ইসমাম পারভেজ কনক
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের কালিকাতলায় বীর মুক্তিযোদ্ধার বন্দোবস্তকৃত সরকারী সম্পত্তিতে সাময়িক ভাবে চায়ের দোকানের মৌখিক অনুমতি নিয়ে জোরপূর্বক দ্বিতীয়তলা দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বাগুলাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবা বিশ্বাসের ছেলে টিপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী মৃত বিপ্লব অধিকারীর স্ত্রী বাসন্তী রানী জানান, তার শশুড় বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত রাম গোপাল অধিকারী কালিকতলা মৌজার ১৩০ খতিয়ানের আরএস ১০৬ ও ১০৭ নং দাগের ৭৭ শতাংশ সরকারী খাসজমি বন্দোবস্ত নেন। লিজ কেস নং ২০/৮৭। পরবর্তীতে উল্লেখিত সম্পত্তি ঘেঁষে বাজার গড়ে উঠলে নবা বিশ্বাস মুক্তিযোদ্ধা রাম গোপালের নিকট থেকে চায়ের দোকান করার জন্য মৌখিক অনুমতি নেন। এবং দোকান করতে গিয়ে তিনি চায়ের দোকানের পরিবর্তে দ্বিতীয়তলা স্টেশনারী দোকান গড়ে তোলেন। এবং একই সময়ে গ্রাম্য ডাক্তার ফিরোজ একই ভাবে জমিটির সম্মুখভাগের বাদ বাঁকী অংশে স্থাপনা করে দখলে নেন। পরবর্তীতে বীরমুক্তিযোদ্ধা রামগোপাল অধিকারী ও তার একই ছেলে বিপ্লব অধিকারী মারা যান। বর্তমানে বিপ্লব অধিকারীর দুই ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া রকি অধিকারী ও তৃতীয় শ্রেণির রুদ্র অধিকারীকে নিয়ে সেলাই মেশিন চালিয়ে তার স্ত্রী বাসন্তী রানী মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ বিষয়ে দখলকারী টিপু বিশ্বাস জোরপূর্বক দ্বিতীয় তলা দোকান নির্মাণের বিষয়ে বলেন সরকারী সম্পত্তি পড়ে ছিলো যেকারণে তিনি দোকান নির্মাণ করেছেন। জমিটি বন্দোবস্ত নিয়েছেন কিনা জিজ্ঞেস করলে জানান রামগোপালের নামে লিজ আছে মৌখিক অনুমতি নিয়েছিলাম।
অপর দখলদার ফিরোজ জানান, তার কোন বন্দোবস্ত নেই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নবা বিশ্বাস দোকান করেছেন। যেকারণে তিনিও করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম খান জানান সম্পত্তি বন্দোবস্ত যাকে দেয়া হয় সেটা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব সেই ব্যক্তির। তবে কোনরুপ বন্দোবস্ত ছাড়া স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ। ভুক্তভোগী আমার বরাবার দরখাস্ত দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন