ইসমাম পারভেজ কনক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১০ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি। ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের এ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে ১৭ মার্চ বিকাল সাড়ে ৪টায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহামেদ সলিহ।
গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনগণের স্বাস্থ্যহানি না হয়, সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দিষ্টভাবে আমাদের বলেছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর এ আয়োজনে সম্পৃক্ত হওয়ার এবং আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এতে আমাদের পুরো অনুষ্ঠানটি নতুন করে বিন্যাস করতে হয়েছে।
তিনি জানান, ১০ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানটির মূল প্রতিপাদ্য—মুজিব চিরন্তন। এছাড়া প্রতিদিনের আলাদা থিম নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো প্রথম দিন ১৭ মার্চ ‘ভেঙেছে দুয়ার সেজেছো জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চ ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চ ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চ ‘তারুণ্যের আলোক শিখা’, ২১ মার্চ ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চ ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চ ‘নারী মুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চ ‘শান্তি মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চ ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’ এবং ২৬ মার্চ ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণ রেখা’।
দিবসভিত্তিক কার্যক্রম প্রসঙ্গে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, আমরা চারদিনের যে তথ্য এখন পর্যন্ত পেয়েছি, তার মধ্যে রয়েছে আগামী ১৭ মার্চ উদ্বোধনী দিনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট সরাসরি উপস্থিত থাকবেন। চীনের প্রেসিডেন্ট ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তা পাঠাবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি থাকবেন এবং সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৪টায়। অনুষ্ঠান হবে দুটি পর্বে। প্রথম পর্বে আলোচনা সভার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুরো অনুষ্ঠান ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সম্প্রচার এবং ভারত ও চীনে সরাসরি অথবা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সম্প্রচার করা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ১৮ মার্চ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে। অনুষ্ঠানে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা থাকবে। এছাড়া ভিয়েতনামের একটি অনুষ্ঠান থাকবে। ১৯ মার্চ শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে উপস্থিত থাকবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রীলংকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ২০ মার্চের অনুষ্ঠানে ওআইসির সেক্রেটারি জেনারেল ভিডিও বার্তা দেবেন এবং জাপান একটি অনুষ্ঠান উপহার দেবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন