ইসমাম পারভেজ কনক
কুষ্টিয়ায় বিজিবি সদস্য কর্তৃক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক বিধবা নারীর সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা। উদ্দেশ্য ছিল সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়া তাই গভীর ভাবে মেলামেশা ফলে বিধাব নারীর পেটে এখন ৩ মাসের বাচ্চা। সেই বিধবা নারীটির এখন কি হবে? দীর্ঘদিন যোগাযোগ করতে না পেরে সাদাসিধে সেই নারী এখন ঘুড়ছে পথে পথে। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া কুঠিপাড়া এলাকার মৃত মিজানুর রহমান সুজনের ৩য় কন্যা মোছাঃ সোহেলা পারভীন সোনালী (৪১) এর জীবনে। অল্প বয়সে স্বামী হারানোর পরে ঠাঁই মেলেনি স্বামীর ভিটেতে। মৃত পিতা মাতার ভিটেতে বাড়ি ভাড়া ও বিভিন্ন ক্লিনিকে কাজ করে জীবন যাপন করছিলেন তিনি। লম্পট শহীদুল তার স্ত্রী অসুস্থতার কথা বলে সুখ পেতে বিধবা সেই নারীর কাছে যেতেন এমনটি জানান ভুক্তভোগী বিধবা নারী। সুত্রে জানা যায়, মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদ (৫৫) পিতা আহমদ আলী সাং- পুটিয়া চড়াইখোল, কুমারখালী, কুষ্টিয়া তিনি পেশায় একজন বিজিবি সদস্য। শহীদুলের দুই কন্যা ও অসুস্থ স্ত্রী রয়েছেন। এর পরেও বিভিন্ন প্রলোভনে সুকৌশলী হয়ে তার সাথে গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পর্ক। বিধবা সেই নারী জানান, শহীদুল আমার পবিরারিক সুত্রে আত্মীয় হয়। আমার উপরোক্ত ঠিকানায় আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করে এবং আমার ওয়ারিশগণের জমির অংশ ক্রয় করার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে বিভিন্ন সময় আসে। আমাকে সম্পূর্ণরুপে প্রতারণা করে আমাকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা প্রলোভন দেখাই আমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এবং আমাকে বিবাহ করার আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন আমার সাথে খারাপ ভাবে মেলামেশা করে। মেলামেশার একপর্যায়ে আমার গর্ভে সন্তান আসে এবং বর্তমানে আমি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি এ প্রতিবেদককে আরোও জানান, শহীদুল সম্পূর্ণরুপে আমার সাথে প্রতারণা করে অবৈধভাবে মেলামেশা করে তার স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে এই বিষয়ে আমি অবগত হই। এক পর্যায়ে আমাকে বিবাহ করার কথা জানালে তিনি ------আমার উপর ক্ষিপ্ত হতে থাকে। গত ৪/৫ মাস পূর্বে রমজানের সময় আমার বাড়িতে আসে এবং আমাকে কসম খেয়ে বিবাহর আশ্বাস দিয়ে মেলামেশা করে। গর্ভবতী হওয়ার কথা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানালে তিনি আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং আমাকে বিবাহ করবে না বলে জানায়। আমি বরাবর তাকে জানায় যে, আপনি আমার সর্বনাশ করেছেন তাই আমাকে বিবাহ না করলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না । যদি আমাকে বিবাহ না করেন তাহলে আমি মৃত্যুবরণ করবো। তাতে শহীদুল আমাকে আরো উৎসাহিত করে আমি যেন আত্মহত্যা করি। শুধু তাই নয় এখন আমাকে প্রণনাশের হুমকি এবং আমার নামে মিথ্যা মামলা দিবেন বলে হুমকি দিচ্ছে। এমন কি আমার সাথে খারাপ ভাবে মেলামেশার ভিডিও ফেসবুকে ইন্টারনেটে আপলোড করার হুমকি দিচ্ছে। উপায় না পেয়ে বিধবা নারী আইনগত সহায়তা পেতে থানার বারান্দায়। এই বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে শহীদুল কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সোনালী নামে কোন মেয়েকে চেনেন না বলে মোবাইল কেটে দেন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন