সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

খাদ্যে ৭৪ লাখ টন ঘাটতির শঙ্কা!

ইসমাম পারভেজ কনক

স্বাধীনতার পর পাঁচ দশকে খাদ্যশস্যের উৎপাদন দেশে তিন গুণ বেড়েছে। বৈশ্বিক চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন তৃতীয় অবস্থানে। এ কারণে কভিডকালেও খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হতে হয়নি বাংলাদেশকে।

কিন্তু স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে এসে খাদ্যশস্য নিয়ে এ উচ্ছ্বাস এখন অনেকটাই ফিকে হয়ে আসছে। করোনাজনিত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় ধরনের খাদ্যঘাটতিতে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। খাদ্যশস্যের দামে এর প্রভাবও দেখা যাচ্ছে।

মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (গেইন) প্রতিবেদনের তথ্যেও এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদনটি চলতি সপ্তাহেই প্রকাশ হয়েছে। ‘গ্রেইন অ্যান্ড ফিড আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রক্ষেপণে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) দেশে চালের উৎপাদন হবে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টন কম। যদিও এ সময় দেশে খাদ্যপণ্যটির চাহিদা থাকবে প্রায় ৩ কোটি ৫৯ লাখ টন। সে হিসেবে দেশে এবার চালের ঘাটতি দাঁড়াবে প্রায় ১১ লাখ টনে। অন্যদিকে এ সময় দেশে গমের চাহিদা থাকবে প্রায় ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন। যদিও উৎপাদন হবে মাত্র ১২ লাখ ২০ হাজার টন। সব মিলিয়ে দেশে এবার প্রায় ৭৪ লাখ ৩০ হাজার টন খাদ্যঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্যে দেখা যায়, গত  অর্থবছরে (২০১৯-২০) দেশে মোট চাল উৎপাদন হয়েছিল ৩ কোটি ৮৭ লাখ ২৪ হাজার টন। চলতি অর্থবছরে এ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ টন। যদিও ইউএসডিএর প্রক্ষেপণ বলছে, এবার চালের উৎপাদন হবে লক্ষ্যের তুলনায় অনেক কম।

ইউএসডিএর ভাষ্যমতে, এ ঘাটতি পূরণের জন্য আমদানিনির্ভরতায় ফিরতে হবে বাংলাদেশকে। সেক্ষেত্রে চলতি অর্থবছরে শুধু গমই আমদানি করতে হবে প্রায় ৬৬ লাখ টন। সব মিলিয়ে দেশে এবার খাদ্যঘাটতি মেটাতে চাল ও গম আমদানি করতে হতে পারে প্রায় ৭৭ লাখ টন। সেক্ষেত্রে এবার স্বাধীনতার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানি করতে হতে পারে বাংলাদেশকে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ খাদ্যশস্য আমদানি হয়েছিল ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। ওই সময় এর পরিমাণ ছিল ৯৭ লাখ ৭৪ হাজার টন। মূলত চালের আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই বছর উৎপাদন কমে যায়। ফলে আমদানি বাড়াতে হয়। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরে সরকারিভাবে খাদ্যশস্য আমদানির নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তরের সংশোধিত চাহিদা অনুযায়ী, এবার খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে ২৪ লাখ ৫৫ হাজার ৭ টন। এর মধ্যে চাল ১৮ লাখ ৬৫ হাজার টন ও গম ৫ লাখ ৯০ হাজার টন। অন্যদিকে খাদ্যশস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আনুমানিক প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টন।

এ বিষয়ে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বণিক বার্তাকে বলেন, খাদ্যশস্যের উৎপাদনে গতি ধরে রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সময়ে সঠিক পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানির মাধ্যমে মানুষের চাহিদা পূরণে খাদ্য মন্ত্রণালয় নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে মহামারী পরিস্থিতিতে দেশের কোথাও খাদ্য সরবরাহে সংকট তৈরি হয়নি। আবার নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ ছিল। এ কারণে দেশের খাদ্য সরবরাহ বেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরে খাদ্যশস্যের মজুদ বাড়ানোর সব ধরনের উদ্যোগ চলমান রয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও আমদানি—উভয় বাজার থেকে সংগ্রহ প্রক্রিয়ার গতি বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে আমদানীকৃত চাল ও গম আসতে শুরু করেছে। প্রায় ছয় লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানির উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে আগামী জুন পর্যন্ত খাদ্যশস্যের মজুদ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাই উৎপাদনে যদি কিছুটা কমতিও থাকে সরবরাহে কোনো ধরনের ঘাটতি বা সংকট তৈরি হবে না।

খাদ্যশস্যের উৎপাদনে ঐতিহাসিক সাফল্যের পরও চলতি অর্থবছরে এ আমদানিনির্ভরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর কারণ অনুসন্ধানের প্রয়াস চালিয়েছে বণিক বার্তা। এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও। এসব আলোচনায় বেশকিছু বিষয়ও উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে বড় একটি কারণ হিসেবে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের আশঙ্কা, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব এবার খাদ্যশস্য উৎপাদনে পড়বে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত ও রোগের প্রাদুর্ভাবে কয়েক বছর ধরেই গমের উৎপাদন নিম্নমুখী। উপরন্তু দেশে চাল সরবরাহের সবচেয়ে বড় উৎস বোরো ধানেও কৃষকের তেমন কোনো মুনাফা নেই। কৃষি সরবরাহ চেইনের নানা জটিলতা এখনো গ্রামের কৃষকের অর্থবিত্ত বৃদ্ধির পথে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়েছে। যদিও ট্রেডার ও মধ্যস্বত্বভোগীরা সম্পদ বাড়িয়ে ক্রমেই বিত্তশালী হয়ে উঠছে। অন্যদিকে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সম্প্রসারণের পথেও রয়েছে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা। মানসম্মত বীজের প্রাপ্যতা নিয়েও সংকট রয়েছে।


তথ্য বলছে, দেশের মোট আবাদি জমির প্রায় ৭৫ শতাংশেই এখনো ধানচাষ হচ্ছে। বোরো ধানের আবাদ হচ্ছে প্রায় ৪৮ লাখ হেক্টরে। সে বোরো আবাদে মুনাফার দিক থেকে কৃষকের অর্জন শূন্য। উল্টো প্রতি হেক্টর বোরো আবাদে কৃষকের এখন ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৬ হাজার টাকা। এ কারণে অনেক কৃষকই বোরো আবাদে নিরুৎসাহিত হয়েছেন, যা সার্বিক উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে নীতিনির্ধারকরা বলছেন, কৃষি খাতের বড় একটি দুর্বলতা হলো পরিসংখ্যানের গরমিল। খোদ কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকও সাম্প্রতিক সময়ে বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

নীতিনির্ধারকদের এ অভিযোগের যথার্থতা পাওয়া যায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যানে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৬ সালের মাথাপিছু দৈনিক চালভোগের পরিমাণ নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইফপ্রি)। ওই জরিপে উঠে আসে, ওই বছর দেশে দৈনিক মাথাপিছু চাল ভোগের পরিমাণ ছিল ৪২৬ গ্রাম। যদিও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানা আয়-ব্যয় জরিপের হিসাব বলছে, ওই বছর দেশের জনগণের দৈনিক মাথাপিছু চাল ভোগের পরিমাণ ছিল ৩৬৭ গ্রাম।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি মানেই ঘাটতির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলে সুন্দরভাবে লিখিত পরিকল্পনাও বাস্তবায়নে গলদ দেখা দিতে পারে। জনপ্রতি চালের যে ভোগ দেখানো হচ্ছে, তাতে উৎপাদনের তথ্যের সঙ্গে বড় ধরনের চাল উদ্বৃত্তের তথ্যও থাকতে হবে। কিন্তু বাজার তথ্য সেটি বলছে না। ফলে উৎপাদন বা ভোগের তথ্যে গরমিল রয়েছে। বাজার তথ্যের সঙ্গে আমাদের প্রকাশিত সব তথ্যের এক পর্যায়ে মিল থাকা প্রয়োজন। তা না হলে নীতি প্রণয়নে বিশেষ করে চাল আমদানি কিংবা রফতানির বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়া মুশকিল হয়ে পড়বে। আমরা তথ্যের বিষয়ে বিবিএসের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হতে চাই। প্রয়োজনে আরো সঠিকতার জন্য বৈজ্ঞানিক বিকল্প পদ্ধতি প্রয়োগের উদ্যোগ বিবিএসকেই নিতে হবে।

কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও সামগ্রিক তথ্যের সঠিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। তার ভাষ্যমতে, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বছরে কতটুকু উৎপাদিত হচ্ছে, চাহিদা কতটুকু বা উৎপাদন বছরে কতটুকু বাড়ছে—এসবের প্রকৃত ও সঠিক তথ্য দরকার। সেটি যৌক্তিকভাবেই করা হচ্ছে না বলে মনে করছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে আলু ও ধান-চালের দাম বৃদ্ধি এ বিষয়ে তার সন্দেহের উদ্রেক করেছে বলে সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন তিনি। তার মতে, দেশে এসব কৃষিপণ্যের আবাদ, উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতার (একরপ্রতি) যে পরিসংখ্যান রয়েছে, তা সঠিক নয়। তবে দেশে খাদ্যশস্যের চাহিদা মেটাতে হলে আমদানিনির্ভরতা কোনো টেকসই সমাধান নয়। কারণ অর্থ থাকলেও বৈদেশিক বাজার থেকে খাবার পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। এজন্য কৃষিসংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে বিশেষ নজর বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাকের বক্তব্য হলো প্রতি বছরই দেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে। করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই চালের উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। সুতরাং মহামারীর মধ্যে খাদ্যের সহজপ্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে, যেটি আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে পরিসংখ্যানগত ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও খাদ্য উৎপাদনে কোনো ধরনের সংকট তৈরি হবে না। চলতি অর্থবছরে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এরই মধ্যে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, যান্ত্রিকীকরণ বৃদ্ধিসহ উন্নত বীজের সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। কৃষকদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে মন্ত্রণালয় থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ

★★★গত ৭ দিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় পোস্টগুলি★★★

দুর্বল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে হাইকোর্টে রিট

ইসমাম পারভেজ কনক   মোবাইল ফোনের দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতি সমস্যার সমাধান করে মানসম্মত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে গ্রাহকদের স্বার্থে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইন্টারনেটের গতিসম্পন্ন সেবা দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্য, সাংবাদিক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিট করেন। এতে তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীকে বিবাদী করা হয়েছে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দুর্বল নেটওয়ার্ক এবং ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে মোবাইল ফোন গ্রাহকরা মারাত্মক ভোগান্তিতে আছেন। গ্রাহকের কাছ থেকে যে পরিমাণ খরচ নেয়া হয় সে তুলনায় সেবার মান হতাশাজনক। মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়লেও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো সে অনুযায়ী সেবা দেয়নি। ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তির শিকা

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ টি দোকান,ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা

ইসমাম পারভেজ কনক কুমারখালী জিলাপি তলা আজিজ মার্কেটে (২৫) নভেম্বর দুপুর ১:৪০ সময় আগুনে পুড়ে ১০ টি  দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বেচাকেনা করতে যখন ব্যাস্ত। সেই সময় দোকানে আগুন দেখে প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করেন দোকানদারিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কুমারখালী ইউনিট ও খোকসা ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকানদার শরিফুল বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার  মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হচ্ছে। ।এতথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস দলের লিডার লুৎফর রহমান । তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, এতে ১০ টি দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বন্ধ হচ্ছে বহু জিমেইল অ্যাকাউন্ট!

ইসমাম পারভেজ কনক প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল-এর মেইলিং সার্ভিস জিমেইল তাদের সেবা ব্যবহারকারীদের বহু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির নতুন নিয়মের কারণে আগামী জুন মাস থেকে নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, আগামী জুন থেকে গুগল ফটোজে বিনামূল্যে ছবি রাখার সুবিধাও তুলে নেয়া হবে। নতুন নীতি অনুযায়ী ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো ইনঅ্যাকটিভ রয়েছে, সেগুলো পুরোপুরি ডিলিট করে দেওয়া হবে। তবে এ নিয়ম কার্যকরের আগেই প্রত্যেক অ্যাকাউন্টধারীকে ই-মেইল মারফত সতর্কবার্তা পাঠানো হবে গুগলের পক্ষ থেকে। গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যবহারকারীরা আর বিনামূল্যে গুগল ফটোজ ব্যবহার করতে পারবেন না। এছাড়া যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা জিমেইল, গুগল ড্রাইভ, ডকুমেন্টস, শিটস, স্লাইডস, ড্রইংস, ফর্মস এবং জ্যামবোর্ড ফাইলস ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করেননি, তাদের সেই সমস্ত অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হবে। অবশ্য, ইনঅ্যাক্টিভ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের বিশ্বাসযোগ্য কন্টাক্টসদের কাছে তাদের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছে দেওয়ার

কুষ্টিয়ায় টিসিবি'র পণ্য দিতে করোনা ছড়ায় না,মাস্কেরও প্রয়োজন পরে না!

ইসমাম পারভেজ কনক কুষ্টিয়া সদর উপজেলা থেকে আজ সকালে হরিপুর বোয়ালদাহ মোড়ের চিত্র। নেই কোন মাক্স নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। মূলত করোনা সংক্রমণ রোধে বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ তার প্রথম দিন।কিন্ত পরিবেশ দেখে বোঝার উপায় নেই যে কি উদ্দেশ্যে এই লকডাউন। হয়তো তারা ভাবছে সরকারি ভাবে কোন কার্যক্রম করলে সেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াবেনা।এলাকাবাসী মনে করছে করোনা সংক্রমণ রোধে টিসিবি'র পণ্য বিক্রয়কারীদের অনেক সচেতনতার সাথে স্বাস্থ্য বিধি মেনে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করা উচিৎ বলে মনে করেন তারা।

কুষ্টিয়ায় আজ ১১টি মোবাইল কোর্টে ৫১টি মামলায় ৫৪জনকে ৭৮,৪৫০ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায়

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৫/০৪/২০২১ তারিখে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে শর্ত সাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত কর্মসুচি বাস্তবায়নের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট আইনসহ তফসিলভূক্ত অন্যান্য আইনে  কুষ্টিয়া জেলা শহর ও  উপজেলাসমূহে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়৷ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন রকম সচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। আজ কুষ্টিয়া জেলায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টের তথ্যাদি নিম্নরুপঃ    *মোবাইল কোর্ট অভিযানঃ ১১ টি  *মামলার সংখ্যাঃ  ৫১ টি  *অর্থদন্ডে দন্ডিত ব্যক্তির সংখ্যাঃ  ৫৪ জন *আদায়কৃত জরিমানার পরিমানঃ ৭৮,৪৫০/- টাকা  *আইন ও ধারাঃ  সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন, ২০১৮ এর ২৫(২) ধারা / দন্ডবিধি,১৮৬০ এর ১৮৮ ও ২৬৯ ধারা/ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫৩ ধারা৷    জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷  #

১৩০ কোটি ভুয়া একাউন্ট বন্ধ করেছে ফেইসবুক!

ইসমাম পারভেজ কনক বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে যুক্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। তবে আশঙ্কাজনকভাবে এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুয়া (ফেক) অ্যাকাউন্টও। সাধারণত এ ধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোসহ অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন অপরাধে জড়াচ্ছে অনেকে। তাই এসব ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে বেশ তৎপর রয়েছে ফেসবুক, টুইটারের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আজ সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা মাত্র তিন মাসে ১৩০ কোটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে। সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটিতে গুজব বা যেকোনও ধরনের ভুল তথ্য প্রচার বন্ধে ৩৫ হাজারেরও বেশি কর্মী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। এক ব্লগপোস্টে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে কোভিড-১৯ রোগ ও ভ্যাকসিন সম্পর্কিত এক কোটি ২০ লাখের বেশি ভুয়া তথ্য সম্বলিত পোস্টও সরিয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ

কুষ্টিয়ায় ৫০ টাকার তরমুজ ৫৫ টাকা কেজি বিক্রির দায়ে ১১,০০০ টাকা অর্থদন্ড ও আদায়

ইসমাম পারভেজ কনক জনসাধারনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ ২৬/০৪/২০২২ তারিখে  কুষ্টিয়া জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য ও ফলের বাজারে মনিটরিং কার্যক্রম  এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে  ক্রয়কৃত পণ্যের মূল রশিদ সংরক্ষণ না করা এবং তরমুজের মূল্য বেশি রাখার দায়ে কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮ এর  ১৯ ধারায় ৪ টি মামলায় ৪ টি প্রতিষ্ঠান কে মোট ১১,০০০/ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ ও আদায় করা হয়েছে একই সাথে রমজান মাসকে উপলক্ষ্য করে অন্যায্যভাবে দাম বৃদ্ধি না করতে তরমুজ ব্যবসায়ীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে৷  জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রিজু তামান্না ও জনাব মোঃ বনি আমিন এঁর ভ্রাম্যমাণ আদালতে উক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়।  ইফতার সামগ্রী ও মৌসুমী ফলের অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মাহবুব উল আলম হানিফের করোনা মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ১৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. শুক্রবার বাদ জুমআ কালেক্টরেট জামে মসজিদ, কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব মাহবুব উল আলম হানিফ মহোদয়সহ সকল করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির আশু রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় সকলকে  মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।

মুনিয়ার সুরতহাল রিপোর্টে যেসব বর্ণনা দিয়েছে পুলিশ!!

ইসমাম পারভেজ কনক বর্তমানে দেশে চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর গুলশানে অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার। মুনিয়া ‘আত্মহত্যা’ করেছে, নাকি তাকে ‘হত্যা’ করা হয়েছে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছে তদন্তকারীরা। ফ্ল্যাটে মুনিয়াকে যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো, সে বিষয়ে বর্ণনা দিয়ে কিছু সুপারিশ করেছে পুলিশ। . এই তরুণীকে ‘ধর্ষণ’ কিংবা ‘বিষ প্রয়োগ’ করা হয়েছিল কি না? তা খতিয়ে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের কাছে সুপারিশ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজধানীর গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান। মুনিয়ার মৃত্যুর পর আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেনের লেখা একটি সুরতহাল  রিপোর্ট হাতে এসেছে।  . তাতে তিনি লিখেছেন, ‘হত্যার আগে ভিকটিম ধর্ষিত হয়েছে কি না তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কিংবা তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না তাও তদন্তের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।’  . সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘মুনিয়ার বয়স ২৩ বছর। গায়ের রং ফর্সা। লম্বা অনুমান ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। মাথার চুল লম্বা অনুমান ১২ ইঞ্চি। চুলের রং বাদামি। মুখমণ্

আজ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শীপ-২০২০ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

 আজ ০৪ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল স্টেডিয়াম জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়ায় জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন, কুষ্টিয়ার আয়োজনে জেএফএ-অনু-১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়ন শীপ-২০২০ এর শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়ার সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবে ক কৃতি ফুটবলার ও কুষ্টিয়া-৪ আসনের মাননীয় জাতীয়  সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আতাউর রহমান আতা, চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা, কুষ্টিয়া ; এড. অনুপ কুমার নন্দী, সাধারণ সম্পাদক,  জেলা ক্রীড়া সংস্থা, কুষ্টিয়া ; জনাব মোঃ মকবুল হোসেন লাবলু, সভাপতি,  কুষ্টিয়া জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন।