ইসমাম পারভেজ কনক
শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৭টায়, আনুশকার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদরের গোপালপুর গ্রামে জানাজা শেষে গোপালপুর গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। জানাযায় অংশগ্রহণ করেন আনুশকার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রামবাসী।
আনুশকার দাফন শেষে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীরা দাবি জানান, মেধাবী এই শিক্ষার্থীকে হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহানের কঠোর শাস্তিসহ এই ঘটনার সঙ্গে আরো কারোর সংশ্লিষ্টতা থেকে থাকলে তদন্তপূর্বক তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এবং কোন নরপিশাচ যাতে দুঃসাহস না দেখায় সে জন্য সকল অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
এদিকে, আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় মামলায় অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহান।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে দিহানের মোবাইল কল পেয়ে বাসা থেকে বের হন আনুশকা। এরপর কিশোরীকে কলাবাগানের ডলফিন গলির নিজের বাসায় নিয়ে যান দিহান। পরে দিহানসহ চার বন্ধু ওই আনুশকাকে অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডির মডার্ন আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে বিকালে হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে আনুশকা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন