপুর (ইভিএম), হবিগঞ্জের মাধবপুর (ব্যালট) ও নবীগঞ্জ (ব্যালট), ফরিদপুরের বোয়ালমারী (ব্যালট), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া (ইভিএম) ও মুক্তাগাছা (ব্যালট), মাগুরা সদর (ইভিএম), ঢাকার সাভার (ইভিএম), নাটোরের নলডাঙ্গা (ইভিএম), গুরুদাসপুর (ব্যালট) ও গোপালপুর (ব্যালট), বগুড়ার শেরপুর (ব্যালট), সারিয়াকান্দি (ইভিএম) ও সান্তাহার (ইভিএম), পিরোজপুর সদর (ইভিএম), নেত্রকোনার কেন্দয়া (ইভিএম), মেহেরপুরের গাংনী (ইভিএম), ঝিনাইদহের শৈলকুপা (ইভিএম), পার্বত্য খাগড়াছড়ি সদর (ইভিএম), বান্দরবান জেলার লামা (ব্যালট), টাঙ্গাইলের  ধনবাড়ী (ইভিএম), কুমিল্লার চান্দিনা (ইভিএম), ফেনীর দাগনভূঞা (ইভিএম), কিশোরগঞ্জ সদর (ব্যালট) ও কুলিয়ারচর (ইভিএম), নরসিংদীর মনোহরদী (ইভিএম), নোয়াখালীর বসুরহাট (ইভিএম) এবং বাগেরহাটের মোংলা (ইভিএম) পৌরসভা।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

★★★গত ৭ দিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় পোস্টগুলি★★★

ভাস্কর্য নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে এইটা আরো জোড়ালো হওয়া উঁচিত কারণঃ

ইসমাম পারভেজ কনক করোনা কালীন সময়ে দেশের সবাই অভাবগ্রস্থ।কিন্তু ভাস্কর্য করতে অনেক টাকা খঁরচ করা হচ্ছে।আর এই ভাস্কর্য নির্মাণের পিছনে রয়েছে দূর্নিতীবাজ আওয়ামিলীগের কিছু নেতারা।যারা বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভোগ করে আসছে।এখন ভাস্কর্য নির্মাণের মিথ্যা নাটক করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।শত শত প্রমাণ দেয়া যাবে,ভাস্কর্য নির্মাণ করতে খঁরচ হয় ২০ হাজার টাকা।কিন্তু খঁরচ ধরা হচ্ছে।৩ লাখ টাকা।ভাস্কর্য মূর্তি তৈরী করতে খঁরচ হয় ২৫ লক্ষ টাকা।কিন্তু খঁরচ ধরা হচ্ছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা।এইটা পৃথিবীর সব থেকে বড় ভাস্কর্যের কথা বললাম।যেইটা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।এই ভাস্কর্য নির্মাণ অবশ্যয় বন্ধ করা উঁচিত।কারণ ভাস্কর্য নির্মাণের নামে কিছু দূর্নিতীবাজ মানুষ আমাদের কঠোর শ্রমের টাকা ভোগ করতেছে।আর আমরা কঠোর পরিশ্রম করে,অভাবে অনটনে দিন যাবন করছি।আমি চাই ভাস্কর্য নির্মাণ করা বন্ধ হোক।যাতে দূর্নিতীবাজ লোকজন বঙ্গবন্ধুর নামে আর সম্পদ ভোগ করতে না পারে।আমাদের দেশের কৃষকের ঘাম ঝড়ানো টাকায় ভাস্কর্য নির্মাণের নামে এসি রুমে বসে থাকা দূর্নিতীবাজ লোকজন শান্তিতে সব সম্পদ,টাকা ভোগ করবে।এইটা ...

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ টি দোকান,ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা

ইসমাম পারভেজ কনক কুমারখালী জিলাপি তলা আজিজ মার্কেটে (২৫) নভেম্বর দুপুর ১:৪০ সময় আগুনে পুড়ে ১০ টি  দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বেচাকেনা করতে যখন ব্যাস্ত। সেই সময় দোকানে আগুন দেখে প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করেন দোকানদারিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কুমারখালী ইউনিট ও খোকসা ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকানদার শরিফুল বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার  মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হচ্ছে। ।এতথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস দলের লিডার লুৎফর রহমান । তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, এতে ১০ টি দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা...

ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্ভোধন

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ২৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. তারিখে   কুষ্টিয়া জেলার মান্যবর  জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন মহোদয়  মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন করেন।  এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় উপজেলা প্রশাসন, মিরপুরের আয়োজনে  মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।  এরপর তিনি মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন এবং চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে মুজিববর্ষে ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ,করোনা, মাদক, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধসহ  সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মিরপুর, কুষ্টিয়ার ব্যবস্থাপনায় কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে  বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। পরিদর্শনের সময় মিরপুর  উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মিরপুর উপজেলা;  মেয়র, মিরপুর পৌরসভা  ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান উপস্থিত ছি...

অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে!

ইসমাম পারভেজ কনক   অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে।  ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার রুটিন  প্রকাশ। পরীক্ষা শুরু: ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ: ৭ মার্চ৷   এরা আন্দোলন করলো এদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যারা আন্দোলন করে অধিকার আদায় করতে পারবে,তাদের অধিকার দেয়া হবে।আর যারা পারবে না।তাদের ভাগাড়ে ফেলানো হবে। কিন্তু একটা বিষয় ভাবতেছি,সরকারী কলেজের সবাই কি ঘুমায়ে আছেন?আপনারা কি কেউ আন্দোলন করতে পারেন না? ২০১৯ সালের শেষ হওয়ার পরীক্ষা শুরু হল ২০২০ সালে।সেইটা ভাইরাসের কারণে ৫ টা হবার পর বন্ধ হল?১ বছর পর আগের থেকেও বেশী শীতের মধ্যে সকালে পরীক্ষা নেয়া হল।এখন প্রশ্ন এত শীতে সেই ভাইরাসের মধ্যেয় যদি পরীক্ষা দিবেন,তাহলে ১ বছর আগে কেন দিলেন না?আগে পরীক্ষা শুরু হত দুপুরে।আর ১ বছর পর পরীক্ষা দিলেন সকালে প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের মধ্যে কষ্ট করে।সেইটা দেয়ার পর আর এখন ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে আরও ১ বছরে নিয়ে যাচ্ছে।আপনাদের সাথে পড়া অনেকেয় অনার্স সম্পূর্ণ করে ফেলেছে।আর আপনারা ২ বছর পিছিয়ে গেছেন।আর রেজাল্ট পেতে ৩ বছর পিছিয়ে যাবেন।এখনও...

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা :ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি অব্যাহত

ইসমাম পারভেজ কনক   গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে যুক্তি-তর্কের ওপর শুনানি করা হয়। আগামীকাল বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আবারও এ শুনানি শুরু হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মৃধা, মিজানুর রহমান খান শাহীন ও মোহাম্মদ শাফায়াত জামিল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও মো. আহসান। এছাড়া পলাতক আসামির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী অমূল্য কুমার সরকার। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হয়ে অব্যাহতভাবে চলছে। কয়েক কার্যদিবসে শুনানি শেষ করা হতে পারে। এর মধ্যে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করবেন। আমরাও র...

এইমাত্র কুষ্টিয়াতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

ইসমাম পারভেজ কনক   আজ ১২/০১/২০২০ খ্রিঃ তারিখে কুষ্টিয়া পৌরসভা সাধারন নির্বাচন-২০২১ এ পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী কতৃক ধর্মীয় সভার আয়োজন করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থণা করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ ওর আওতায় ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে৷ জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ সবুজ হাসান এর ভ্রাম্যমান আদালতে উক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়৷  নির্বাচনী আচরণবিধিমালা প্রতিপালনে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রথম নারী ট্রেন চালক সালমা খাতুন

ইসমাম পারভেজ কনক ট্রেনের মূল চালককে বলা হয় লোকো মাস্টার বা সংক্ষেপে এলএম। বর্তমানে সহকারী চালক হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশে কর্মরত আছেন ১৯ জন নারী, তবে লোকো মাস্টার বা প্রধান চালক হিসেবে সালমাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নারী ট্রেনচালক। হাজারো মানুষের কথা চিন্তা করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে, ১৯৮৩ সালের ১ জুন তার জন্ম। কৃষক বাবা বেলায়েত হোসেন ও গৃহিণী মা তাহেরা খাতুনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সালমা চতুর্থ। ২০০৪ সালে এইচ এস সি পাস করার পর সালমা খাতুন সহকারী লোকো মাস্টার হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদান করেন। চাকুরীর পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যান তিনি। মতিঝিল টি এন টি কলেজ থেকে বি এস সি, মডার্ণ টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন থেকে বি এড এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে কাজী নজরুল সরকারী কলেজ থেকে এম এ সম্পন্ন করেন। দুই কন্যার জননী সালমার স্বামী ঢাকা জেলা দায়রা জজ কোর্টের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। নারী ট্রেন চালকদের নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। তবে সালমা খাতুনের ভাষ্যে, "কাজের ক্ষেত্রে পুরুষ যা পারে নারীরাও তাই পারে। দেশের প্রধা...

অল্প সুদে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

ইসমাম পারভেজ কনক   ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ আসছে বলে জানিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। এক্ষেত্রে অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) করোনাকালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ভূমিকা শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন। প্রণোদনা প্যাকেজটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবারই (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান সিনিয়র সচিব। আসাদুল ইসলাম বলেন, একটি প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিতে যাচ্ছি। এটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবো। অক্টোবর মাসে এটা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল সেটার ডিসবার্সমেন্টটা ভালো ছিল না। অনেক চাপ প্রয়োগ করেছি, ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটা অনীহাও ছিল। আর একটা পরিস্থিতি তারা ফেস করেছে, সেটা হলো তাদের কাছে (ক্ষুদ্র উদ্য...

প্রতি সপ্তাহের চাকরীর খবর

ইসমাম পারভেজ কনক প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চাকরির খবর পত্রিকা শুক্রবার সকালে এখানে প্রকাশ করা হয়।প্রতি সপ্তাহের পত্রিকা পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।সাপ্তাহিক চাকরীর খবর ছাড়াও আমরা যে কোন চাকরীর সার্কুলারই প্রকাশিত করে থাকি। পত্রিকাটি পরিষ্কারভাবে পড়ার জন্য ছবির উপর ক্লিক করুন,জুম করুন এবং ডাউনলোড করুন।

পি কে হালদারের সহযোগী গ্রেপ্তার

ইসমাম পারভেজ কনক   বিদেশে পলাতক রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। আজ বুধবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করে। ওই মামলার তদন্তে অবন্তিকা বড়ালের সম্পৃক্ততা পায় দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, পি কে হালদারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর বান্ধবীদের অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে। পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠানে অর্থ রেখে অনেকে হয়রানি ও ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। ভুক্তভোগীরা তাঁর (খুরশীদ আলম খান) চেম্বারে গিয়ে দেখা করে কথা বলেছেন। পি কে হালদারের অনেক বান্ধবী থাকা ও তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার তথ্য মূলত ভুক্তভোগীরা জা...