ইসমাম পারভেজ কনক
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে ও একাধিক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রইচ উদ্দিন নামক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন যাবত পরিবারের সবার যোগসাজশে এমন কাজ সে চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের চৌরঙ্গী মহাবিদ্যালয় এলাকায় আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রইচের বাড়িতে শুক্রবার সকালে কোর্ট ম্যারেজ পেপার, মোবাইল রেকর্ডিং ও বিভিন্ন প্রমাণাদি নিয়ে নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার বৃকাছুটিয়া গ্রামের এক যুবতী স্ত্রীর দাবী নিয়ে আসলে তাদেরকে লাঞ্ছিত করে রইছের পরিবার। মেয়েটির সাথে থাকা তার পরিবারের সদস্যরা চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দিলে রইচ ও তার পিতা কুদ্দুসকে আটক করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ওই যুবতী বলেন, প্রেমের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাদের ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কোর্ট থেকে। । তারা দুজন ঢাকা একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরী করাকালীন প্রণয় থেকে পরিণয় হয়। প্রতিমাসে তার বেতনের টাকা রইচ নিতো। তাতেকরে এপর্যন্ত প্রায় ৬-৭ লক্ষ টাকা নিয়েছে। গত ৩ মাস পূর্বে তাদের ঢাকা বাসার যাবতীয় আসবাব ও গৃহস্থালির জিনিসপত্র বিক্রি করে কুমারখালীর চৌরঙ্গী গ্রামের বাড়িতে চলে আসে রইচ। পরবর্তীতে সে রইচের বাড়িতে স্ত্রীর দাবী নিয়ে আসলে পরিবারের সবাই তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, রইচ একজন প্রতারক। ও ৪ টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং একাধিক সিমকার্ড রয়েছে। একাধিক মেয়ের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এটা ওর একটা ব্যবসা।
রইচ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি বিয়ে করিনি।ওকে চিনিনা।রইচের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এমন বিয়ে মানিনা। আসল কাগজ দেখতে চাই।রইচের মা বলেন, আমরা প্রমাণ চাই। আমার ছেলে বিয়ে করিনি।
চৌরঙ্গী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রইচ ও তার বাবা আব্দুল কুদ্দুসকে আটক করা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, মেয়ের কাছে উপযুক্ত প্রমাণাদি থাকলেও বিষয়টি অস্বীকার করেছে রইচ ও তার পরিবার।ঘটনাটি জেলার বাইরে ঘটায় যথাস্থানে আইনের আশ্রয় নেওয়া পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন