সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

লকডাউনে গরিব মানুষ খাবে কী?

ইসমাম পারভেজ কনক



দরিদ্র মানুষের জন্যে খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত না করেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশব্যাপী ‘কঠোর লকডাউন’ দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, খাদ্য সহায়তা ছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কোটি কোটি দরিদ্র মানুষকে ঘরে আটকে রাখা সম্ভব হবে না।

তাই খাদ্য সহায়তা ছাড়া ঘোষিত এই লকডাউন আদৌ কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারের এ সিদ্ধান্ত ‘যথাযথ’ হয়নি বলে মনে করছেন তারা।

একইসঙ্গে কোভিডের অভিঘাতে আর্থিকভাবে জর্জরিত এসব দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক-পেশাজীবী সংগঠন ও শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে বলা হয়, এর বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।

এদিন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকেও বলা হয়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হলেই তার বিরুদ্ধে মামলা, এমনকি গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।

ফলে কার্যত এই লকডাউনে দরিদ্র কর্মজীবী মানুষের জীবিকা নির্বাহের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে।

অথচ বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) সাম্প্রতিক এক জরিপের ফলাফল বলছে, কোভিডের আঘাতে দেশে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষ।


গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার (আপার পোভার্টি রেট) বেড়ে ৪২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। দেশব্যাপী খানা জরিপের ভিত্তিতে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি।

তবে, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নতুন দরিদ্রের বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের করা জরিপের ফলাফল স্বীকার করেননি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ জুন লকডাউনে দরিদ্র, দুস্থ, অসচ্ছল ও কর্মহীন জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দিতে ৬৪ জেলার অনুকূলে মাত্র ২৩ কোটি ছয় লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছাড় করা হয়। বলা হয়, ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে মানবিক সহায়তা পাওয়ার মতো যোগ্য ব্যক্তিদের এই বরাদ্দ থেকে খাদ্য-সহায়তা দেওয়া হবে।

বুধবার রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে এক সমাবেশে ‘কঠোর লকডাউন’ সফল করতে খেতমজুরসহ গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য সহায়তা ও চিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানায় ‘ক্ষেতমজুর সমিতি’ নামের একটি সংগঠন।

এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘অতীতে যত লকডাউন হয়েছে তাতে দেখা গেছে “দিন আনা দিন খাওয়া” মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় ক্ষুধার তাড়নায় এসব মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।’

‘ফলে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সকল গরিব মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, গ্রামের মানুষের করোনা টেস্ট ও ভ্যাকসিন দিতে হবে।’

২০১৬ থেকে ১৭ সালের মধ্যে পরিচালিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় নিয়োজিত শ্রমিকের সংখ্যা ছয় কোটির বেশি। এর মধ্যে ৮৫ দশমিক এক শতাংশই কাজ করেন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। আর অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান প্রায় ৫০ শতাংশ।

এ অবস্থায় দেশের অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের এসব দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর এই লকডাউনের প্রভাব ও এর কার্যকারিতা প্রসঙ্গে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেনের সঙ্গে।

শুরুতেই অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত না করেই কঠোর লকডাউন আরোপের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলেন, ‘প্রথমত এটা কোনো যৌক্তিক সিদ্ধান্ত না এবং এটা ফলপ্রসূও হবে না। কারণ, লকডাউন কার্যকর করতে গেলে তার পূর্বশর্তগুলো পূরণ করতে হয়।’

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জাবির এই অধ্যাপক বলেন, ‘যেকোনো দেশেই যদি প্রকৃত অর্থে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে এর দ্বারা যারা অ্যাফেক্টেড হবে, তাদের বিষয়গুলো বিবেচনার মধ্যে নিতে হয়। বাংলাদেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ কাজ করে। যারা সরাসরি আক্রান্ত। এর বাইরে আমরা যদি দোকান কর্মচারী কিংবা পরিবহন খাতের লোকজনদের ধরি, তারাও একটা বড় অংশ। অথচ লকডাউন আরোপের ক্ষেত্রে এদের বিষয়টি ধর্তব্যের মধ্যেই আনা হয়নি।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘আমি এমন কোনো দেশ দেখিনি, যেখানে প্রণোদনা প্যাকেজ বা অন্যান্য সুবিধা এদের (দরিদ্র জনগোষ্ঠী) টার্গেট করে দেওয়া হয়নি। অথচ বাংলাদেশে এদের সম্পূর্ণ এক্সক্লুড (বাদ রেখে) করে মাঝে মধ্যে টোকেন গিফটের মতো কিছু কর্মসূচি নেওয়ার কথা আমরা শুনেছি। সেগুলোও ঠিকমতো বাস্তবায়িত হয়নি।’

এই অধ্যাপকের অভিমত, ‘বিভিন্ন দেশ লকডাউনে এই শ্রেণির জনগোষ্ঠীকে টিকে থাকার জন্যে কয়েক মাস ধরে সাপোর্ট দিয়ে গেছে। আমাদের দেশেও এটা হলে নিশ্চিত করা যেত যে, তারা ঘর থেকে বের হবে না। এখন কিছু না দিয়েই যদি তাদের ঘরে থাকতে বলা হয়, তখন তা একটা ডেসপারেট সিচুয়েশন তৈরি করে। তখন তারা নানা ধরনের রাস্তা খোঁজে।’

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশে তাদেরকে (দরিদ্র জনগোষ্ঠী) বাদ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করা হলো, ঋণের ব্যবস্থা করা হলো। সেগুলো বড় ব্যবসায়ীদের জন্য হেল্পফুল হয়েছে। কিন্তু, বিশালসংখ্যক এই জনগোষ্ঠীর জন্যে কিছুই হয়নি। তার ফলে এটা কার্যকরও হচ্ছে না।’

সব মিলিয়ে এই অর্থনীতিবিদের পর্যবেক্ষণ হলো, ‘এই ধরনের ইল্লজিক্যাল (অযৌক্তিক), ইনকনসিসটেন্স (অসংগত) ও কন্ট্রাডিক্টরি (পরস্পরবিরোধী) সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই লকডাউন কার্যকর হয় না। মানুষ করোনায় যতে অ্যাফেক্টেড হচ্ছে, করোনাকালে ব্যবস্থাপনার অভাব কিংবা ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি।’

এ বিষয়ে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের বক্তব্য, ‘লকডাউন মানে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা। ঘরে থাকা মানে সে আয়-উপার্জন করতে পারবে না। বিশেষ করে যারা দিন আনে দিন খায়। এখন তাদের যদি খাবারের নিশ্চয়তা না দেওয়া হয়, তাহলে কোনো শক্তি কিংবা হুকুম দ্বারা তাদের ঘরে আটকে রাখা সম্ভব না।’

এই বাম নেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের সংখ্যা হিসাব করা খুব কঠিন না। যাদের সবার জন্যে এক মাসের খাবার সরবরাহ করতে হলে হয়তো বাজেটের এক শতাংশও লাগত না। এটা সরকার কেন করল না, সেটা বুঝতে পারছি না।’

সেলিম আরও বলেন, ‘এর আগেও সরকারকে বলেছিলাম, মানুষকে বলো যে তোমাদের বের হওয়ার দরকার নেই। তোমাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। একটা দুর্নীতিমুক্ত ও শক্তিশালী পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের মাধ্যমে এটা করা সম্ভব ছিল। এমনকি এ বিষয়ে আমি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকেও অনুরোধ করেছিলাম।’

এ ছাড়া লকডাউনে দরিদ্র, দুস্থ ও কর্মহীন মানুষের জন্যে ২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রসঙ্গে সেলিমের বক্তব্য, ‘সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, করোনাকালে দুই কোটির বেশি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। এর সঙ্গে যদি আগের সংখ্যা যুক্ত করা হয়, তাহলে কমপক্ষে পাঁচ-ছয় কোটি হবে। সেটা হলে একেক জনের ভাগে চার-পাঁচ টাকার বেশি তো পড়ার কথা না। এটা লোক দেখানো, তামাশার মতো একটা বিষয়।’

অবশ্য লকডাউন ও এর ভেতর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা নির্বাহ প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক বিনায়ক সেন। তিনি বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে সিচুয়েশনের কারণে সব সময় সবকিছু উইন উইন হয় না। পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, সাময়িক দুর্ভোগ হলেও এক সপ্তাহ না, অন্তত এক মাসের কঠোর লকডাউন দেওয়া উচিত। যাতে আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।’

দীর্ঘকাল যাবৎ দারিদ্র, আয়-বৈষম্য ও মানব উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে আসা এই গবেষক বলেন, ‘অবস্থা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে গেলে নৈরাজ্য নেমে আসবে। সুশাসনের ঘাটতি হবে। (দরিদ্র জনগোষ্ঠীর) যে সাময়িক কষ্টের কথা বলা হচ্ছে, সন্দেহ নেই সেটা হবেই। সেটা মোকাবিলার জন্য যেসব ব্যবস্থাপত্রের কথা আগে বলা হয়েছিল, সেগুলোই আবার চালু করতে হবে। বিভিন্ন পর্যায়ে জরুরি ভিত্তিতে যাদের রিলিফ দরকার, তাদের সেটা দিতে হবে।’

বিনায়ক সেন মনে করেন, কোভিড পরিস্থিতিতে দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্যে সুশীল সমাজের পক্ষ থেকেও উদ্যোগ থাকা উচিত। এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ বহু আগে আত্মশক্তিতে লিখেছিলেন যে, বিদ্যাদান থেকে অন্নদান, সবকিছুর জন্য আমরা কেন সরকারের মুখাপেক্ষী হইতেছি? কেন আমরা নিজেরা কিছু করছি না?’

এ পর্যায়ে বিনায়ক সেন বলেন, ‘কোভিডকালে গত এক বছরে এনজিওদের তাৎপর্যপূর্ণ একটা কোয়ালিশন দাঁড়িয়েছে কি না, আমাকে দেখান। কিংবা তাৎপর্যপূর্ণভাবে চেম্বার অব কমার্স কিংবা বিত্তশালী লোকরাও তো দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াননি।’

এই অর্থনীতিবিদের ভাষ্য, ‘নাগরিকদের দেখভাল করার বিষয়টি অবশ্যই সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান দায়িত্ব। পাশাপাশি আমাদের সবারও কিছু দায়িত্ব আছে। আমরা যারা সরকারকে অ্যাকাউন্টেবল করতে চাই, সেটার কারণ বুঝি। কিন্তু, বৈষম্যের কারণে যারা বড়লোক হয়েছেন গত ১০ বছরে, কেন আমরা তাদের বলি না— আপনারাও আপনাদের শেয়ার প্রসপারেটি গরিব দেশে কিছুটা ভাগ করে দেন।’

মন্তব্যসমূহ

★★★গত ৭ দিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় পোস্টগুলি★★★

দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে হাইকোর্টে রিট

ইসমাম পারভেজ কনক   মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে গ্রাহকদের স্বার্থে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারনেটের গতিসম্পন্ন সেবা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য, সাংবাদিক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিট করেন। এতে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকা

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ টি দোকান,ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা

ইসমাম পারভেজ কনক কুমারখালী জিলাপি তলা আজিজ মার্কেটে (২৫) নভেম্বর দুপুর ১:৪০ সময় আগুনে পুড়ে ১০ টি  দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বেচাকেনা করতে যখন ব্যাস্ত। সেই সময় দোকানে আগুন দেখে প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করেন দোকানদারিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কুমারখালী ইউনিট ও খোকসা ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকানদার শরিফুল বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার  মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হচ্ছে। ।এতথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস দলের লিডার লুৎফর রহমান । তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, এতে ১০ টি দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বন্ধ হচ্ছে বহু জিমেইল অ্যাকাউন্ট!

ইসমাম পারভেজ কনক প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল-এর মেইলিং সার্ভিস জিমেইল তাদের সেবা ব্যবহারকারীদের বহু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন নিয়মের কারণে আগামী জুন মাস থেকে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আগামী জুন থেকে গুগল ফটোজে বিনামূল্যে ছবি রাখার সুবিধাও তুলে নেয়া হবে। নতুন নীতি অনুযায়ী ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো ইনঅ্যাকটিভ রয়েছে, সেগুলো পুরোপুরি ডিলিট করে দেওয়া হবে। তবে এ নিয়ম কার্যকরের আগেই প্রত্যেক অ্যাকাউন্টধারীকে ই-মেইল মারফত সতর্কবার্তা পাঠানো হবে গুগলের পক্ষ থেকে। গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যবহারকারীরা আর বিনামূল্যে গুগল ফটোজ ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, ডকুমেন্টস, শিটস, স্লাইডস, ড্রইংস, ফর্মস এবং জ্যামবোর্ড ফাইলস ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করেননি, তাদের সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হবে। অবশ্য, ইনঅ্যাক্টিভ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের বিশ্বাসযোগ্য কন্টাক্টসদের কাছে তাদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছে দেওয়ার

কুষ্টিয়ায় টিসিবি'র পণ্য দিতে করোনা ছড়ায় না,মাস্কেরও প্রয়োজন পরে না!

ইসমাম পারভেজ কনক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা থেকে আজ সকালে হরিপুর বোয়ালদাহ মোড়ের চিত্র। নেই কোন মাক্স নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। মূলত করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ তার প্রথম দিন।কিন্ত পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই যে কি উদ্দেশ্যে এই লকডাউন। হয়তো তারা ভাবছে সরকারি ভাবে কোন কার্যক্রম করলে সেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াবেনা।এলাকাবাসী মনে করছে করোনা সংক্রমণ রোধে টিসিবি'র পণ্য বিক্রয়কারীদের অনেক সচেতনতার সাথে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিৎ বলে মনে করেন তারা।

কুষ্টিয়ায় আজ ১১টি মোবাইল কোর্টে ৫১টি মামলায় ৫৪জনকে ৭৮,৪৫০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায়

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৫/০৪/২০২১ তারিখে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত কর্মসুচি বাস্তবায়নের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট আইনসহ তফসিলভূক্ত অন্যান্য আইনে  কুষ্টিয়া জেলা শহর ও  উপজেলাসমূহে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়৷ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। আজ কুষ্টিয়া জেলায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টের তথ্যাদি নিম্নরুপঃ    *মোবাইল কোর্ট অভিযানঃ ১১ টি  *মামলার সংখ্যাঃ  ৫১ টি  *অর্থদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তির সংখ্যাঃ  ৫৪ জন *আদায়কৃত জরিমানার পরিমানঃ ৭৮,৪৫০/- টাকা  *আইন ও ধারাঃ  সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন, ২০১৮ এর ২৫(২) ধারা / দন্ডবিধি,১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারা/ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারা৷    জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷  #

১৩০ কোটি ভুয়া একাউন্ট বন্ধ করেছে ফেইসবুক!

ইসমাম পারভেজ কনক বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে যুক্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে আশঙ্কাজনকভাবে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুয়া (ফেক) অ্যাকাউন্টও। সাধারণত এ ধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে অনেকে। তাই এসব ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে বেশ তৎপর রয়েছে ফেসবুক, টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আজ সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মাত্র তিন মাসে ১৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটিতে গুজব বা যেকোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে ৩৫ হাজারেরও বেশি কর্মী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। এক ব্লগপোস্টে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে কোভিড-১৯ রোগ ও ভ্যাকসিন সম্পর্কিত এক কোটি ২০ লাখের বেশি ভুয়া তথ্য সম্বলিত পোস্টও সরিয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ

মাহবুব উল আলম হানিফের করোনা মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. শুক্রবার বাদ জুমআ কালেক্টরেট জামে মসজিদ, কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাহবুব উল আলম হানিফ মহোদয়সহ সকল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় সকলকে  মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।

আজ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শীপ-২০২০ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

 আজ ০৪ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল স্টেডিয়াম জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়ায় জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে জেএফএ-অনু-১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শীপ-২০২০ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়ার সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবে ক কৃতি ফুটবলার ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের মাননীয় জাতীয়  সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আতাউর রহমান আতা, চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা, কুষ্টিয়া ; এড. অনুপ কুমার নন্দী, সাধারণ সম্পাদক,  জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়া ; জনাব মোঃ মকবুল হোসেন লাবলু, সভাপতি,  কুষ্টিয়া জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন।

স্বাধীনভাবে মনেরভাব প্রকাশ করা অন্যায়

ইসমাম পারভেজ কনক হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এএসআই গোলাম রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। তিনি কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যাহারের আগের দিন শনিবার (০৩ এপ্রিল) তিনি পুলিশের পোশাক পরে ফেসবুক লাইভে আসেন। পরে তার লাইভটি ভাইরাল হয়ে যায়। রোববার (০৪ এপ্রিল)এএসআই গোলাম রাব্বানীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এরই মধ্যে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।  ফেসবুক লাইভে এসে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের প্রশংসা করে এএসআই গোলাম রাব্বানী বলেন, মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম। যে ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন তিনি। বেশির ভাগ সাংবাদিক সেখানে চিল্লাপাল্লা করে তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আমার প্রশ্ন, সাংবাদিককে এই অধিকার কে দিয়েছে। আপনি যে কাবিননামা দেখবেন, আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? আমি

বাংলাদেশের হয়ে না খেলে IPL-কে প্রাধান্য দেওয়ার কারণ জানালেন সাকিব

ইসমাম পারভেজ কনক ফাইল ফটো এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে। দেশের থেকে আইপিএল-কে প্রাধান্য দেওয়ার কারণ জানালেন সাকিব-আল-হাসান। আইপিএল-কে আসন্ন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন তিনি।   IPL শুরু হতে আর দিন কয়েকের অপেক্ষা। এবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে দেখা যাবে সাকিব আল হাসানকে। দেশের থেকে আইপিএল-কে প্রাধান্য দেওয়ায় ইতিমধ্যেই সাকিবকে নিয়ে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট মহল। তবে এ নিয়ে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন সাকিব। অবশেষে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন বাংলাদেশের এই ক্রিকেট তারকা। সাকিবকে শ্রীলঙ্কা সিরিজ ও আইপিএল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘শুধু কথা হচ্ছে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি নিশ্চিত বিসিবিকে আমি যখন চিঠি দিয়েছি, যারাই বলছে যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না বা টেস্ট খেলব না, তাঁরা চিঠিটা পড়েনি। আমি আমার চিঠিতে কোথাও উল্লেখ করিনি যে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি শুধু উল্লেখ করেছি, আমি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য এই সময়টাতে আইপিএল খেলতে চাই। শুধু এইটুকুই বলেছি।’ দিল্লি ক্যাপিটালসে নতুন ভূমিকায় স্টিভ স্মিথ সাকিব আরও বলেছেন, '