ইসমাম পারভেজ কনক
রিপোর্ট
এস,এম রুলন উদ্দীন স্বাধীন
কুমারখালী,কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ফুফুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী ব্যক্তির বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ভাতিজা ইমদাদুল হক সনেট। শুক্রবার বিকেলে কাঙাল হরিনাথ প্রেসক্লাবের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত নারীর ভাতিজা ইমদাদুল হক সনেট লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন গত ১৫ই জানুয়ারি শুক্রবার তার ফুফু নাজমা খাতুন বিষপানে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার দিন তার ফুফু পুরাতন চড়াইকোল বারেক মোড় সংলগ্ন আলেয়ার বাড়িতে এসে ঢলে পড়েন এবং সেখানে থাকা কয়েকজনের কাছে বলেন তার স্বামী হাসান শেখ দীর্ঘদিন ধরে তার সাথে দুর্ব্যবহার ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে একথা বলেই তিনি অচেতন হয়ে পরেন। স্থানীয়রা তাকে ভ্যানযোগে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে বিষ মুক্ত করার জন্য ওয়াশ করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। যাবার পথে আলাউদ্দিন নগর নামক স্থানে পৌঁছে তিনি মারা যান। তার ছোট ফুপা হাসান শেখ নিজের দোষ ঢাকতে তার ছোট ফুফু নাজমা খাতুনের লাশ তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সে সময় বাড়িতে তার অসুস্থ মা ছাড়া আর কেউ ছিলোনা তারা জোরপূর্বক লাশ বাড়িতে রেখে চলে যায়। এবং কুমারখালী থানায় এসে পুলিশের কাছে বিভ্রান্ত মুলক তথ্য দেন। পরবর্তিতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠান। ময়নাতদন্তের পর লাশ দাফন করা হয়।
তিনি আরো উল্লেখ করেন তার বাবা মো. এনামুল হক গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে তার তিন ফুফুর নিকট থেকে বাড়ি ও মাঠের ২৯ শতাংশ জমি ৩ লক্ষ্য টাকায় ক্রয় করেন যা কুমারখালী সাব - রেজিস্টার অফিসের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি হয়। রেজিস্ট্রির কিছুদিন পরে তার ছোটো ফুপা ফুফুকে নির্যাতন করেন জমি কম দামে বিক্রি করা হয়েছে অভিযোগে। অবশেষে অত্যাচার সইতে না পেরে তার ফুফু ১৫ জানুয়ারি বিষপানে আত্মহত্যা করে। তিনি বলেন তার ফুফু আত্মহত্যা করেনি তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। এবং এই আত্মহত্যায় প্ররোচনার সাথে যারা জড়িত সংবাূদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবী করেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন