ইসমাম পারভেজ কনক
কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে ১৯ জুন শনিবার সকাল ৮ টা থেকে ২০ জুন রবিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত দশজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরআগে ১৮ জুন শুক্রবার দিবাগত রাত ১ টা থেকে ১৯ জুন শনিবার সকাল ৭ টার মধ্যে আরো সাত রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৭ জন রোগী। আজ ২১ জুন রবিবার আরও ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগীর মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬৪ জন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান, করোনা রোগী ও সংক্রমণ ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির কারণে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণাসহ চিকিৎসক, জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধির জন্য রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডাক্তার আব্দুল মোমেন চিঠি দিয়েছেন। করোনা রোগীর বাড়তি চাপ সামলাতে চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিষ্টসহ জনবল বৃদ্ধি ও অক্সিজেন কনসেনট্রাটর-২৫, পালস্ অক্সিমিটার-১০০ জরুরি ভিত্তিতে প্রেরণের জন্য ওই চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।
এদিকে এ হাসপাতালে ননকোভিড রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা সংকুচিত করে ডায়াবেটিক হাসপাতালে বিকল্প ব্যবস্থায় চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই রোগী সংখ্যা বাড়ছে। গত শনিবার রাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরির প্রাপ্ত রিপোর্টে ১৬৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরআগে শুক্রবার রাতে ১১২ জন ও বৃহস্পতিবার ১৫৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথমদিকে জেলায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ১৪/১৫ ভাগ। পরবর্তীতে সংক্রমণ বেড়ে ২০ ভাগের উঠে। ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে এখন সংক্রমণ হার ৪২ ভাগের উপরে উঠে গেছে। হাসপাতালে ১০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে এখন রোগী ভর্তি আছে ১১০ জন। করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে করোনা রোগী ধারণের ঠাঁই নেই।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনা রোগীর চিকিৎসায় সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে লকডাউনসহ কঠোর স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণের বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন