ইসমাম পারভেজ কনক
ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম থেকে আসবে ৩.৫ লাখ টন চাল
খাদ্যের মজুত বাড়াতে ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে সরকারি পর্যায়ে সাড়ে তিন লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় আজ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে দেড় লাখ টন, এবং ভিয়েতনাম থেকে ৫০ হাজার টন আসবে।
সভার পর ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, টেন্ডার আনতে গেলে সময় লাগে। সেজন্য সরকারি পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমে চাল আনা হবে।
সরকারি খাদ্য মজুদ কমে যাওয়া এবং খাদ্যশস্য ক্রয়ে ধীরগতির কারণে টেস্ট রিলিফ ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে চাল ও গমের পরিবর্তে নগদ টাকা দেওয়া শুরু করেছে সরকার।
গত বোরো মৌসুম ও চলতি আমন মৌসুমে খাদ্যশস্য মজুতের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ এবং কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় চাল ও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি সরকার। এর কারণেই পারিশ্রমিক হিসেবে খাদ্যশস্যের বদলে নগদ টাকা দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ খাদ্যের মজুত ছিল ৬ দশমিক ২৬ লাখ টন, যার মধ্যে চাল ৫ দশমিক ২৮ লাখ টন। বাকিটা ছিল গম। গত বছরের জুলাই মাসে সরকারের কাছে ১১ লাখ ৮৮ হাজার টন চাল মজুত ছিল। আর ২০১৯ সালের জুনে মজুত খাদ্যের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৭৪ হাজার টন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সরকারি গুদামে অন্তত ১০ লাখ টন খাদ্য মজুত থাকা উচিত।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন