সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমনানের জীবন কাহিনী ও জীবনাদর্শ

ইসমাম পারভেজ কনক

১৭ মার্চ ১৯২০ সালে শেখ লুৎফুর রহমান ও সায়রা খাতুনের কোল আলোকিত করে জন্ম যে মানবের, যার জন্য পূর্বদিগন্তের উজ্জ্বল আলোক রশ্মি ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন ভূখণ্ডে, আজ সে রাষ্ট্রনায়কের শততম জন্মদিন।

তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে যারা ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের জানা উচিত একজন দক্ষ ও সফল রাজনীতিবিদ হতে হলে কতটা কর্তব্যপরায়ণ, পরিশ্রমী, পরিচ্ছন্ন ও সাংগঠনিক ক্ষমতা থাকতে হয়। একজন সাধারণ কর্মী থেকে রাষ্ট্রনায়ক হতে গেলে কতটা আত্মত্যাগী, মেধাবী ও মানুষের ভালোবাসার প্রার্থী হতে হয়। শেখ মুজিবুর রহমানের সব গুণই ছিল; তাই তিনি সফল রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক হয়েছেন।

শামসুর রাহমান তার ‘ধন্য সে পুরুষ’ কবিতায় যর্থাথই বলেছেন-

ধন্য সে পুরুষ, যার নামের উপর রৌদ্র ঝরে

চিরকাল গান হয়ে

নেমে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা, যার নামের উপরে

কখনো ধুলো জমতে দেয় না হাওয়া।

ধন্য সে পুরুষ, যার নামের উপরে পাখা মেলে দেয় জ্যোৎস্নার সারস।

ধন্য সে পুরুষ, যার উপরে পতাকার মতো দুলতে থাকে স্বাধীনতা।

শেখ মুজিবের ১৯৪৮ সালের পরবর্তী অধ্যায় আমরা ভালোভাবে জানি; কিন্তু এর আগের সময়ও কম গুরুতপূর্ণ ছিল না তার রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার পেছনে। কথা হচ্ছে, আমরা বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও রাজনৈতিক দর্শন বাস্তব জীবনে কতটুকু চর্চা করি। সবার কৌতূহল, আগ্রহ কেমন শেখ মুজিবের শৈশব, বেড়ে ওঠা ও রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে।

শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় তার গ্রামের স্কুলে, যা তারই দাদার প্রতিষ্ঠা করা ছিল। তারপর ৪র্থ থেকে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত কেটেছে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে। ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৬ সালের মধ্যে শেখ মুজিব দু’বার অসুস্থ হন, প্রথমে বেরিবেরি রোগ ও পরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত হন। বাবার চাকরির বদলে মাদারীপুর গিয়ে ৭ম শ্রেণীতে আবারও ভর্তি হন। কলকাতায় চোখ অপারেশনের পর থেকেই ৭ম শ্রেণী থেকে পড়াশোনা আবারও শুরু করতে প্রায় বছরখানেক সময় লাগে।

ওই সময়ে মূলত শেখ মুজিব রাজনীতি নিয়ে ভাবনা শুরু করেন, কারণ তখন স্বদেশি আন্দোলন চলছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিদিনকার রুটিন ছিল স্বদেশি আন্দোলনের সভায় যোগদান করা; কারণ উঠতি বয়সী যুবকদেরই তখন আন্দোলনকারীরা দলে ভেড়াত।

শেখ মুজিব তখন সুভাষচন্দ্র বসুর ভক্ত হয়ে পড়েন। স্বদেশি আন্দোলনের সভায় যোগদানের জন্য তিনি মাঝে মধ্যে গোপালগঞ্জ-মাদারীপুর যাতায়াত করতেন। এজন্য স্বদেশি আন্দোলনবিরোধীরা শেখ মুজিবের নামে তার দাদার কাছে অভিযোগও দিয়েছিলেন। শেখ মুজিব ১৯৩৭ সালে আবারও পড়াশোনা শুরু করেন। গোপালগঞ্জে এসে মিশনারি হাইস্কুলে ভর্তি হন এবং তারই হাউস টিউটর আবদুল হামিদের ‘মুসলিম সেবা সমিতি’ গঠন করা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হন।

যাদের কাজ ছিল প্রত্যেক রোববার মুষ্টির চাল উঠানো এবং তা বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে গরিব ছেলেদের সাহায্য করা। শেখ মুজিবের ছোটবেলা থেকেই সাংগঠনিক ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। ১৯৩৮ সালে শেরেবাংলা ও সোহরাওয়ার্দী গোপালগঞ্জে আসবেন, তখন শেখ মুজিব কেবল স্কুলের ছাত্র।

তারই ঘাড়ে পড়ল স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী করার, যারা সভার আয়োজনে সাহায্য করবে। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শেখ মুজিব অনুষ্ঠান আয়োজনের সব প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেন এবং সোহরাওয়ার্দী যখন মিশনারি স্কুল পরিদর্শনে যান তখন শেখ মুজিবুরের সঙ্গে পরিচয় ও আলাপচারিতা হয়।

তখন থেকেই তার সঙ্গে চিঠির যোগাযোগ হতো মাঝে মধ্যে। ১৯৩৯ সালে সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে দেখা করে তাকে আশ্বস্ত করে আসেন, গোপালগঞ্জের মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করবেন এবং মুসলিম লীগও গঠন করবেন। তখন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় পর্দাপণ শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর।

শেখ মুজিব রাজনীতি করলেও খেলাধুলায় বেশ ভালো ছিলেন এবং তার এলাকায় যারা খেলাধুলায় ভালো করত তাদের স্কুলে ভর্তি করানো থেকে শুরু করে বেতন ফ্রি করে দেয়া ইত্যাদি কাজও তিনি করতেন। ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন শেখ মুজিব এবং পরীক্ষা দিয়েই কলকাতায় যান।

তখন থেকেই সভা-সমাবেশে যোগদান করতেন এবং এরই মাঝে মাদারীপুরে গিয়ে মুসলিম ছাত্রলীগ গঠন করেন। ম্যাট্রিক পাস করার পর তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৩ সালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সময় শেখ মুজিবুর রহমান দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের জন্য লঙ্গরখানা খোলেন, এমনও দিন গেছে বেশি রাত হওয়ার কারণে কলকাতার বেকার হোস্টেলে ফিরতে পারেননি দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের সেবা করতে গিয়ে হোস্টেলে যাওয়ার সময়টা পেরিয়ে গেছে বলে।

তখন তিনি লীগের অফিসের টেবিলে শুয়ে রাত পার করতেন। তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘যুদ্ধ করে ইংরেজ, আর না খেয়ে মরে বাঙালি, যে বাঙালির কিছুরই অভাব ছিল না। বাংলার মানুষের এতই সম্পদ ছিল যে, একজন মুর্শিদাবাদের ব্যবসায়ী গোটা বিলেত শহর কিনতে পারত।’

১৯৪৩ সালে রিলিফের কাজের জন্য গোপালগঞ্জে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু। ফিরে এসে মানুষের ভয়াবহ অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেন একটা বড় কনফারেন্স করার যাতে সোহরাওয়ার্দী ও মুসলিম লীগের অন্য নেতারা এ ভয়াবহ অবস্থা প্রত্যক্ষ করতে পারেন। সেই কনফারেন্স আয়োজনের জন্য নিদারুণ পরিশ্রম করেন শেখ মুজিবুর রহমান।

কলকাতায় গিয়ে নেতাদের দাওয়াত দেয়া, টাকা তোলা, প্যান্ডেল করা এসব কাজের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৪৫ সালের শুরুর দিকে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার ইস্যু নিয়ে ইলেকশনের প্রস্তুতি শুরু হয়। এ ইলেকশনের কারণে যাতে বাইরে কাজ করতে সুবিধা হয় সেজন্য বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ তাদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে থাকেন।

শেখ মুজিব ও তার সঙ্গীদের দায়িত্ব পড়ল মুসলিম লীগের নির্বাচনী অফিস প্রত্যেক জেলায় জেলায় প্রতিষ্ঠা করার। এর কিছুদিন পড়েই কলকাতা, নোয়াখালী ও বিহারে দাঙ্গা শুরু হয়। কলকাতায় দাঙ্গার সময় হোস্টেলের চাল-আটা ফুরিয়ে যায়। শেখ মুজিব তখন সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করে নবাবজাদা নসরুল্লাহর সহায়তায় তার সঙ্গীদের নিয়ে ঠেলাগাড়ি ঠেলে বেকার হোস্টেল, ইলিয়ট হোস্টেলে চাল পৌঁছে দেন।

১৯৪৬ সালে ভারতের রাজনীতিতে এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠন করা হয়। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ফজলুল হক মুসলিম হলে যে সভার আয়োজন হয়েছিল সে সভার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান সবাইকে একত্রিত করেন এবং বোঝান যে, একটা ছাত্র সংগঠন করা একান্তই জরুরি এবং সেই সভায় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ নামে একটি সংগঠন করা হয়।

তখন ছাত্রলীগ গঠন করা হলে ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায় এবং এক মাসের মধ্যে সব জেলায় কমিটি দাঁড় করানোর পেছনেও কৃতিত্ব ছিল শেখ মুজিবের। ১৯৪৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা কী হতে পারে তা নিয়ে করাচিতে সংবিধান সভার বৈঠক আয়োজন করা হয়।

মুসলিম লীগের অধিকাংশ নেতা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে ছিলেন; ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত দাবি করেছিলেন পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু বাঙালির ভাষা যেহেতু বাংলা তাই বাংলা রাষ্ট্রভাষা হবে এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছিল।

শেখ মুজিবুর রহমান এ ধর্মঘট সফল করার জন্য ফরিদপুর, যশোর, খুলনা ও বরিশালে ছাত্র সম্মেলন করে প্রচারণা চালান। প্রচারণা চালিয়ে ১১ মার্চের ৩ দিন আগে ঢাকায় আসেন এবং ১১ মার্চ সফল ধর্মঘট হয় শেখ মুজিবুর রহমানের কল্যাণেই।

১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের ধর্মঘট ছিল পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের জন্মের পর প্রথম সফল হরতাল। তখন খুব কমসংখ্যক ছাত্রনেতা অন্য মানুষকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করতেন। শেখ মুজিবুর রহমান যখন আইন বিভাগের ছাত্র তখন নিু বেতনে চাকরিরত কর্মচারীরা ধর্মঘট শুরু করে, শেখ মুজিবুর রহমান সেই ধর্মঘটকে সমর্থন জানান; যার জন্য পরে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হতে হয়েছিল। ১৯৪৮ সালের পর ৫২, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০, ’৭১- প্রতিটি অধ্যায়ের নিউক্লিয়াস ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

তরুণ প্রজন্ম যত বেশি বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, মানবতাবোধ ও রাজনৈতিক দর্শন পাঠ করবে, তাদের বাস্তব জীবনের চলার পথ তত বেশি সুগম হবে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের পরশ্রীকাতরতা। বঙ্গবন্ধু তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে একটা জায়গায় আফসোস করে বলেছেন, ‘পরশ্রীকাতরতা ও বিশ্বাসঘাতকতা আমাদের রক্তের মধ্যে রয়েছে।

বোধহয় দুনিয়ার কোনো ভাষায়ই এ কথাটা পাওয়া যাবে না। ঈর্ষা, দ্বেষ সব ভাষায় পাবেন, সব জাতির মধ্যে কিছু কিছু আছে; কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে আছে পরশ্রীকাতরতা। ভাই ভাইয়ের উন্নতি দেখে খুশি হয় না, এজন্যই বাঙালি জাতির সবগুণ থাকা সত্ত্বেও জীবনভর অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে।

সুজলা, সুফলা বাংলাদেশ সম্পদে ভর্তি, এমন উর্বর ভূমি দুনিয়ায় খুবই অল্প আছে, তবু এরা গরিব; কারণ যুগ যুগ ধরেই এরা শোষিত হয়েছে নিজের দোষে। নিজেকে এরা চেনে না, আর যতদিন চিনবে না এবং বুঝবে না ততদিন এদের মুক্তি আসবে না।’






মন্তব্যসমূহ

★★★গত ৭ দিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় পোস্টগুলি★★★

দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে হাইকোর্টে রিট

ইসমাম পারভেজ কনক   মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে গ্রাহকদের স্বার্থে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারনেটের গতিসম্পন্ন সেবা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য, সাংবাদিক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিট করেন। এতে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকা

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ টি দোকান,ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা

ইসমাম পারভেজ কনক কুমারখালী জিলাপি তলা আজিজ মার্কেটে (২৫) নভেম্বর দুপুর ১:৪০ সময় আগুনে পুড়ে ১০ টি  দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বেচাকেনা করতে যখন ব্যাস্ত। সেই সময় দোকানে আগুন দেখে প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করেন দোকানদারিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কুমারখালী ইউনিট ও খোকসা ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকানদার শরিফুল বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার  মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হচ্ছে। ।এতথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস দলের লিডার লুৎফর রহমান । তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, এতে ১০ টি দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বন্ধ হচ্ছে বহু জিমেইল অ্যাকাউন্ট!

ইসমাম পারভেজ কনক প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল-এর মেইলিং সার্ভিস জিমেইল তাদের সেবা ব্যবহারকারীদের বহু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন নিয়মের কারণে আগামী জুন মাস থেকে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আগামী জুন থেকে গুগল ফটোজে বিনামূল্যে ছবি রাখার সুবিধাও তুলে নেয়া হবে। নতুন নীতি অনুযায়ী ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো ইনঅ্যাকটিভ রয়েছে, সেগুলো পুরোপুরি ডিলিট করে দেওয়া হবে। তবে এ নিয়ম কার্যকরের আগেই প্রত্যেক অ্যাকাউন্টধারীকে ই-মেইল মারফত সতর্কবার্তা পাঠানো হবে গুগলের পক্ষ থেকে। গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যবহারকারীরা আর বিনামূল্যে গুগল ফটোজ ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, ডকুমেন্টস, শিটস, স্লাইডস, ড্রইংস, ফর্মস এবং জ্যামবোর্ড ফাইলস ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করেননি, তাদের সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হবে। অবশ্য, ইনঅ্যাক্টিভ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের বিশ্বাসযোগ্য কন্টাক্টসদের কাছে তাদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছে দেওয়ার

কুষ্টিয়ায় টিসিবি'র পণ্য দিতে করোনা ছড়ায় না,মাস্কেরও প্রয়োজন পরে না!

ইসমাম পারভেজ কনক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা থেকে আজ সকালে হরিপুর বোয়ালদাহ মোড়ের চিত্র। নেই কোন মাক্স নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। মূলত করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ তার প্রথম দিন।কিন্ত পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই যে কি উদ্দেশ্যে এই লকডাউন। হয়তো তারা ভাবছে সরকারি ভাবে কোন কার্যক্রম করলে সেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াবেনা।এলাকাবাসী মনে করছে করোনা সংক্রমণ রোধে টিসিবি'র পণ্য বিক্রয়কারীদের অনেক সচেতনতার সাথে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিৎ বলে মনে করেন তারা।

কুষ্টিয়ায় আজ ১১টি মোবাইল কোর্টে ৫১টি মামলায় ৫৪জনকে ৭৮,৪৫০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায়

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৫/০৪/২০২১ তারিখে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত কর্মসুচি বাস্তবায়নের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট আইনসহ তফসিলভূক্ত অন্যান্য আইনে  কুষ্টিয়া জেলা শহর ও  উপজেলাসমূহে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়৷ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। আজ কুষ্টিয়া জেলায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টের তথ্যাদি নিম্নরুপঃ    *মোবাইল কোর্ট অভিযানঃ ১১ টি  *মামলার সংখ্যাঃ  ৫১ টি  *অর্থদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তির সংখ্যাঃ  ৫৪ জন *আদায়কৃত জরিমানার পরিমানঃ ৭৮,৪৫০/- টাকা  *আইন ও ধারাঃ  সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন, ২০১৮ এর ২৫(২) ধারা / দন্ডবিধি,১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারা/ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারা৷    জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷  #

১৩০ কোটি ভুয়া একাউন্ট বন্ধ করেছে ফেইসবুক!

ইসমাম পারভেজ কনক বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে যুক্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে আশঙ্কাজনকভাবে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুয়া (ফেক) অ্যাকাউন্টও। সাধারণত এ ধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে অনেকে। তাই এসব ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে বেশ তৎপর রয়েছে ফেসবুক, টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আজ সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মাত্র তিন মাসে ১৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটিতে গুজব বা যেকোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে ৩৫ হাজারেরও বেশি কর্মী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। এক ব্লগপোস্টে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে কোভিড-১৯ রোগ ও ভ্যাকসিন সম্পর্কিত এক কোটি ২০ লাখের বেশি ভুয়া তথ্য সম্বলিত পোস্টও সরিয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ

মাহবুব উল আলম হানিফের করোনা মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. শুক্রবার বাদ জুমআ কালেক্টরেট জামে মসজিদ, কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাহবুব উল আলম হানিফ মহোদয়সহ সকল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় সকলকে  মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।

আজ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শীপ-২০২০ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

 আজ ০৪ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল স্টেডিয়াম জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়ায় জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে জেএফএ-অনু-১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শীপ-২০২০ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়ার সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবে ক কৃতি ফুটবলার ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের মাননীয় জাতীয়  সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আতাউর রহমান আতা, চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা, কুষ্টিয়া ; এড. অনুপ কুমার নন্দী, সাধারণ সম্পাদক,  জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়া ; জনাব মোঃ মকবুল হোসেন লাবলু, সভাপতি,  কুষ্টিয়া জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন।

স্বাধীনভাবে মনেরভাব প্রকাশ করা অন্যায়

ইসমাম পারভেজ কনক হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এএসআই গোলাম রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। তিনি কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যাহারের আগের দিন শনিবার (০৩ এপ্রিল) তিনি পুলিশের পোশাক পরে ফেসবুক লাইভে আসেন। পরে তার লাইভটি ভাইরাল হয়ে যায়। রোববার (০৪ এপ্রিল)এএসআই গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।  ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রশংসা করে এএসআই গোলাম রাব্বানী বলেন, মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। বেশির ভাগ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন, সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি

বাংলাদেশের হয়ে না খেলে IPL-কে প্রাধান্য দেওয়ার কারণ জানালেন সাকিব

ইসমাম পারভেজ কনক ফাইল ফটো এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে। দেশের থেকে আইপিএল-কে প্রাধান্য দেওয়ার কারণ জানালেন সাকিব-আল-হাসান। আইপিএল-কে আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন তিনি।   IPL শুরু হতে আর দিন কয়েকের অপেক্ষা। এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে। দেশের থেকে আইপিএল-কে প্রাধান্য দেওয়ায় ইতিমধ্যেই সাকিবকে নিয়ে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট মহল। তবে এ নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন সাকিব। অবশেষে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেট তারকা। সাকিবকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও আইপিএল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘শুধু কথা হচ্ছে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি নিশ্চিত বিসিবিকে আমি যখন চিঠি দিয়েছি, যারাই বলছে যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না বা টেস্ট খেলব না, তাঁরা চিঠিটা পড়েনি। আমি আমার চিঠিতে কোথাও উল্লেখ করিনি যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি শুধু উল্লেখ করেছি, আমি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য এই সময়টাতে আইপিএল খেলতে চাই। শুধু এইটুকুই বলেছি।’ দিল্লি ক্যাপিটালসে নতুন ভূমিকায় স্টিভ স্মিথ সাকিব আরও বলেছেন, '