ইসমাম পারভেজ কনক
কুষ্টিয়ায় কলেজ ছাত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে গভীর রাতে ঐ ছাত্রীর সাথে কু-কর্মে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ধরা খেয়ে পরনে থাকা প্যান্ট ফেলেই পালালো এক ইউপি যুবদলের সভাপতি। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা শালিসি বৈঠক করে সমোঝতা করার কথা বল্লেও লকডাউনের কারনে হচ্ছে না শালিসি বৈঠক। এ দিকে ঘটনার পর থেকে পালিয়ে গাঢাকা দিয়েছে ওই যুব দল সভাপতি আশরাফুল আলম। এ বিষয় নিয়ে এলাকায় চলছে চাপা গুঞ্জন।
স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা কুন্টিয়ারচর গ্রামের মোজাম শেখের ছেলে (শেখ,ফেসবুকে সৈনিক আলম নামে পরিচিত) কুর্শা ইউপি যুবদলের সভাপতি আশরাফুল আলম দুই স্ত্রী থাকার পরও পরকীয়ায় জড়িয়ে ১০ এপ্রিল রাত ২ টার দিকে একই এলাকার এক কলেজ ছাত্রীর ঘরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে কুকর্মে লিপ্ত থাকা অবস্থায় পরিবারের লোকজন টের পেয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে ছুটে আসে আশপাশের লোকজন। এ সময় আশরাফুল আলম জামা প্যান্ট ফেলে শুধু জাঙ্গিয়া পরেই দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাজাহান আলী ভেল্টু( মেম্বর) এর কাছ থেকে লুঙ্গি নিয়ে সটকে পড়ে।
এ দিকে এ ঘটনার পর স্থানীয়রা একটি শালিসি বৈঠক করে ঘটনার সমাধানের কথা বললেও লকডাউনের কথা বলে পরে হয়নি আর কোন শালিসী বৈঠক। লকডাউন বাড়ছে শালিসও হচ্ছে না। এছাড়া আশরাফুল আলম স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজনকে ম্যানেজ করে স্থানীয় এক এস অক্ষরের সাংবাদিককে দিয়ে মেয়ের পরিবারকে কোথাও কোন অভিযোগ না করে সে ব্যাপারে নানা ভাবে চাপ দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে চেলাফেরা করে আশরাফুল আলম। যে কারনে আশরাফুল এলাকায় অনেক অপকর্ম করলেও সংবাদ প্রকাশ না করে আশরাফুলের পক্ষ নিয়ে ভুক্তভোগীদের উল্টো শাসিয়ে দেন ওই সাংবাদিক।
স্থানীয়রা জানান, আশরাফুল আলম একজন দুশ্চরিত্রের মানুষ। প্রথম স্ত্রীর ঘরে যুবক একটি ছেলে রয়েছে এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর যুবতী একটি মেয়ে রয়েছে। নারী কেলেঙ্কারির কারনেই তার প্রথম বউয়ের অভিযোগে সৈনিকের চাকুরী যায় আশরাফুল আলমের। এবার ফোনে তার মেয়ের বয়সী এক কলেজ ছাত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে গভীর রাতে তার ঘরে গিয়ে ধরা খেয়েও কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় কয়েকজনকে ম্যানেজ করে উল্টো মেয়ের পরিবারকেই হুমকী ধামকী দিয়ে চলেছে এবং ওই মহলকে দিয়ে শালিশ করে মেয়েটির পরিবারকে এক ঘরে করে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে।
এব্যাপারের স্থানীয় কুর্শা ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাজাহান আলী ভেল্টু (মেম্বর) এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার রাতে আশরাফুল আলম আমার কাছে আসে, কিন্তু আমি তাকে প্যান্ট দেয়নি।তাকে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য বললে আশরাফুল যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নেবে বলে আমাকে জানালে তাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু লকডাউনের কারনে এলাকায় শালিসি বৈঠক হচ্ছে না ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন