সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ধীরগতির ইন্টারনেট পিছিয়ে দিচ্ছে দেশের উন্নয়ন

ইসমাম পারভেজ কনক

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি যে উগান্ডার চেয়েও খারাপ, সেটা গত সপ্তাহের একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। অবস্থাটা নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন। বাংলাদেশের মানুষ দুই উপায়ে ইন্টারনেট পেয়ে থাকে। একটি হলো ফাইবার অপটিক ব্রডব্যান্ড, আরেকটি হলো মোবাইল ইন্টারনেট। বাংলাদেশে পরিকল্পিত উপায়ে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠেনি

বর্তমানে বাংলাদেশ তার জীবদ্দশায় সবচেয়ে ক্রিটিকাল সময় পার করছে। বাংলাদেশের জন্য এই দশকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে, আমাদের তরুণ নাগরিকদের কাছ থেকে যে সুবিধাটুকু আমরা পেতে পারি, তার শ্রেষ্ঠ সময় হলো এই দশক। আগামী দশকে সেটা ম্যাচুউর হবে। এবং চল্লিশের দশকে গিয়ে বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়াবে, সেটাই হবে পরবর্তী সময়ের বাংলাদেশ। তারপর গ্রোথ খুব ধীরগতির হবে। এটা আমার একার কথা নয়, বাংলাদেশ নিয়ে যারা ভাবেন, তারাও এর সঙ্গে একমত।

এই দশকে এসে বাংলাদেশ যেমন তার ৫০ বছরে পা দিল, একইভাবে নতুন একটি দশক শুরু করেছে, যা তার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেবে। এই দশকে যদি এই দেশ একই উন্নয়ন ধরে রাখতে না পারে, তাহলে আর হলো না। এই বিশাল জনসংখ্যার দেশটিকে উন্নত জীবনযাত্রার স্বাদ আর পাওয়া হবে না।

তবে এই দশকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেটের গতি। বাংলাদেশ যেভাবে তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে, সেটা আরো বেশি বেগবান হতো যদি এই দেশের জনগণ পুরোপুরি ইন্টারেনেটের সুবিধাটুকু নিতে পারত। চলুন দেখে নিই, বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কোথায় কোথায় বড় আকারে ভুল করেছিল। তাহলেই বোঝা যাবে, এই দশকে আমরা সেটা কতটা করতে পারব।

 

নব্বইয়ের দশক

বাংলাদেশ মূলত তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রবেশ করে নব্বইয়ের দশকে। এর আগে বাংলাদেশ আইবিএম-এর মেইনফ্রেম কম্পিউটার ছিল। সেটা বিশেষ গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হতো। সাধারণ মানুষের, কিংবা সরকারের বড় কোনো কাজে সেগুলো ব্যবহৃত হতো না। তাই আমি শুরুটা করছি নব্বইয়ের দশক থেকেই।

এই দশকে এসে বাংলাদেশ তার প্রথম কম্পিউটার গ্র্যাজুয়েট বের করে। বুয়েটে তখন কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ানো শুরু হয়। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়। দেশে যথেষ্ট পরিমাণে লোকবল না থাকলে তো আর সেই ক্ষেত্রটি বেড়ে ওঠে না। সেই হিসেবে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পা রাখতে শুরু করে।

সারা পৃথিবীতেও তখন পারসোনাল কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়তে থাকে। বাংলাদেশেও তার ছোঁয়া লাগতে শুরু করে। বাংলাদেশে তখন প্রথম কম্পিউটার কাউন্সিল গঠিত হয়। তারাই মূলত বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে চালিত করত। বাংলাদেশে তখন দুটি বিষয় ঘটল: ক) অনলাইন ইন্টারনেট প্রবর্তন, খ) মিলিনিয়াম (১৯৯৯ সাল থেকে ২০০০ সালে প্রবেশ)।

তখন খুব স্বল্পমাত্রায় বাংলাদেশের মানুষ চড়া দামে ইন্টারনেট পেতে শুরু করল। পাশাপাশি পুরো পৃথিবীতে ডেটা এন্ট্রি করার বিশাল একটি বাজার তৈরি হলো, যা ভারত নিয়ে নিল। বাংলাদেশ ওই বাজারে প্রবেশ করতে পারল না। এর মূল কারণ ছিল, বাংলাদেশ তখনো ওই বাজার ধরার জন্য প্রস্তুত ছিল না। ভারত আশির দশকেই যেভাবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে গুরুত্ব দিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছিল, সেটা বাংলাদেশ পারেনি। ফলে বিলিয়ন ডলারের পুরো ব্যবসাটাই চলে যায় ভারতে।

ওই দশকে বাংলাদেশ বিনা মূল্য সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছিল, যা তখন এই দেশ নেয়নি। ফলে বাংলাদেশ নিজেকে আরো পিছিয়ে দিল। গত শতকে বাংলাদেশ যা পেতে পারত, সেটা আর হলো না। ওই সুযোগটুকু ধরতে পারলে পরবর্তী দশকগুলো আরো ভালো হতো।

আমাদের নেতৃত্বের ভিশনটুকু তখনো গ্লোবাল মার্কেটের জন্য প্রস্তুত ছিল না।

 

এই শতাব্দীর প্রথম দশক

এই দশকে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার কিছুটা বেড়েছিল। পুরো বিশ্বেই তখন ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে। এবং ইন্টারনেটের উত্থান ওই সময়টাতেই। সিসকোর মতো বিশাল প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছিল শুধু ইন্টারনেটের গ্রোথকে সামনে রেখে। ওই প্রতিষ্ঠানটি তখনই ট্রিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হবে বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এই দশকের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি ছিল ভয়েস অভার আইপি (ভিওআইপি)। পুরো বিশ্ব যখন এই প্রযুক্তিকে বুকে জড়িয়ে নিচ্ছে, তখন বাংলাদেশ এই প্রযুক্তিকে নিষিদ্ধ করে দিল। তারা মনে করল, এর ফলে আন্তর্জাতিক ভয়েস কলের মুনাফা কমে যাবে। দেশের ভেতরেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল। ফলে এই প্রযুক্তির ব্যবহারে বাংলাদেশ যুক্ত হলো না। দেশের মানুষকেও যুক্ত করল না।

ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এই প্রযুক্তিকে কাছে টেনে নিল। ইউরোপের একটি ছোট দেশ এস্টোনিয়ার চারজন প্রোগ্রামার তৈরি করে ফেলল স্কাইপ। এই উদাহরণটুকু এ জন্য দিলাম যে, প্রযুক্তিকে উন্মুক্ত রাখলে মানুষ কতটা ক্রিয়েটিভ হতে পারে, মানুষ কতটা জ্ঞানের দিক থেকে এগিয়ে যেতে পারে, সেটা বোঝানোর জন্য। সেই স্কাইপ আমরা এখনো ব্যবহার করছি। স্কাইপ হলো একটি উদাহরণ মাত্র। কিন্তু স্কাইপের মতো এমন অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছিল, যেগুলো পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশাল অবদান রেখেছে।

বিশ্বের অনেক দেশ তার জনসংখ্যাকে তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করে ফেলেছিল, যার সুবিধা তারা এখনো পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেটা পারেনি। সে আটকে গিয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তিকে বাধা দিতে, মানুষকে যুক্ত করতে পারেনি। একটি জাতিকে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়, সেটা বুঝতে পারেনি। তারা ব্যস্ত হয়ে গেল চোর-পুলিশ খেলায়। ওই প্রযুক্তি উন্মুক্ত করে রাখলে বাংলাদেশের জনগণ এখন অনেক বেশি প্রস্তুত থাকত।

 ধীরগতির ইন্টারনেট

এই শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক

খুব নির্মোহভাবে যদি বলি, তাহলে গত দশক থেকেই আসলে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেছে। সরকার তার অনেক সেবা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি এ খাতটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

গত দশকের শুরুতে ইন্টারনেটের ব্যবহার যতটা ছিল, সেটা অনেকাংশে বেড়েছে দশকটির শেষ ভাগে এসে। তবে বাংলাদেশ এই ব্যবহারকারী আগের দশকেই পেতে পারত, যদি সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে পারত।

এই দশকে বাংলাদেশের মানুষ প্রাইভেট সেক্টরেও সেবা পেতে শুরু করেছে। ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা, ডিজিটাল পেমেন্ট, ই-কমার্সগুলো আসতে শুরু করে, যেগুলো পৃথিবীর অনেক দেশ আরো ২০ বছর আগেই করে ফেলেছে। অর্থাৎ আমরা অন্তত ২০ বছরে পিছিয়ে থাকলাম।

আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা নিজেদের চেষ্টায় ফ্রিল্যান্সিং কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাংলাদেশে বসে বিশ্বের উন্নত দেশের কাজ করতে শুরু করে। তবে বিদেশ থেকে টাকা আনা নিয়ে হাজারো ঝক্কি পোহাতে হয়েছিল, যেগুলো এখন অনেকটাই ঠিক হয়ে এসেছে। কিন্তু এগুলোও আরো ১০ বছর আগেই ঠিক হয়ে যেতে পারত। শুধু নীতিগত কারণে পিছিয়ে যাওয়া। তারপরেও বলব, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে বেশ ভালো একটি জায়গা করে নিয়েছে। এই কাজটিতে বাংলাদেশ আরো ভালো করতে পারত যদি সে প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেটের ভালো গতি পৌঁছে দিতে এবং ডিজিটাল পেমেন্টটাকে সহজতর করতে পারত।

 

এই শতাব্দীর তৃতীয় দশক

এই দশকটি কেবল শুরু হয়েছে এবং এই দশকে আমরা যা করব, তার অনেক কিছুর ফল পাব আগামী দশকে গিয়ে। কিন্তু এই দশকে কাজটি না করলে সেটা আগামী দশকেও পাব না। কোনো কিছুই এমন নয় যে, একটা বোতাম চেপে দিয়ে তাড়াতাড়ি করে ফেলা যাবে। এগুলো করতে সময় লাগে এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়।

যে কাজটি আরো দুই দশক আগেই হতে পারত, সেটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবচেয়ে বড় অন্তরায়। সেটা হলো ইন্টারনেটের গতি, উন্নত মানের ইন্টারনেট। বাংলাদেশ এটাকে যদি ঠিক করতে পারত, তাহলে তার জিডিপি আরো ২ ভাগ বেড়ে যেত। কিন্তু আমরা এখনো সেখানে স্ট্রাগল করছি।

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি যে উগান্ডার চেয়েও খারাপ, সেটা গত সপ্তাহের একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে। অবস্থাটা নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন। বাংলাদেশের মানুষ দুই উপায়ে ইন্টারনেট পেয়ে থাকে। একটি হলো ফাইবার অপটিক ব্রডব্যান্ড, আরেকটি হলো মোবাইল ইন্টারনেট। বাংলাদেশে পরিকল্পিত উপায়ে ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠেনি। ঢাকার চেয়ে জেলা শহরগুলোতে ইন্টারনেটের গতি এবং মূল্য বেশি। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এখনো ঢাকাকেন্দ্রিক, যা মোটেও কাম্য নয়। ঢাকায় কিছু কিছু এলাকা ফাইবারের আওতায় এসেছে। কিন্তু সেগুলো আন্তর্জাতিক মানের নয়। আর এটাই যেহেতু মূল রাস্তা, সেই রাস্তাটুকু ভালো না হলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে এখন।

আর মোবাইল ইন্টারনেটের অবস্থা যে ভয়াবহ খারাপ, সেটা তো আমরা সবাই জানি। ঢাকা শহরের মানুষ কিছুটা ফোর-জির গতি পেলেও ঢাকার বাইরের অবস্থা খুবই নাজুক। এটা একটি ভিডিও কল করলেই বুঝতে পারবেন। এটা বোঝার জন্য কম্পিউটার বিজ্ঞান পড়ার প্রয়োজন নেই। এটা মূলত হয়েছে মোবাইল অপারেটররা ঢাকার বাইরে তেমন বিনিয়োগ করেনি, যা তাদের লাইসেন্সের আওতায় করার কথা। এবং বাংলাদেশ যেহেতু এটাকে নিশ্চিত করতে পারেনি, তাই দেশ আরো ১০ বছরের বেশি সময় পিছিয়ে গেল। ভারতের একটি অজপাড়াগাঁয়ে বসে মানুষ যেভাবে লাইভ করতে পারে, বাংলাদেশের মানুষ সেটা জেলা শহরেই পারে না। তাহলে কোন দেশটি এগোবে?

এই দশকের বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সামনে তিনটি চ্যালেঞ্জ। প্রথমটি হলো, উন্নত মানের ইন্টারনেট, যা আরো ২০ বছর আগেই সমাধান হওয়ার দরকার ছিল। দ্বিতীয়টি হলো উন্নত বুদ্ধির মানুষ। তথ্যপ্রযুক্তি হলো এমন একটি খাত, যেখানে বুদ্ধির প্রয়োজন হয়। ফ্যাশন শো করে এ সমস্যার সমাধান হয় না। এর জন্য চাই প্রকৃত বুদ্ধিমান মানুষ। কিন্তু বাংলাদেশ এখন বড় ধরনের ব্রেইন-ড্রেইনের ভেতর পড়ে গেছে। পৃথিবীর বড় বড় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভালো লোকগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে সেবা তৈরি করার মতো মানুষ এ দেশে থাকছে না। আমরা মূলত কনজ্যুমার হচ্ছি। আমাদের যদি প্রস্তুতকারকের ভূমিকায় আসতে হয়, তাহলে আরো ব্রেইন লাগবে। প্রয়োজন যারা বিদেশে চলে গেছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে, যা মালয়েশিয়ার মাহাথির করেছিলেন। আর তৃতীয়টি হলো, ইন্টিলেকচুয়াল প্রোপার্টির কপিরাইট প্রটেকশন, যাতে বাংলাদেশ এখনো বেশ দুর্বল। মেধাস্বত্ব যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না যায়, তাহলে মেধাবীরা ওখানে থাকবে না। আর এই শিল্পে মেধার কোনো বিকল্প নেই।

আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ভালো করবে। কিন্তু বারবার ভুল করলে সেই ভুলের মাশুল দিতে দিতেই একটি জাতি পিছিয়ে পড়ে। আমরা অন্যান্য খাতে যেমন ভালো করছি, তেমন এই খাতটিকে যদি আরো ভালো করতে হয়, এর থেকে পুরো সুবিধা নিতে হয়, তাহলে ওপরের তিনটি বিষয়কে শক্তভাবে ধরতে হবে। তখন ফলাফল না পাওয়ার তো কোনো কারণ আমি দেখি না। এ দেশ ভালো করবেই।

মন্তব্যসমূহ

★★★গত ৭ দিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় পোস্টগুলি★★★

দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে হাইকোর্টে রিট

ইসমাম পারভেজ কনক   মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে গ্রাহকদের স্বার্থে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারনেটের গতিসম্পন্ন সেবা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য, সাংবাদিক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিট করেন। এতে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকা

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ টি দোকান,ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা

ইসমাম পারভেজ কনক কুমারখালী জিলাপি তলা আজিজ মার্কেটে (২৫) নভেম্বর দুপুর ১:৪০ সময় আগুনে পুড়ে ১০ টি  দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বেচাকেনা করতে যখন ব্যাস্ত। সেই সময় দোকানে আগুন দেখে প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করেন দোকানদারিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কুমারখালী ইউনিট ও খোকসা ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকানদার শরিফুল বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার  মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হচ্ছে। ।এতথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস দলের লিডার লুৎফর রহমান । তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, এতে ১০ টি দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বন্ধ হচ্ছে বহু জিমেইল অ্যাকাউন্ট!

ইসমাম পারভেজ কনক প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল-এর মেইলিং সার্ভিস জিমেইল তাদের সেবা ব্যবহারকারীদের বহু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন নিয়মের কারণে আগামী জুন মাস থেকে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আগামী জুন থেকে গুগল ফটোজে বিনামূল্যে ছবি রাখার সুবিধাও তুলে নেয়া হবে। নতুন নীতি অনুযায়ী ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো ইনঅ্যাকটিভ রয়েছে, সেগুলো পুরোপুরি ডিলিট করে দেওয়া হবে। তবে এ নিয়ম কার্যকরের আগেই প্রত্যেক অ্যাকাউন্টধারীকে ই-মেইল মারফত সতর্কবার্তা পাঠানো হবে গুগলের পক্ষ থেকে। গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যবহারকারীরা আর বিনামূল্যে গুগল ফটোজ ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, ডকুমেন্টস, শিটস, স্লাইডস, ড্রইংস, ফর্মস এবং জ্যামবোর্ড ফাইলস ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করেননি, তাদের সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হবে। অবশ্য, ইনঅ্যাক্টিভ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের বিশ্বাসযোগ্য কন্টাক্টসদের কাছে তাদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছে দেওয়ার

কুষ্টিয়ায় টিসিবি'র পণ্য দিতে করোনা ছড়ায় না,মাস্কেরও প্রয়োজন পরে না!

ইসমাম পারভেজ কনক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা থেকে আজ সকালে হরিপুর বোয়ালদাহ মোড়ের চিত্র। নেই কোন মাক্স নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। মূলত করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ তার প্রথম দিন।কিন্ত পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই যে কি উদ্দেশ্যে এই লকডাউন। হয়তো তারা ভাবছে সরকারি ভাবে কোন কার্যক্রম করলে সেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াবেনা।এলাকাবাসী মনে করছে করোনা সংক্রমণ রোধে টিসিবি'র পণ্য বিক্রয়কারীদের অনেক সচেতনতার সাথে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিৎ বলে মনে করেন তারা।

কুষ্টিয়ায় আজ ১১টি মোবাইল কোর্টে ৫১টি মামলায় ৫৪জনকে ৭৮,৪৫০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায়

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৫/০৪/২০২১ তারিখে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত কর্মসুচি বাস্তবায়নের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট আইনসহ তফসিলভূক্ত অন্যান্য আইনে  কুষ্টিয়া জেলা শহর ও  উপজেলাসমূহে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়৷ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। আজ কুষ্টিয়া জেলায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টের তথ্যাদি নিম্নরুপঃ    *মোবাইল কোর্ট অভিযানঃ ১১ টি  *মামলার সংখ্যাঃ  ৫১ টি  *অর্থদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তির সংখ্যাঃ  ৫৪ জন *আদায়কৃত জরিমানার পরিমানঃ ৭৮,৪৫০/- টাকা  *আইন ও ধারাঃ  সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন, ২০১৮ এর ২৫(২) ধারা / দন্ডবিধি,১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারা/ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারা৷    জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷  #

১৩০ কোটি ভুয়া একাউন্ট বন্ধ করেছে ফেইসবুক!

ইসমাম পারভেজ কনক বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে যুক্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে আশঙ্কাজনকভাবে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুয়া (ফেক) অ্যাকাউন্টও। সাধারণত এ ধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে অনেকে। তাই এসব ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে বেশ তৎপর রয়েছে ফেসবুক, টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আজ সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মাত্র তিন মাসে ১৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটিতে গুজব বা যেকোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে ৩৫ হাজারেরও বেশি কর্মী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। এক ব্লগপোস্টে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে কোভিড-১৯ রোগ ও ভ্যাকসিন সম্পর্কিত এক কোটি ২০ লাখের বেশি ভুয়া তথ্য সম্বলিত পোস্টও সরিয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ

কুষ্টিয়ায় ৫০ টাকার তরমুজ ৫৫ টাকা কেজি বিক্রির দায়ে ১১,০০০ টাকা অর্থদন্ড ও আদায়

ইসমাম পারভেজ কনক জনসাধারনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ২৬/০৪/২০২২ তারিখে  কুষ্টিয়া জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য ও ফলের বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম  এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে  ক্রয়কৃত পণ্যের মূল রশিদ সংরক্ষণ না করা এবং তরমুজের মূল্য বেশি রাখার দায়ে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর  ১৯ ধারায় ৪ টি মামলায় ৪ টি প্রতিষ্ঠান কে মোট ১১,০০০/ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়েছে একই সাথে রমজান মাসকে উপলক্ষ্য করে অন্যায্যভাবে দাম বৃদ্ধি না করতে তরমুজ ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে৷  জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রিজু তামান্না ও জনাব মোঃ বনি আমিন এঁর ভ্রাম্যমাণ আদালতে উক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়।  ইফতার সামগ্রী ও মৌসুমী ফলের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মাহবুব উল আলম হানিফের করোনা মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. শুক্রবার বাদ জুমআ কালেক্টরেট জামে মসজিদ, কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাহবুব উল আলম হানিফ মহোদয়সহ সকল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় সকলকে  মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।

মুনিয়ার সুরতহাল রিপোর্টে যেসব বর্ণনা দিয়েছে পুলিশ!!

ইসমাম পারভেজ কনক বর্তমানে দেশে চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর গুলশানে অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার। মুনিয়া ‘আত্মহত্যা’ করেছে, নাকি তাকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছে তদন্তকারীরা। ফ্ল্যাটে মুনিয়াকে যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো, সে বিষয়ে বর্ণনা দিয়ে কিছু সুপারিশ করেছে পুলিশ। . এই তরুণীকে ‘ধর্ষণ’ কিংবা ‘বিষ প্রয়োগ’ করা হয়েছিল কি না? তা খতিয়ে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের কাছে সুপারিশ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজধানীর গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান। মুনিয়ার মৃত্যুর পর আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেনের লেখা একটি সুরতহাল  রিপোর্ট হাতে এসেছে।  . তাতে তিনি লিখেছেন, ‘হত্যার আগে ভিকটিম ধর্ষিত হয়েছে কি না তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিংবা তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না তাও তদন্তের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।’  . সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মুনিয়ার বয়স ২৩ বছর। গায়ের রং ফর্সা। লম্বা অনুমান ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। মাথার চুল লম্বা অনুমান ১২ ইঞ্চি। চুলের রং বাদামি। মুখমণ্

আজ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শীপ-২০২০ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

 আজ ০৪ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল স্টেডিয়াম জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়ায় জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে জেএফএ-অনু-১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শীপ-২০২০ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়ার সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবে ক কৃতি ফুটবলার ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের মাননীয় জাতীয়  সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আতাউর রহমান আতা, চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা, কুষ্টিয়া ; এড. অনুপ কুমার নন্দী, সাধারণ সম্পাদক,  জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়া ; জনাব মোঃ মকবুল হোসেন লাবলু, সভাপতি,  কুষ্টিয়া জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন।