ইসমাম পারভেজ কনক
সদর উপজেলার লাহিনী মধ্যপাড়ায় গত দুই বছর আগে লাহিনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র রতন শেখকে (১৭) নির্মমভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হত্যার ঘটনায় নিহতের পিতা আজম শেখ বাদী হয়ে মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৩/১৯ইং। পরে মামলাটি অধিকত্বর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়া জেলাকে তদন্তের আদেশ দেয় আদালত।
মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআই এর পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মিকাইল হোসেনের ওপর। মামলার তদন্ত শুরু থেকেই লাহিনী মধ্যপাড়ার কিছু মাদক ব্যবসায়ী, চরমপন্থী নেতাদের সঙ্গে সক্ষতা গড়ে সাধারণ নিরীহ মানুষদের ধরে নিয়ে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করতে শুরু করে। না দিলে চরম নির্যাতন করা হয় ভুক্তভোগীদের। এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার ওই কর্মকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লাহিনী মধ্যপাড়া গ্রামের নিরীহ স্কুল শিক্ষক নিজাম উদ্দিন ও তার পরিবার।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিজাম মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে শরীফ বিশ্বাসের পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে স্কুলছাত্র রতনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির কাছে লাশ পাওয়ার সূত্র ধরেই সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই এর বহুল আলোচিত এসআই মিকাইল হোসেন নিজাম মাস্টারের পরিবারের ওপর উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লেলিয়ে দেন স্থানীয় কিছু চরমপন্থী ও মাদক ব্যবসায়ীদের। সেসময় তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মিকাইল নিজাম মাস্টারের নিকট মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু নিজাম মাস্টার জড়িত না থাকায় মিকাইলকে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। সেই ঘুষের টাকা না পেয়ে নিজাম মাস্টারের পরিবারের তিনভাই, তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের পিবিআই অফিসে তলব করা হয় কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই। এভাবে বেশ কয়েকবার হয়রানি করলেও শিক্ষক নিজাম মাস্টার টাকা দিতে অস্বীকার করেন। সেই সূত্র ধরেই ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর কুষ্টিয়া শহরের পলিটেকনিক্যাল কলেজের গেট থেকে পরীক্ষা শেষ বের হওয়ার সময় এসআই মিকাইল নিজাম মাস্টারের ছোট ছেলে পলিটেকনিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষার্থী নাহিদ হাসানকে পিবিআই অফিসে নিয়ে যায়। পরে বিনা অজুহাতে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন