সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অমর ২১শে ফেব্রুয়ারীর কবিতা।

ইসমাম পারভেজ কনক


 
দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত তুমি ২১ শে ফেব্রুয়ারী
মিলেছে মায়ের ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা।
প্রত্যাশা প্রানে তাই খালি পায়ে হেঁটে চলা
ঘুম নেই এই দিনে শ্রদ্ধা জানানোর আকুলতা।

বিশ্বে প্রথম একটাই জাতি তুমি বীর বাঙ্গালী
করেছ সংগ্রাম, বিলিয়েছ জীবন ভাষার তরে।
করিগো স্মরণ তোমার সোনার ছেলেদের
রফিক, সালাম ও বরকতসহ আরো অনেকেরে।

কোটি বাঙ্গালী সমবেত হয় শহীদ মিনারে
দাঁড়িয়ে ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে তোমায়।
রক্তে রাঙ্গানো ফেব্রুয়ারী ভুলি যে কি করে
মুখে মুখে ধ্বনিত হয় সেই সুর অবলিলায়।

যারা ছিনিয়ে এনেছে বুকের তাজা রক্তে
তোমার হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসার কথা।
যে ভাষায় প্রশান্তি মেলে কোটি কোটি হৃদয়ে
ছড়িয়ে দিয়ে গহিনের ফুলঝরা কথা।

আমার ভাষা আমার মুখে,
বলবো আমি তা সুখে দুখে ।
আমি মাতৃভাষার কান্ডারী
সুস্বাগতম ২১শে ফেব্রুয়ারী ।

২১ আমাদের বাক স্বাধীনতা মুখের মধুর ভাষা,
স্বাধীন ভাবে কথা বলবার এক অনবদ্য আশা ।
যাঁদের জন্য নিজ ভাষায় কথা বলি প্রাণটা ভরে,
ছালাম তাঁদের যাঁরা দিয়েছে প্রাণ এভাষার তরে ।

আমাদের ভাষা বাংলাভাষা,
বলে ধনী গরীব কিংবা চাষা ।
আমারই ভাষা আমারই গর্ব,
কাউকে করতে দেবনা তা খর্ব ।

২১ আমার বাংলাভাষার মমতা বিজড়িত স্মৃতি,
আমারই ভায়ের রক্তে রাঙানো সুমধুর সম্প্রীতি ।
পৃথিবীর দেশেদেশে নিজ ভাষার কত অহংকার,
ভাষা দিবসে তাই শহীদ মিনারে ফুলের সমাহার ।

নিজ নিজ ভাষায় কথা বলি,
শহীদ মিনারে দেই পূষ্পান্জলি ।
নেই ক্ষয় নেই যার কোন শেষ
মোর বাংলাভাষার বাংলাদেশ ।

ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
দুপুর বেলার অক্ত
বৃষ্টি নামে, বৃষ্টি কোথায় ?
বরকতের রক্ত।

হাজার যুগের সূর্যতাপে
জ্বলবে এমন লাল যে,
সেই লোহিতেই লাল হয়েছে
কৃষ্ণচূড়ার ডাল যে !

প্রভাতফেরীর মিছিল যাবে
ছড়াও ফুলের বন্যা
বিষাদগীতি গাইছে পথে
তিতুমীরের কন্যা।

চিনতে না কি সোনার ছেলে
ক্ষুদিরামকে চিনতে ?
রুদ্ধশ্বাসে প্রাণ দিলো যে
মুক্ত বাতাস কিনতে ?

পাহাড়তলীর মরণ চূড়ায়
ঝাঁপ দিল যে অগ্নি,
ফেব্রুয়ারির শোকের বসন
পরলো তারই ভগ্নী।

প্রভাতফেরী, প্রভাতফেরী
আমায় নেবে সঙ্গে,
বাংলা আমার বচন, আমি
জন্মেছি এই বঙ্গে।

মন্তব্যসমূহ