সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শবে বরাতের প্রকৃত তাৎপর্য ও ফজিলত

ইসমাম পারভেজ কনক

‘শবে বরাত’ ফারসি শব্দ। ‘শব’ অর্থ- রাত আর ‘বরাত’ অর্থ ভাগ্য। দু’টো শব্দ একত্রে করলে হয় ‘ভাগ্যের রাত বা ভাগ্যের রজনী। শবে বরাত নিয়ে মুসলিম উম্মাহর মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। এ রাত সর্ম্পকে একপক্ষের মত হল, এ রাতে প্রত্যেক মানুষের ভাগ্য লিখে দেয়া হয়। তাই এ রাতে অনেক বেশি নামাজ পড়ে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে হয়।

যারা শবে বরাত পালন করেন, তাদের মতে ১৫ই শাবান মহানবী (সা.) রোজা রাখতেন এবং রাতে কবর যিয়ারত করতেন ও বেশি নফল নামাজ পড়তেন। তাই দিনে রোযা রাখতে হবে এবং রাতে নফল নামাজ পড়তে হবে এবং কবর জিয়ারত করতে হবে। আরো বলা হয় এ রাতে মৃত আত্মারা পৃথিবীতে ফিরে আসে এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদের দেখে যায়। অনেকে এটিও বলেন, জান্নাতে একটি গাছ আছে যার পাতাগুলোতে পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের নাম লেখা আছে যে পাতাগুলো এ রাতে পড়ে যায়, সে পাতাতে যে সব মানুষের নাম লেখা থাকে তারা এ বছর মারা যাবে। অনেকের মতে এ রাতে মানুষের জীবন ও মৃত্যু সর্ম্পকে সিদ্ধান্ত হয়। বলা হয় এ রাতে আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং বলেন কে আছে যে ক্ষমা চাইবে আর আমি ক্ষমা করবো। কে আছে যে চাইবে আর আমি তাকে দিব।
যারা শবে বরাত পালন করেন তারা এর পক্ষে পবিত্র কুরআনের সুরা দুখানের ৩-৫ নম্বর আয়াত উপস্থাপন করে থাকেন। যেখানে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন- ‘আমি একে নিশ্চয় এক আশিষপূর্ণ রাতে অবতীর্ণ করেছি, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নিশ্চয় আমিই রাসুল প্রেরণ করে থাকি।’

তারা কিছু হাদিসও উপস্থাপন করে থাকেন। হজরত আয়িশা সিদ্দিকা (রা.) বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন; আমি তখন ওঠে তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল; তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়িশা! তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না? নবীজি (সা.) বললেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলই ভালো জানেন। তখন নবীজি (সা.) বললেন, এটা হলো অর্ধশাবানের রাত; এ রাতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। (শুআবুল ইমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২)।
কিছু লোকদের মতে, দ্বিতীয় হিজরিতে কিবলা পরিবর্তন হয়। আর সে দিনটি ছিল ১৫ই শাবান। এ জন্য এ দিনটি উদযাপন করা হয়। অনেক আলেমগণ শবে বরাতকে সুরা দুখানের আয়াতে বর্ণিত ‘লায়লাতুন মুবারাকাতুন’ বলে থাকে।
আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরান, ভারত ও বাংলাদেশ শবে বরাত অত্যন্ত জমকালোভাবে পালন করা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো সউদি আরবে শবে বরাত বলতে কোন অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয় না। অপর দিকে যারা শবে বরাত পালন করেন না তাদের যুক্তি হল, এ রাত সম্পর্কে যে ধ্যান ধারণা অনেক মুসলমানদের মধ্যে রয়েছে, এর কোন প্রমাণ কুরআন, সুন্নাহ ও হাদিসে পাওয়া যায় না। তারা বলেন মহানবীর (সা.) যুগে তো নয়ই, বরং তাবেঈনদের যুগেও এর কোন নামগন্ধ পাওয়া যায় না। শবে বরাত ইরান থেকে অন্যান্য দেশে ছড়িয়েছে। ‘শবে বরাত’ ফার্সি শব্দটিও এদিকে সুস্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে। আসলে লায়লাতুল কাদর এর ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করলে শবে বরাত হয়। ‘শব’ ফারসি শব্দ। এর অর্থ হলো রাত এবং বরাতও ফার্সি শব্দ। এর অর্থ হল ভাগ্য। তারা বলেন এ শব্দটি কুরআন ও হাদিসের কোথাও ব্যবহার হয়নি। তবে এর বিপরীতে সুরা কদরে ‘লায়লাতুল কাদর’ শব্দ পাওয়া যায় যা রমজানের সাথে সম্পৃক্ত শাবান মাসের সাথে নয়।

সুরা দুখানের যে আয়াতটি শবে বরাত সর্ম্পকে দলীলরূপে উপস্থাপন করা হয় তা ঠিক নয়। সুরা দুখানের ৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন ‘আমি একে নিশ্চয় এ আশীষপূর্ণ রাতে অবতীর্ণ করেছি।’ এখানে ‘হু’ অর্থাৎ ‘একে’ সর্বনামটি কার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে তা নির্ণয় করতে হবে। সব মুফাসসিরগণ এ সর্বনামটি কুরআনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে একমত। এখন প্রশ্ন হল কুরআন কবে অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয়েছে শাবান মাসে না রমজান মাসে? পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন ‘রমজান সেই মাস যাতে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৪) অতএব পবিত্র কুরআন রমজান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। উম্মতে মোহাম্মাদিয়া একমত যে, কুরআন রমজান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সুরা দুখানে বর্ণিত ‘লায়লাতুন মুবারাকা’ শাবান মাসের নয় বরং রমজান মাসের রাত বলে আল্লাহ তাআলা নির্ণয় করছেন। যাদের মতে ‘লায়লাতুন মুবারাকা’ শাবান মাসের ১৫ তারিখের রাত, তারাও এ কথাটি মানেন যে, কুরআন রমজান মাসে অবতীর্ণ হয়েছে।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.), হজরত ইবনে ওমর (রা.), মুজাহিদ, কাতাদা ও হাসান বসরির মতো প্রখ্যাত তাফসীরকারকগণ ‘লায়লাতুন মুবারাকা’ বলতে ‘লায়লাতুল কদর’কে আখ্যায়িত করেছেন। যারা শবে বরাত পালন করেননা তারা আরো বলেন, ‘শবে বরাত’ বা ‘লায়লাতুল মুবারাকা’ হল লায়লাতুল কদর তা কুরআন থেকেই প্রমাণিত হয়। আর এটিও সুস্পষ্ট কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এ ঘোষণা স্বয়ং আল্লাহ্ তাআলার। ১৫ই শাবানের রাতের উল্লখ পবিত্র কুরআনের কোথাও নেই।

এখন প্রশ্ন ওঠে এ রাতে মৃত্যু অথবা ভাগ্য নির্ধারিত হয় অথবা মৃত আত্মীয়স্বজনদের আত্মা পৃথিবীতে আসে এসব কি? এর উত্তর হল কুরআনে ও হাদিসে এর কোন উল্লেখ নেই। মৃত্যু সর্ম্পকে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কেউ মরতে পারে না। সেজন্য এক মেয়াদ নির্ধারিত রয়েছে। (সুরা আলে ইমরান : ১৪৫) আল্লাহ আরো ইরশাদ করেন, ‘তিনি বৃষ্টি অবতীর্ণ করেন। আর গর্ভাশয়ে যা-ই আছে তিনি তা জানেন। আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে এবং এটাও কেউ জানে না কোন স্থানে সে মারা যাবে।’ (সুরা লুকমান : ৩৩)

এছাড়া আরো বহু আয়াত রয়েছে যা থেকে জানা যায় মৃত্যু সর্ম্পকিত বিষয়াদী আল্লাহ তাআলা শাবানের ১৫ তারিখ নির্ধারণ করেন না বরং এই তকদীর বা পরিমাপ আল্লাহর হাতে এবং এটা তিনি লায়লাতুল কাদরের রাতেও তা নির্ধারণ করেন না। এ মেয়াদ জন্ম হতেই নির্ধারিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি সবকিছু এক পরিমাপে সৃষ্টি করেছি। আর আমাদের আদেশ চোখের পলক ফেলার ন্যায় এক নিমিষেই (কার্যকর হয়)।’ (সুরা কামার : ৫০) পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’লা বলেন, হে যারা ঈমান এনেছ! তোমরা আল্লাহর তাকওয়া সেভাবেই অবলম্বন কর যেভাবে তার তাকওয়া অবলম্বন করা উচিত। আর তোমরা কখনো আত্মসমর্পণকারী না হয়ে মৃত্যু বরণ কর না।’ (সুরা আলে ইমরান : ১০২) মৃত্যু যদি ‘লায়লাতুল মুবারাকাতে’ নির্ধারিত হয় তবে এ আয়াতের কি অর্থ করবেন?

ইসলাম এটি বলে না যে একদিন বা এক রাতে ইবাদত কর, আর প্রয়োজন নেই। আল্লাহ, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, তাকওয়া, দানখয়রাত এক রাত বা একদিনের ব্যাপার নয়। এ এক নিয়মিত কর্ম। যদি এক রাতেই বছরের সব কিছু নির্ধারিত হয় তবে এক রাতের পর সারা বছর ইবাদত আর আমলের কোন প্রয়োজন থাকে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি বল, হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের প্রাণের ওপর অবিচার করেছ! তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দিতে পারেন। নিশ্চয় তিনিই অতি ক্ষমাশীল ও বার বার কৃপাকারী।’ (সুরা আয যুমার : ৫৩)

এ আয়াত আল্লাহর ক্ষমার দ্বার এক রাতের জন্য নয় বরং প্রতিটি মুহূর্তের জন্য খুলে দিয়েছে। প্রকৃত তওবা করলে যে কোন দিন, যে কোন রাত, যে কোন মূহুর্তে সে আল্লাহর কৃপার অধিকারী হতে পারে। তাই আল্লাহর সিদ্ধান্ত বান্দার আমলের কারণে হয়। ইসলামে কর্ম হলো এক চলমান প্রক্রিয়া যা জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত করে যেতে হবে।

হাদিসের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় মহানবী (সা.) ‘আইয়্যামুল বীজ’ অর্থাৎ আলোকিত দিনগুলোতে প্রতি মাসে রোজা রাখতেন। আর এ দিনগুলো হল প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ। এ সর্ম্পকে বুখারি, নাসাঈ ও মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বলে সহিহ রেওয়াত রয়েছে। সুতরাং এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, মহানবী (সা.) শুধুমাত্র শাবানের ১৫ তারিখে রোজা রাখেন নি বরং প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রেখেছেন।

তবে বিভিন্ন রেওয়াত হতে জানা যায় শাবান মাসে মহানবী (সা.) অনেক বেশি রোজা রাখতেন এবং ইবাদত-বন্দেগী করতেন। রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে যে এ রোজাগুলো রাখতেন এতে অধিকাংশ মুহাদ্দেসীন একমত। একজন প্রকৃত মুসলমান হিসেবে আমাদের করণীয় হচ্ছে পবিত্র কুরআনের শিক্ষা ও মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শের ওপর পরিপূর্ণ আমল করে চলা।

পরিশেষে এটাই বলব, মহানবীর (সা.) জীবনাদর্শ থেকে ১৫ শাবানের রাতে উঠে দোয়া করার বিশেষ কোন শিক্ষা যদি আমরা পেয়ে থাকি তাহলে আমাদেরও উচিত হবে রাতে উঠে গোপনে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে দোয়া করা। মহানবী (সা.) রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে শাবান মাসের রাতগুলোতে বিশেষভাবে দোয়া করতেন। আমাদেরও দোয়া করা উচিত, হে আল্লাহ! আমার জন্য রমজান যেন মুবারক হয়, আমাকে সুস্থ রাখ, আমি যেন রমজানের রোজা রাখতে পারি।

তাই আসুন, পবিত্র শাবান মাসের অবশিষ্ট দিনগুলোতে রমজানের পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করি আর ব্যক্তিগত ব্যস্ততাগুলোকে গুটিয়ে নিয়ে আসি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষার ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন।

মন্তব্যসমূহ

★★★গত ৭ দিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় পোস্টগুলি★★★

ভাস্কর্য নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে এইটা আরো জোড়ালো হওয়া উঁচিত কারণঃ

ইসমাম পারভেজ কনক করোনা কালীন সময়ে দেশের সবাই অভাবগ্রস্থ।কিন্তু ভাস্কর্য করতে অনেক টাকা খঁরচ করা হচ্ছে।আর এই ভাস্কর্য নির্মাণের পিছনে রয়েছে দূর্নিতীবাজ আওয়ামিলীগের কিছু নেতারা।যারা বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভোগ করে আসছে।এখন ভাস্কর্য নির্মাণের মিথ্যা নাটক করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।শত শত প্রমাণ দেয়া যাবে,ভাস্কর্য নির্মাণ করতে খঁরচ হয় ২০ হাজার টাকা।কিন্তু খঁরচ ধরা হচ্ছে।৩ লাখ টাকা।ভাস্কর্য মূর্তি তৈরী করতে খঁরচ হয় ২৫ লক্ষ টাকা।কিন্তু খঁরচ ধরা হচ্ছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা।এইটা পৃথিবীর সব থেকে বড় ভাস্কর্যের কথা বললাম।যেইটা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।এই ভাস্কর্য নির্মাণ অবশ্যয় বন্ধ করা উঁচিত।কারণ ভাস্কর্য নির্মাণের নামে কিছু দূর্নিতীবাজ মানুষ আমাদের কঠোর শ্রমের টাকা ভোগ করতেছে।আর আমরা কঠোর পরিশ্রম করে,অভাবে অনটনে দিন যাবন করছি।আমি চাই ভাস্কর্য নির্মাণ করা বন্ধ হোক।যাতে দূর্নিতীবাজ লোকজন বঙ্গবন্ধুর নামে আর সম্পদ ভোগ করতে না পারে।আমাদের দেশের কৃষকের ঘাম ঝড়ানো টাকায় ভাস্কর্য নির্মাণের নামে এসি রুমে বসে থাকা দূর্নিতীবাজ লোকজন শান্তিতে সব সম্পদ,টাকা ভোগ করবে।এইটা ...

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ টি দোকান,ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা

ইসমাম পারভেজ কনক কুমারখালী জিলাপি তলা আজিজ মার্কেটে (২৫) নভেম্বর দুপুর ১:৪০ সময় আগুনে পুড়ে ১০ টি  দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বেচাকেনা করতে যখন ব্যাস্ত। সেই সময় দোকানে আগুন দেখে প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করেন দোকানদারিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কুমারখালী ইউনিট ও খোকসা ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকানদার শরিফুল বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার  মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হচ্ছে। ।এতথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস দলের লিডার লুৎফর রহমান । তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, এতে ১০ টি দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা...

ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্ভোধন

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ২৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. তারিখে   কুষ্টিয়া জেলার মান্যবর  জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন মহোদয়  মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন করেন।  এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় উপজেলা প্রশাসন, মিরপুরের আয়োজনে  মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।  এরপর তিনি মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন এবং চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে মুজিববর্ষে ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ,করোনা, মাদক, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধসহ  সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মিরপুর, কুষ্টিয়ার ব্যবস্থাপনায় কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে  বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। পরিদর্শনের সময় মিরপুর  উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মিরপুর উপজেলা;  মেয়র, মিরপুর পৌরসভা  ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান উপস্থিত ছি...

অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে!

ইসমাম পারভেজ কনক   অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে।  ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার রুটিন  প্রকাশ। পরীক্ষা শুরু: ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ: ৭ মার্চ৷   এরা আন্দোলন করলো এদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যারা আন্দোলন করে অধিকার আদায় করতে পারবে,তাদের অধিকার দেয়া হবে।আর যারা পারবে না।তাদের ভাগাড়ে ফেলানো হবে। কিন্তু একটা বিষয় ভাবতেছি,সরকারী কলেজের সবাই কি ঘুমায়ে আছেন?আপনারা কি কেউ আন্দোলন করতে পারেন না? ২০১৯ সালের শেষ হওয়ার পরীক্ষা শুরু হল ২০২০ সালে।সেইটা ভাইরাসের কারণে ৫ টা হবার পর বন্ধ হল?১ বছর পর আগের থেকেও বেশী শীতের মধ্যে সকালে পরীক্ষা নেয়া হল।এখন প্রশ্ন এত শীতে সেই ভাইরাসের মধ্যেয় যদি পরীক্ষা দিবেন,তাহলে ১ বছর আগে কেন দিলেন না?আগে পরীক্ষা শুরু হত দুপুরে।আর ১ বছর পর পরীক্ষা দিলেন সকালে প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের মধ্যে কষ্ট করে।সেইটা দেয়ার পর আর এখন ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে আরও ১ বছরে নিয়ে যাচ্ছে।আপনাদের সাথে পড়া অনেকেয় অনার্স সম্পূর্ণ করে ফেলেছে।আর আপনারা ২ বছর পিছিয়ে গেছেন।আর রেজাল্ট পেতে ৩ বছর পিছিয়ে যাবেন।এখনও...

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা :ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি অব্যাহত

ইসমাম পারভেজ কনক   গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে যুক্তি-তর্কের ওপর শুনানি করা হয়। আগামীকাল বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আবারও এ শুনানি শুরু হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মৃধা, মিজানুর রহমান খান শাহীন ও মোহাম্মদ শাফায়াত জামিল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও মো. আহসান। এছাড়া পলাতক আসামির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী অমূল্য কুমার সরকার। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হয়ে অব্যাহতভাবে চলছে। কয়েক কার্যদিবসে শুনানি শেষ করা হতে পারে। এর মধ্যে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করবেন। আমরাও র...

এইমাত্র কুষ্টিয়াতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

ইসমাম পারভেজ কনক   আজ ১২/০১/২০২০ খ্রিঃ তারিখে কুষ্টিয়া পৌরসভা সাধারন নির্বাচন-২০২১ এ পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী কতৃক ধর্মীয় সভার আয়োজন করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থণা করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ ওর আওতায় ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে৷ জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ সবুজ হাসান এর ভ্রাম্যমান আদালতে উক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়৷  নির্বাচনী আচরণবিধিমালা প্রতিপালনে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রথম নারী ট্রেন চালক সালমা খাতুন

ইসমাম পারভেজ কনক ট্রেনের মূল চালককে বলা হয় লোকো মাস্টার বা সংক্ষেপে এলএম। বর্তমানে সহকারী চালক হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশে কর্মরত আছেন ১৯ জন নারী, তবে লোকো মাস্টার বা প্রধান চালক হিসেবে সালমাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নারী ট্রেনচালক। হাজারো মানুষের কথা চিন্তা করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে, ১৯৮৩ সালের ১ জুন তার জন্ম। কৃষক বাবা বেলায়েত হোসেন ও গৃহিণী মা তাহেরা খাতুনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সালমা চতুর্থ। ২০০৪ সালে এইচ এস সি পাস করার পর সালমা খাতুন সহকারী লোকো মাস্টার হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদান করেন। চাকুরীর পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যান তিনি। মতিঝিল টি এন টি কলেজ থেকে বি এস সি, মডার্ণ টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন থেকে বি এড এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে কাজী নজরুল সরকারী কলেজ থেকে এম এ সম্পন্ন করেন। দুই কন্যার জননী সালমার স্বামী ঢাকা জেলা দায়রা জজ কোর্টের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। নারী ট্রেন চালকদের নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। তবে সালমা খাতুনের ভাষ্যে, "কাজের ক্ষেত্রে পুরুষ যা পারে নারীরাও তাই পারে। দেশের প্রধা...

অল্প সুদে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

ইসমাম পারভেজ কনক   ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ আসছে বলে জানিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। এক্ষেত্রে অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) করোনাকালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ভূমিকা শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন। প্রণোদনা প্যাকেজটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবারই (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান সিনিয়র সচিব। আসাদুল ইসলাম বলেন, একটি প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিতে যাচ্ছি। এটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবো। অক্টোবর মাসে এটা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল সেটার ডিসবার্সমেন্টটা ভালো ছিল না। অনেক চাপ প্রয়োগ করেছি, ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটা অনীহাও ছিল। আর একটা পরিস্থিতি তারা ফেস করেছে, সেটা হলো তাদের কাছে (ক্ষুদ্র উদ্য...

প্রতি সপ্তাহের চাকরীর খবর

ইসমাম পারভেজ কনক প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চাকরির খবর পত্রিকা শুক্রবার সকালে এখানে প্রকাশ করা হয়।প্রতি সপ্তাহের পত্রিকা পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।সাপ্তাহিক চাকরীর খবর ছাড়াও আমরা যে কোন চাকরীর সার্কুলারই প্রকাশিত করে থাকি। পত্রিকাটি পরিষ্কারভাবে পড়ার জন্য ছবির উপর ক্লিক করুন,জুম করুন এবং ডাউনলোড করুন।

পি কে হালদারের সহযোগী গ্রেপ্তার

ইসমাম পারভেজ কনক   বিদেশে পলাতক রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। আজ বুধবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করে। ওই মামলার তদন্তে অবন্তিকা বড়ালের সম্পৃক্ততা পায় দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, পি কে হালদারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর বান্ধবীদের অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে। পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠানে অর্থ রেখে অনেকে হয়রানি ও ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। ভুক্তভোগীরা তাঁর (খুরশীদ আলম খান) চেম্বারে গিয়ে দেখা করে কথা বলেছেন। পি কে হালদারের অনেক বান্ধবী থাকা ও তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার তথ্য মূলত ভুক্তভোগীরা জা...