সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিচারের আগে আমার ছেলে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করবেন নাঃদিহানের মা!

ইসমাম পারভেজ কনক

ধর্ষণের উদ্দেশ্যে নয়, একান্তে সময় কাটাতে বাসায় আনুশকাকে ডেকেছিল বলে গণমাধ্যম বরাবর পাঠানো খোলা চিঠিতে অভিযুক্ত দিহানের মা সানজিদা সরকার দাবি করেছেন। তিনি এ ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

খোলা চিঠিতে দিহানের মা বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি আমার বাসায় আমার ছেলে দিহান ও ওর বান্ধবী অরনা আমিনের ঘটনায় আমি হতবাক। একজন মা ও নারী হিসেবে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। গত দুদিন আমি কোনো সংবাদমাধ্যমে কথা বলিনি। কারণ, আমি পুরো ঘটনা বোঝার চেষ্টা করেছি। দিহানের বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমার ছেলের ধর্ষণ এবং হত্যার উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা মা হিসেবে জানার চেষ্টা করেছি। একজন নারী হিসেবে কোনো কিশোরীর অসম্মান হোক বা ধর্ষিত হোক- কখনো চাই না।



৭ জানুয়ারি সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আমি আমার অসুস্থ পিতাকে দেখতে যাওয়ার জন্য দিহানকে বাসায় একা রেখে বগুড়ার উদ্দেশে রওনা হই। আমার অন্য ছেলে নিজের কর্মস্থলে ছিল। যমুনা সেতু পার হওয়ার পর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি মডার্ন হাসপাতালে দিহানের বান্ধবী মারা গেছে। দিহানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। দ্রুত ঢাকায় এসে দেখি পুলিশ আমার বাসায়। জানলাম মেয়েটি আমার বাসায় দিহানের সঙ্গে দেখা করতে এসে ধর্ষিত হয়েছে এবং মারা গেছে। মা হিসেবে আরও আগে থেকেই একটু আন্দাজ করতে পেরেছি, আমার ছেলে কোনো একটি সম্পর্কে জড়িয়েছে। কিন্তু কোন মেয়ের সঙ্গে, তা জানা ছিল না। তবে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মেয়েটির ‘Aurna Amin’ নামের ফেসবুক আইডিতে দিহানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি, দিহানকে নিয়ে কবিতা লিখা ইত্যাদি দেখে মনে হলো এই মেয়েটির সঙ্গেই দিহান সম্পর্কে জড়িয়েছে। আমি ধারণা করছি, আমি বাসা থেকে বের হওয়ার পর দিহান মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ করলে মেয়েটি আমার বাসায় আসে। দিহানের সঙ্গে বিশ্বস্ততার সম্পর্ক ছিল বিধায় মেয়েটি আমার বাসায় এসেছিল। আমি মনে করি, ধর্ষণ বা হত্যার উদ্দেশ্যে দিহান মেয়েটিকে বাসায় ডাকেনি। একজন আরেকজনকে ভালোবাসে। সেই হিসেবে একান্তভাবে সময় কাটানোর জন্যই হয়তো ডেকেছিল। উভয়ের বয়স কম। একজন নাবালিকা এবং আমার ছেলেরও বয়স ১৮ বছর ৭ মাস অর্থাৎ কিশোর। আবেগের বশে উভয়েই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিল এবং অপরিপক্বতার পরিচয় দিয়েছে। পরবর্তীতে যা হয়েছে তা নিতান্তই দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে। আমার ছেলে ধর্ষক বা হত্যাকারী হলে সে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করত কিন্তু সে তা করেনি। সে নিজে গাড়ি করে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। মেয়েটির মাকে ফোন করেছে, পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেছে। আমার ছেলে যদি মেয়েটির সঙ্গে অন্যায় করে তাহলে একজন নারী হিসেবে আমিও আমার ছেলের যথাযথ বিচার হোক সেটা চাই।


কিন্তু মেয়েটির ইচ্ছায় শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল কিনা এবং একমাত্র শারীরিক সম্পর্কের কারণেই রক্তক্ষরণ ও মৃত্যু হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনের ওপর আমি বিশ্বাস রাখতে চাই এবং বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রাখতে চাই। বিচারের আগে আমার ছেলেকে ধর্ষক বা হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত না করার জন্য সমাজের সবার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফারদিনের পরিবার ও তার বড় ভাই সুপ্ত সরকারের বিরুদ্ধেও স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর মুখে জোর করে বিষ ঢেলে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছিল সুপ্ত’র বিরুদ্ধে। টাকার বিনিময়ে মামলাটি আপস করেছেন সুপ্ত’র বাবা এমন অভিযোগ রয়েছে। ফারদিনরা তিন ভাই। তাদের বাবা আবদুর রউফ সরকার রাজশাহী জেলার অবসরপ্রাপ্ত সাব রেজিস্ট্রার। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার রাতুগ্রামে তাদের বাড়ি। এ ছাড়াও জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে তাদের আরো একটি বাড়ি রয়েছে। রাজশাহী শহরেও আছে দু’টি বাড়ি। এর একটি সাগরপাড়া এলাকায়। আরেকটি বাড়ি মহানগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায়। ঢাকার কলাবাগানে রয়েছে নিজস্ব ফ্ল্যাট। বড় ছেলে সুপ্তকে নিয়ে তার বাবা গ্রামে থাকেন। আর মা সানজিদা সরকারের সঙ্গে ঢাকার বাসায় ফারদিন ও তার মেজো ভাই নিলয় থাকেন। নিলয় একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। ২০০৯ সালে সুপ্ত’র স্ত্রী রুনা খানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সুপ্ত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নিহত রুনার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছিলেন। তখন আসামিদের শাস্তির দাবিতে মরদেহ নিয়ে রাজশাহী শহরে মিছিল হয়েছিল। কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুর দাস মালো বলেন, ধর্ষণ এবং হত্যার আগে চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কিনা সেজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এবং বয়স নির্ধারণের জন্যও তার নমুনা নেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়া যাবে।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি দিহান দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবিন্দ দিয়েছে। বর্তমানে দিহান কারাগারে রয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পরে তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিলেন। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে। অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা হাসপাতালে পৌঁছেন। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর এক সহপাঠী ইফতেখার ফারদিন দিহানকে একমাত্র আসামি করে মেয়েটির বাবা ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন।

মামলার বাদী কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের স্কুলের বান্ধবীর এক বড় ভাই আছে। দিহানসহ ওই তিন ছেলে তার বন্ধু। ওখান থেকেই আমার মেয়ের সঙ্গে দিহানের পরিচয় বা চেনাজানা। ঘটনার দিন ১২টা ১৯ মিনিটে আমার মেয়ের নম্বর থেকে কল আসে। আমি মিটিংয়ে থাকায় ফোনটা কেটে দিই। তারপর আর ফোন করেনি। তার কিছু সময় পর আমার স্ত্রীর ফোনে কল আসে। ফোন করে আমার মেয়ের অসুস্থতার কথা জানায়। প্রথম ফোনটা না ধরাটাই ছিল আমার সবচেয়ে বড় ভুল।

তিনি বলেন, মনে হয় আমার মেয়েকে যখন জোরজবরদস্তি করা হচ্ছিল তখনই সে আমকে ফোন করেছিল। আমি যদি ফোনটা ধরতে পারতাম বিষয়টা এতদূর গড়াত না। পরে আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে ফোন করা হয়। তবে সেটা হাসপাতাল থেকে নাকি ওই বাসা থেকে এটা আমরা জানি না। হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা আমাকে বলেন, মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আমার মনে হয়, এমনও হতে পারে, ও কোচিংয়ে যাচ্ছিল। তখন ওই ছেলেরা রাস্তায় তাকে বাধা দেয়। তখন আমাকে আমার মেয়ে ফোন করে।

মন্তব্যসমূহ

★★★গত ৭ দিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় পোস্টগুলি★★★

ভাস্কর্য নিয়ে যে আন্দোলন হচ্ছে এইটা আরো জোড়ালো হওয়া উঁচিত কারণঃ

ইসমাম পারভেজ কনক করোনা কালীন সময়ে দেশের সবাই অভাবগ্রস্থ।কিন্তু ভাস্কর্য করতে অনেক টাকা খঁরচ করা হচ্ছে।আর এই ভাস্কর্য নির্মাণের পিছনে রয়েছে দূর্নিতীবাজ আওয়ামিলীগের কিছু নেতারা।যারা বঙ্গবন্ধুর নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ভোগ করে আসছে।এখন ভাস্কর্য নির্মাণের মিথ্যা নাটক করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।শত শত প্রমাণ দেয়া যাবে,ভাস্কর্য নির্মাণ করতে খঁরচ হয় ২০ হাজার টাকা।কিন্তু খঁরচ ধরা হচ্ছে।৩ লাখ টাকা।ভাস্কর্য মূর্তি তৈরী করতে খঁরচ হয় ২৫ লক্ষ টাকা।কিন্তু খঁরচ ধরা হচ্ছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা।এইটা পৃথিবীর সব থেকে বড় ভাস্কর্যের কথা বললাম।যেইটা বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে।এই ভাস্কর্য নির্মাণ অবশ্যয় বন্ধ করা উঁচিত।কারণ ভাস্কর্য নির্মাণের নামে কিছু দূর্নিতীবাজ মানুষ আমাদের কঠোর শ্রমের টাকা ভোগ করতেছে।আর আমরা কঠোর পরিশ্রম করে,অভাবে অনটনে দিন যাবন করছি।আমি চাই ভাস্কর্য নির্মাণ করা বন্ধ হোক।যাতে দূর্নিতীবাজ লোকজন বঙ্গবন্ধুর নামে আর সম্পদ ভোগ করতে না পারে।আমাদের দেশের কৃষকের ঘাম ঝড়ানো টাকায় ভাস্কর্য নির্মাণের নামে এসি রুমে বসে থাকা দূর্নিতীবাজ লোকজন শান্তিতে সব সম্পদ,টাকা ভোগ করবে।এইটা ...

কুষ্টিয়াতে আগুনে পুড়ে ছাই ১০ টি দোকান,ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা

ইসমাম পারভেজ কনক কুমারখালী জিলাপি তলা আজিজ মার্কেটে (২৫) নভেম্বর দুপুর ১:৪০ সময় আগুনে পুড়ে ১০ টি  দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন দোকানিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার দুপুরে বেচাকেনা করতে যখন ব্যাস্ত। সেই সময় দোকানে আগুন দেখে প্রথমে নেভানোর চেষ্টা করেন দোকানদারিরা। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কুমারখালী ইউনিট ও খোকসা ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দোকানে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকাসহ ১ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এছাড়া মুদি দোকানদার শরিফুল বলেন আমার ৫০ হাজার টাকার  মালামাল পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, খবর পেয়ে এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে প্রকৃত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরূপন করা হচ্ছে। ।এতথ্য নিশ্চিত করেন ফায়ার সার্ভিস দলের লিডার লুৎফর রহমান । তিনি আরো জানান, খবর পেয়ে ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি।তিনি আরো বলেন, এতে ১০ টি দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা...

ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্ভোধন

ইসমাম পারভেজ কনক আজ ২৩ নভেম্বর ২০২০ খ্রি. তারিখে   কুষ্টিয়া জেলার মান্যবর  জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ আসলাম হোসেন মহোদয়  মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন অফিস পরিদর্শন করেন।  এসময় জেলা প্রশাসক মহোদয় উপজেলা প্রশাসন, মিরপুরের আয়োজনে  মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীনদের গৃহ নির্মাণের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।  এরপর তিনি মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন এবং চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে মুজিববর্ষে ভূমিহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ,করোনা, মাদক, বাল্যবিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধসহ  সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্গের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মিরপুর, কুষ্টিয়ার ব্যবস্থাপনায় কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে  বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন। পরিদর্শনের সময় মিরপুর  উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মিরপুর উপজেলা;  মেয়র, মিরপুর পৌরসভা  ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান উপস্থিত ছি...

অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে!

ইসমাম পারভেজ কনক   অনার্স চতুর্থবর্ষের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে।  ঢাবি অধিভুক্ত ৭ কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষার রুটিন  প্রকাশ। পরীক্ষা শুরু: ২৭ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ: ৭ মার্চ৷   এরা আন্দোলন করলো এদের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যারা আন্দোলন করে অধিকার আদায় করতে পারবে,তাদের অধিকার দেয়া হবে।আর যারা পারবে না।তাদের ভাগাড়ে ফেলানো হবে। কিন্তু একটা বিষয় ভাবতেছি,সরকারী কলেজের সবাই কি ঘুমায়ে আছেন?আপনারা কি কেউ আন্দোলন করতে পারেন না? ২০১৯ সালের শেষ হওয়ার পরীক্ষা শুরু হল ২০২০ সালে।সেইটা ভাইরাসের কারণে ৫ টা হবার পর বন্ধ হল?১ বছর পর আগের থেকেও বেশী শীতের মধ্যে সকালে পরীক্ষা নেয়া হল।এখন প্রশ্ন এত শীতে সেই ভাইরাসের মধ্যেয় যদি পরীক্ষা দিবেন,তাহলে ১ বছর আগে কেন দিলেন না?আগে পরীক্ষা শুরু হত দুপুরে।আর ১ বছর পর পরীক্ষা দিলেন সকালে প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের মধ্যে কষ্ট করে।সেইটা দেয়ার পর আর এখন ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত করে আরও ১ বছরে নিয়ে যাচ্ছে।আপনাদের সাথে পড়া অনেকেয় অনার্স সম্পূর্ণ করে ফেলেছে।আর আপনারা ২ বছর পিছিয়ে গেছেন।আর রেজাল্ট পেতে ৩ বছর পিছিয়ে যাবেন।এখনও...

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা :ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি অব্যাহত

ইসমাম পারভেজ কনক   গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে যুক্তি-তর্কের ওপর শুনানি করা হয়। আগামীকাল বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আবারও এ শুনানি শুরু হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মৃধা, মিজানুর রহমান খান শাহীন ও মোহাম্মদ শাফায়াত জামিল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান ও মো. আহসান। এছাড়া পলাতক আসামির পক্ষে আদালতে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী অমূল্য কুমার সরকার। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হয়ে অব্যাহতভাবে চলছে। কয়েক কার্যদিবসে শুনানি শেষ করা হতে পারে। এর মধ্যে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের যুক্তিতর্ক শেষ করবেন। আমরাও র...

এইমাত্র কুষ্টিয়াতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড

ইসমাম পারভেজ কনক   আজ ১২/০১/২০২০ খ্রিঃ তারিখে কুষ্টিয়া পৌরসভা সাধারন নির্বাচন-২০২১ এ পৌরসভার ২১ নং ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী কতৃক ধর্মীয় সভার আয়োজন করে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ ও লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থণা করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় পৌরসভা (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৫ ওর আওতায় ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে৷ জেলা প্রশাসনের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ সবুজ হাসান এর ভ্রাম্যমান আদালতে উক্ত শাস্তি প্রদান করা হয়৷  নির্বাচনী আচরণবিধিমালা প্রতিপালনে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রথম নারী ট্রেন চালক সালমা খাতুন

ইসমাম পারভেজ কনক ট্রেনের মূল চালককে বলা হয় লোকো মাস্টার বা সংক্ষেপে এলএম। বর্তমানে সহকারী চালক হিসেবে সমগ্র বাংলাদেশে কর্মরত আছেন ১৯ জন নারী, তবে লোকো মাস্টার বা প্রধান চালক হিসেবে সালমাই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নারী ট্রেনচালক। হাজারো মানুষের কথা চিন্তা করে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে, ১৯৮৩ সালের ১ জুন তার জন্ম। কৃষক বাবা বেলায়েত হোসেন ও গৃহিণী মা তাহেরা খাতুনের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সালমা চতুর্থ। ২০০৪ সালে এইচ এস সি পাস করার পর সালমা খাতুন সহকারী লোকো মাস্টার হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়েতে যোগদান করেন। চাকুরীর পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যান তিনি। মতিঝিল টি এন টি কলেজ থেকে বি এস সি, মডার্ণ টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউশন থেকে বি এড এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে কাজী নজরুল সরকারী কলেজ থেকে এম এ সম্পন্ন করেন। দুই কন্যার জননী সালমার স্বামী ঢাকা জেলা দায়রা জজ কোর্টের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। নারী ট্রেন চালকদের নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। তবে সালমা খাতুনের ভাষ্যে, "কাজের ক্ষেত্রে পুরুষ যা পারে নারীরাও তাই পারে। দেশের প্রধা...

অল্প সুদে ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাবেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা

ইসমাম পারভেজ কনক   ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ আসছে বলে জানিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। এক্ষেত্রে অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) করোনাকালে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ভূমিকা শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব এসব কথা বলেন। প্রণোদনা প্যাকেজটি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য বৃহস্পতিবারই (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান সিনিয়র সচিব। আসাদুল ইসলাম বলেন, একটি প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিতে যাচ্ছি। এটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবো। অক্টোবর মাসে এটা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল সেটার ডিসবার্সমেন্টটা ভালো ছিল না। অনেক চাপ প্রয়োগ করেছি, ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটা অনীহাও ছিল। আর একটা পরিস্থিতি তারা ফেস করেছে, সেটা হলো তাদের কাছে (ক্ষুদ্র উদ্য...

প্রতি সপ্তাহের চাকরীর খবর

ইসমাম পারভেজ কনক প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত সাপ্তাহিক চাকরির খবর পত্রিকা শুক্রবার সকালে এখানে প্রকাশ করা হয়।প্রতি সপ্তাহের পত্রিকা পড়তে আমাদের সাথেই থাকুন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।সাপ্তাহিক চাকরীর খবর ছাড়াও আমরা যে কোন চাকরীর সার্কুলারই প্রকাশিত করে থাকি। পত্রিকাটি পরিষ্কারভাবে পড়ার জন্য ছবির উপর ক্লিক করুন,জুম করুন এবং ডাউনলোড করুন।

পি কে হালদারের সহযোগী গ্রেপ্তার

ইসমাম পারভেজ কনক   বিদেশে পলাতক রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি দল। আজ বুধবার দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদক সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করে। ওই মামলার তদন্তে অবন্তিকা বড়ালের সম্পৃক্ততা পায় দুদক। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের ২০ ডিসেম্বর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, পি কে হালদারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁর বান্ধবীদের অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে। পি কে হালদারের প্রতিষ্ঠানে অর্থ রেখে অনেকে হয়রানি ও ভোগান্তির মুখে পড়েছেন। ভুক্তভোগীরা তাঁর (খুরশীদ আলম খান) চেম্বারে গিয়ে দেখা করে কথা বলেছেন। পি কে হালদারের অনেক বান্ধবী থাকা ও তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার তথ্য মূলত ভুক্তভোগীরা জা...