ইসমাম পারভেজ কনক
কুষ্টিয়ায় প্রায় ৮ বছর আগে সেতু নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় চরম জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কালী নদীর ওপর নির্মিত ত্রাণের ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটি। এতে কাদা পানি ও বাঁশের ভাঙা চরাট দিয়ে চলাচল করছে জোয়ারদার পাড়া, শালঘর মধুয়া, কাচারী পাড়া, দুধকুমড়া ও খালপাড়া বাজারসহ আশেপাশের গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, আমি যোগদানের পূর্বে ২০১৩ সালে প্রায় ২৫ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ হয়েছিল। সড়কের জন্য বরাদ্দ চেয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সড়কটি মেরামত করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান বলেন, অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ করায় সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় হচ্ছে। সেতুটি জনদুর্ভোগের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যেকোনো মূল্যে সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা দরকার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুইপাশের সংযোগ সড়ক ছাড়াই ২০১৩ সালে ২৫ লাখ ৫০ হাজার ৫৩২ টাকা ব্যয়ে ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যরে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কয়েক মাস পরে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে বালু দিয়ে জরাজীর্ণ সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। কিন্তু নির্মাণের পরের বছরই বন্যার তোড়ে সেতুটির সংযোগ সড়ক ভেসে গেলেও ৮ বছরেও মেরামত হয়নি সংযোগ সড়কটি। সারা বছর পায়ে হেঁটে কোনোমতে সেতুটি ব্যবহৃত হলেও কাজে লাগে না কৃষি ও ব্যবসায়ীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে। আর বর্ষার সময় কোনো কাজেই আসে না সেতুটি।
শালঘর মধুয়া গ্রামের কৃষক জলিল বলেন, রাস্তা না থাকায় আমাদের খুব কষ্ট হয়। ১০ মিনিটের পথ ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ঘুরে যেতে হয়। অনেক সময় মাথায় ফসল নিয়ে পার হওয়ার সময় নদীতে পড়ে যায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, রাস্তা বাদেই দায়সারা সেতু করে চলে গেছে কর্তৃপক্ষ। জনকল্যাণের সেতুটিই এখন চরম জনদুর্ভোগের কারণ।
স্থানীয় কলেজছাত্রী ইতি বলেন, সেতুটি দীর্ঘদিন এভাবে রাস্তাবিহীন পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষের কোনো নজরে আসে না। বর্ষা মৌসুমে ৫ কিলোমিটার ঘুরে কলেজে যেতে হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন