ইসমাম পারভেজ কনক
কুষ্টিয়ার আইলচারার আজাদের দ্বিতীয় প্রেমকে কেন্দ্র করেই ডা. সিরাজুম মনিরা সোমা খুন !!
কুষ্টিয়ার আইলচারার আজাদের দ্বিতীয় প্রেমকে কেন্দ্র করে ডা. সিরাজুম মনিরা সোমার খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কুর্মিটোলা হাসপাতালের ইন্টার্নি চিকিৎসক ডা. সিরাজুম মনিরা সোমার হত্যার ঘটনায় তার সহপাঠী ডা. আজাদকে ঘিরে তদন্ত করছে পুলিশ।
ডা. এসএম রাকিবুল আজাদ পুলিশের ৩ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। সোমা হত্যার ঘটনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
তার তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করছে মামলার তদন্তকারীরা। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে যে, সোমা ও আজাদের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়াকে কেন্দ্র করে বা আজাদের দ্বিতীয় প্রেমকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটতে পারে।
তদন্ত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, সোমা এমবিবিএস পড়তে যান চীনে। চীনে একটি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়তে গিয়ে ডা. এসএম রাকিবুল আজাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। আজাদও ওই মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করতেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে তারা দুইজন এমবিবিএস পড়া শেষ করে দেশে ফিরেন। পরে তারা দু’জনই একসঙ্গে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্নশিপে যোগ দেন। চীনে ডাক্তারি পড়ার সময় যে তাদের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল তা ঢাকায় আসার পরেও অব্যাহত ছিল। তারা ঢাকায় এসে খিলক্ষেতের একটি বাসায় দু’জন একসঙ্গে থাকতেন।
তবে তাদের মধ্যে বিবাহবন্ধনের কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। তারা লিভটুগেদার করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও বাসার মালিক।
গত ২৫শে জানুয়ারি সকালে খিলক্ষেতের নামাপাড়ার ১৯৬/২ নম্বর বাড়ির চারতলার ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে সোমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার দুই হাত ও গলায় কালো স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আতাউর রহমান বাদী হয়ে ডা. এসএম রাকিবুল আজাদকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ ডা. আজাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার এসআই মো. মোফাখ্খারুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, ‘আজাদ এখন পুলিশের রিমান্ডে আছেন। আমরা নিহতের বাসা থেকে বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছি। আলামতগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আজাদ ও সোমার মধ্যে মনোমালিন্য থেকে এ হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন