বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে খবর এসেছে, তা আতঙ্কের। ১০০ দিনের রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৮৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। সবাই একবাক্যে কবুল করছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা এখন নিয়ন্ত্রণহীন। রাজধানী ঢাকা এখন স্বাভাবিকের চেয়েও স্বাভাবিক। দোকানপাট সব চালু। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। বিয়ে-সাদির অনুষ্ঠানে জমজমাট হোটেল এবং কমিউনিটি সেন্টারগুলো। সমুদ্র-সৈকতে যাচ্ছেন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ। বেশিরভাগই তরুণ। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তরুণরাই দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। সব ফ্রন্ট যেখানে খোলা সেখানে বইমেলার আয়োজন বন্ধ থাকবে কেন। বৃহস্পতিবার থেকে বইমেলাও চালু হয়ে গেছে। শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর পেছনে নানা কারণ খুঁজছেন সচেতনরা। জেলা-উপজেলা প্রশাসনকে আরেক দফা নির্দেশনা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এই অবস্থায় ২১শে মার্চ থেকে মাঠে নামবে পুলিশ। স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করাই হবে তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ বলেছেন, কোভিডমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে মাস্কের বিকল্প নেই। পুলিশ তাই মানুষকে মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করবে। ঘর থেকে বের হলেই মাস্ক পরতে হবে।
ওদিকে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। বুধবার করোনা টেস্ট করালে রেজাল্ট আসে পজিটিভ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন